ঈদের বাজারে ভিড় বাড়লেও বজায় রয়েছে সামাজিক দূরত্ব

Advertisement
লকডাউনে বাজার বন্ধ ছিল দীর্ঘদিন। ১৭মে-র পর কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়াতেই যথেষ্ট ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে একাধিক জায়গায়। ঈদের বাজারেও ভিড় বেড়েছে অনেকটাই। তবুও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা ভোলেননি কেউই।

id
পল মৈত্র : চলছে পবিত্র ঈদ উৎসব। তবে এবছর কিছুটা অন্য রকমভাবে। সমগ্র বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের তাণ্ডবে কিছুটা ছন্দপতন ঘটেছে পবিত্র ঈদ পালনেও। প্রশাসনিক নির্দেশ মেনেই পালন করতে হচ্ছে পবিত্র ঈদ উৎসব। প্রায় সমস্ত জায়গাতেই নেওয়া হয়েছে একাধিক সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা।
     দেশ জুড়ে চলা দীর্ঘ লকডাউনের জন্য সমস্ত জায়গাতেই বাজার বন্ধ ছিল এতদিন। যদিও কিছু কিছু খাবারের দোকান সরকারি নির্দেশিকা মেনে খোলা রাখতে পেরেছেন ব্যবসায়ীরা। কাপড়ের দোকান সহ অন্য বিভিন্ন দোকান বা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার কোনও নির্দেশ ছিল না সরকারিভাবে। কিন্তু ১৭ মে-র পর বিভিন্ন ক্ষেত্রে কিছু ছাড়ের ব্যবস্থা করে প্রশাসন। পবিত্র ঈদের কেনা-কাটায় তাই অনেকটাই স্বস্তি ফিরে পান মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষেরা।
     ইদের বেশ কয়েক দিন আগে থেকেই বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলতে দেখা গিয়েছে একাধিক জায়গায়। কেনাকাটার বাজারে ভিড় বাড়লেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা ভোলেননি কেউই। পথ চলতি প্রায় প্রত্যেককেই মাস্ক ব্যবহার করতে দেখা গিয়েছে। তাছাড়া দোকানে জিনিসপত্র কেনার সময়েও যথেষ্ট সামাজিক সচেতনতা বজায় রাখতেও লক্ষ্য করা গিয়েছে সবাইকে।
     দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর শহর জুড়েও সেই একই ছবি নজরে এল। শহরের বিভিন্ন স্থানে যথেষ্ট ভিড় লক্ষ্য করা গেলেও তা ছিল পুরোটাই সামাজিক দূরত্ব মেনেই। শহরের শপিংমলগুলিতেও দেখা গিয়েছে একই চিত্র। এমনিতেই দীর্ঘদিন লকডাউনের জন্য বন্ধ ছিল শপিংমলগুলি। প্রশাসনিক নির্দেশ মেনেই ১৭ মে-র পর শপিংমল খুলতে শুরু করে। কিন্তু সেই সঙ্গে ক্রেতাদের সুরক্ষিত রাখতে মেনে চলা হয় একাধিক বিধিনিষেধ।
     গত ২৩ মে থেকেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাকে অরেঞ্জ জোনের আওতায় আনা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই জেলায় করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে ৪ জন। তাই বাড়তি কিছু বিধিনিষেধ মানতে বাধ্য হচ্ছেন জেলাবাসি। পবিত্র ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন শপিংমলে ভিড় বাড়লেও সেখানে লক্ষ্য করা গিয়েছে একাধিক ব্যবস্থা নিতে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে তবেই প্রবেশের অনুমতি মিলছে সেখানে। প্রবেশের পূর্বে ডিজিটাল থার্মালে পরীক্ষা করা হচ্ছে প্রত্যেককেই। এক্ষেত্রে শপিংমল কর্তৃপক্ষের দাবি, তারা যথেষ্ট সচেতন হয়ে এবং প্রশাসনিক নির্দেশ যথাসম্ভব মেনেই এই কাজগুলি করছেন।
Advertisement
Previous articleবিপর্যয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াল নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সমিতি
Next articleক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্র, বিপর্যয় নামতে পারে সৃষ্টির ওপর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here