Advertisement
রঞ্জন সরকার : করোনা সংক্রমণ রুখতে ভারতে ‘লকডাউন’-এর পঞ্চম দিন পূরণ হল। তবু আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। যদিও আমেরিকা বা ইউরোপিয়ান দেশগুলির তুলনায় যথেষ্ট কম। ভারতে করোনা সংক্রমণ এখনও দ্বিতীয় পর্যায়েই আটকে রয়েছে। তৃতীয় পর্যায়ে যাতে পৌঁছাতে না পারে তার জন্য কেন্দ্র সরকার ও রাজ্য সরকার দিনের চব্বিশ ঘণ্টা-ই সজাগ রয়েছে। সেই সঙ্গে নিচ্ছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থাও। এই করোনা সংক্রমণকে কিভাবে আটকানো যায় সেটাই এখন সবচেয়ে বড়ো চ্যালেঞ্জ ভারত সহ সমগ্র বিশ্বের কাছে।
বিশ্বের কোনও দেশই এখন নিশ্চিন্তে নেই। সেই সঙ্গে সংক্রমণ বিশেষজ্ঞ সহ সমস্ত জীবাণু বা ভাইরাস গবেষকরা দিনরাত এক করে ফেলছেন করোনা প্রতিরোধী গড়তে। তাদের সামান্যতম টোটকাও অসামান্য হয়ে উঠবে এই সময়ে। কিন্তু উপযুক্ত টোটকার সন্ধান মিলছে কোথায়?
বর্তমান পারিপার্শ্বিকতা দেখলে মনে হয়, বিধাতা বোধহয় বিজ্ঞানকে একটা চ্যালেঞ্জ দিয়ে ফেলেছে। চ্যালেঞ্জটা যে কোভিড-১৯ তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ইতিমধ্যেই বিশ্ব জুড়ে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৬ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। ২৭ হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। এই হিসাব কোথায় গিয়ে শেষ হবে তা কেউ-ই বলতে পারছে না।
এ তো গেল আতঙ্কের কথা। তবে আশার কথাও শোনাচ্ছেন একাধিক বিশেষজ্ঞ। ‘লকডাউন’, বারবার সাবান বা অ্যালকোহল যুক্ত হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত পরিষ্কার, মুখে মাক্স ব্যবহার, স্যানিটাইজেশন, এক থেকে দেড় মিটার দূরত্ব বজায় – সবই করা হচ্ছে। কিন্তু তারপরেও কিছু বিশেষজ্ঞ বলছেন, আরও কিছু করার রয়েছে মানুষের। তাদের মতে, এই মুহূর্তে করোনা সংক্রমণ রুখতে শরীরের ‘ইমিউনিটি পাওয়ার’ বাড়াতে হবে।
![]() |
ছবি : সংগৃহীত |
তাদের দাবি, শরীরে করোনা ভাইরাস প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গেই তার উপস্থিতি বুঝতে পারা যায় না। এর জন্য অপেক্ষা করতে হয় আরও বেশ কিছুদিন। কারণ ভাইরাস ততদিনে লড়াই চালায় শারীরিক ‘ইমিউনিটি পাওয়ার’-এর সঙ্গে। যার শরীরে ‘ইমিউনিটি পাওয়ার’ যত বেশি, সে তত বেশি সময় ধরে করোনার সঙ্গে লড়াই চালাতে পারবে। যদিও এই মুহূর্তে করোনা সংক্রমণ সাধারণভাবে পুরোপুরি রোখার মতো ‘ইমিউনিটি পাওয়ার’ কোনও মানুষের শরীরে নেই। তবুও ‘ইমিউনিটি পাওয়ার’-কে বাড়িয়ে তুললে লাভ হবে নিজেরই। কারণ করোনায় আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি মারা যাচ্ছে বয়স্করা। যাতের ‘ইমিউনিটি পাওয়ার’ তুলনামূলক কম।
তবে কিভাবে শরীরে ‘ইমিউনিটি পাওয়ার’ বাড়ানো যাবে? এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞরা জানালেন, প্রতি নিয়ত প্রোটিন ও ভিটামিন-সি বেশি করে খেতে হবে। আর এর জন্য খেতে হবে কাগজিলেবু, কমলালেবু, আমলকী, দুধ, পনির, মাংস, ডিম প্রভৃতি। মাল্টি-ভিটামিনও খাওয়া যেতে পারে। সেই সঙ্গে রোজ সকালে কাঁচা ছোলা খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। এছাড়াও বয়স অনুযায়ী নিয়ম করে যোগ ব্যায়াম বা শরীর চর্চাও করা যেতে পারে। তাতে রক্ত চলাচল অব্যাহত থাকবে।
ভারতের করোনা–গ্রাফ :
তারিখ
|
আক্রান্ত
|
মৃত্যু
|
২০ মার্চ পর্যন্ত
|
২৯৪
|
৪
|
২১.০৩.২০২০
|
৫৯
|
২
|
২২.০৩.২০২০
|
১০৮
|
২
|
২৩.০৩.২০২০
|
৩৮
|
২
|
২৪.০৩.২০২০
|
৩৭
|
১
|
২৫.০৩.২০২০
|
৭০
|
০
|
২৬.০৩.২০২০
|
১১৩
|
৫
|
২৭.০৩.২০২০
|
১৬৮
|
৪
|
২৮.০৩.২০২০
|
৮৯
|
০
|
মোট
|
৯৭৬
|
২০
|
(করোনা আক্রান্তদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছে ৮৪ জন)
করোনা আপডেট (আক্রান্তের সংখ্যা অনুযায়ী প্রথম ১০টি দেশ) :
দেশ
|
আক্রান্ত
|
মৃত্যু
|
আমেরিকা
|
১১৬,০৫০
|
১,৯৩৭
|
ইতালি
|
৯২,৪৭২
|
১০,০২৩
|
চিন
|
৮১,৩৯৪
|
৩,২৯৫
|
স্পেন
|
৭২,২৪৮
|
৫,৮১২
|
জার্মানি
|
৫৬,২০২
|
৪০৩
|
ইরান
|
৩৫,৪০৮
|
২,৫১৭
|
ফ্রান্স
|
৩২,৯৬৪
|
১,৯৯৫
|
ইংল্যান্ড
|
১৭,০৮৯
|
১,০১৯
|
সুইজারল্যান্ড
|
১৩,৩৭৭
|
২৪২
|
নেদারল্যান্ড
|
৯,৭৬২
|
৬৩৯
|
সমগ্র বিশ্ব
|
৬৪৫,১৫৮
|
২৯,৯৫১
|
(করোনা আক্রান্তদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছে ১৩৯,৫৫০ জন)
* সূত্র: ওয়ার্ল্ডোমিটার, ভারতীয় সময় ২৮ মার্চ রাত ১১টা পর্যন্ত
- All Rights Reserved
Advertisement
Most important is to keep the digestive system free from any infection.
Otherwise all the nutritious foods will be excreted. We need not worry. Possibility of fatality in the Covid-19 infection is very less if the patient
is otherwise healthy.
Dr Madhab Chattopadhyay
Hyderabad