Advertisement
সুজয় ঘোষাল : করোনা সংক্রমণ রুখতে এই মুহূর্তে সমগ্র দেশ জুড়ে চলছে লকডাউন। আর তাই দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশেরসমাজিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন। শহরাঞ্চলের পাশাপাশি প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতেও লকডাউন-এর প্রভাব পড়ছে ব্যাপকভাবে। অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে ওই প্রান্তিক অঞ্চলগুলির অধিবাসীদেরও। কাজ হারাচ্ছেন বহু মানুষ। সবচেয়ে বেশি সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে ‘দিন আনা দিন খাওয়া’ মানুষগুলিকে। সঞ্চিত অর্থ বলে তেমন কিছুই নেই ওই মানুষগুলির। এখন স্বাভাবিকভাবে সংসার চালানই খুব বড়ো চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁদের কাছে।
ঠিক এই অবস্থায় ওই সমস্ত দুঃস্থ মানুষের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে। তাদের মধ্যে আমোদপুর টোগোর অর্গানাইজেশন ফর হেলথঅ্যাওয়ারনেস অ্যান্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট, আমোদপুর বিজ্ঞান কেন্দ্র ও সত্যকিংকর দে শিক্ষক শিক্ষণ কলেজ-এর নাম অবশ্যই উল্লেখ করতে হয়। তারা বিভিন্ন সময়ে এবং বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে এসেছে সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের কল্যাণার্থে।
উক্ত সংস্থার কর্মকর্তা ও কর্মীরা ১০ এপ্রিল বিকাল ৪টে নাগাদ লাভপুর ব্লকের চৌহ্রাটা-মহোদরী ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত সুবলপুর, রাজারামপুর ও ভাঁড়জুলি এই তিনটি আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামের প্রায় ৫০ জন দুঃস্থ ও কর্মহীন পরিবারের তুলে দিল মুখাবরণ, সাবান, চিড়ে ও সয়াবিন সহ অন্যান্য ত্রাণ সামগ্রী।
শুধু ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ নয়, এদিন ওই সংস্থাগুলিরপক্ষ থেকে ‘খাওয়ার আগে হাত ধোয়া’, ‘বাইরে গেলে মুখাবরণ পরে যাওয়া’, ‘একে অপরের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা’-র মতো স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত বিভিন্ন পরামর্শও প্রদান করতে দেখা গিয়েছে।
এদিন ওই ত্রাণ কার্যে এগিয়ে এসেছেন রাজারামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক বিশ্বজিৎ রায়, রাজারামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কৃষ্ণাশিষ মুখোপাধ্যায়, আমোদপুর বিজ্ঞান কেন্দ্রের সম্পাদক সুকুমার দত্ত সহ আরও অনেকে। এছাড়াও ত্রাণসামগ্রী বিতরণেরকাজে সহযোগিতা করতে এগিয়ে এসেছেন একাধিক গ্রামবাসীও।
টেগোর অর্গানাইজেশনরের কর্ণধার ডাঃ অনুপম গঙ্গোপাধ্যায় জানালেন, লকডাউনের দিনে বেশ কিছু আদিবাসী পরিবার আজ কর্মহীন হয়ে দিনযাপন করছে। তাদের পাশে দাঁড়াতেই এই বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
- All Rights Reserved
Advertisement