Advertisement
অনলাইন পেপার : বিশ্ব জুড়ে চলা করোনা আতঙ্কের মধ্যে কিছুটা হলেও আশার খবর শোনালো মার্কিন প্রশাসন। তারা দাবি করছে, এতদিনে করোনা ভ্যাকসিন তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। আর তার প্রয়োগও শুরু হয়ে গিয়েছে। যদিও এসবই এখনও পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে।
প্রায় প্রতিদিনই কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে সারা বিশ্ব জুড়ে। সেই সঙ্গে বাড়ছে আক্রান্তের মৃত্যুও। তাই বাধ্য হয়েই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ‘মহামারি’ বলে ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে। তারা একাধিক সতর্কতামূলক প্রতিবেদন প্রচারও করছে। এখনও পর্যন্ত ভারতে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১২৫ জন। তার মধ্যে ভারতীয় ১০৩ জন এবং বিদেশি ২২ জন আছেন। এদেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখনও মারা গিয়েছেন ৩ জন। বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশই এখন এই মারণ ভাইরাস থেকে সতর্কতার সাথে মুক্তির উপায় খোঁজার চেষ্টা করে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে এর প্রতিষেধক বা ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টাও করছে।
![]() |
ছবি সংগৃহীত |
তবে এব্যাপারে ধারণা করা হচ্ছে, বেশ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে একটি মার্কিন সংস্থা। এই ভ্যাকসিন আবিস্কারের সঙ্গে যুক্ত আছেন এনআইএআইডি (দি ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব অ্যালার্জি এন্ড ইনফেক্সাস ডিজিজেস)-এর গবেষকরা। ১৬ মার্চ থেকে শুরু হওয়া প্রাথমিকভাবে ৪৫ জন করোনা আক্রান্তের ওপর এই পরীক্ষা করা হচ্ছে। এই ব্যক্তিদের প্রত্যেকের বয়স ১৮-৫৫ বছরের মধ্যে। স্বেচ্ছায় ভ্যাকসিন গ্রহণকারীদের প্রত্যেককে ১০০ ডলার করে দেওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছে ওই স্বাস্থ্য সংস্থা। এক্ষেত্রে ‘এমআরএনএ-১২৭৩’ নামক ভ্যাকসিনটি প্রয়োগের পর প্রায় ৪২ দিন পর্যন্ত ভ্যাকসিন গ্রহণকারী ব্যক্তিটিকে নজরে রাখা হবে। তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ভ্যাকসিনটির কার্যকারিতা কতটা সফল হয়েছে।
এটি এই ভ্যাকসিন পরীক্ষার প্রথম ধাপ বলে দাবি করা হচ্ছে। পরীক্ষায় পুরোপুরি সফল হতে আরও দু’টি ধাপ পেরোতে হবে। লাইভ সায়েন্স সূত্রে জানা গেল, এই প্রথম ধাপ অতিক্রম করার পর দ্বিতীয় ধাপে বেছে নেওয়া হবে আরও শতাধিক মানুষকে। সেখানে সফলতা এলে তৃতীয় ধাপে সহস্রাধিক মানুষের ওপর পরীক্ষা করা হবে এই ভ্যাকসিন। তারপর সাধারণ মানুষের জন্য ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হবে। এই সম্পূর্ণ পরীক্ষা চালাতে সময় লাগতে পারে প্রায় এক থেকে দেড় বছর। অর্থাৎ এই ভ্যাকসিন প্রকৃতই করোনার ভ্যাকসিন হিসাবে স্বীকৃতি পেতে অপেক্ষা করতে হবে প্রায় দেড় বছরের মতো।
কেমনভাবে কাজ করছে এই ভ্যাকসিন? এব্যাপারে গবেষকরা জানাচ্ছেন, কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস মূলত এসেছে সার্স সিওভি-২ করোনা ভাইরাস থেকে। তাই ভ্যাকসিনটি সার্স সিওভি-২ প্রতিরোধ করার ওপর কাজ করবে। পরীক্ষার প্রাথমিক পর্যায়ে লক্ষ্য রাখা হবে ভ্যাকসিনটি মানব শরীরে কোনও ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়া করছে কিনা। তবে গবেষকরা দাবি করছেন, এক্ষেত্রে ক্ষতি হওয়ার কোনও সম্ভাবনায় নেই।
১৬ মার্চ থেকে শুরু হওয়া ভ্যাকসিন পরীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রথম ব্যক্তি হলেন জেনিফার হলার। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটল অঞ্চলের স্টার্টআপ অপারেশন ম্যানেজার। তিনি এর প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন। গিকওয়ার্ক সূত্রে জানা গেল, তিনি এখন বেশ ভালো আছেন। এদিন জেনিফার হলার ছাড়া আরও ৩ জনকে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।
- All Rights Reserved
Advertisement