Advertisement
অনলাইন পেপার : বিশ্বের প্রায় সব দেশেই প্রবেশ করে ফেলেছে মহামারি ‘কোভিড-১৯’ করোনা ভাইরাস। যেহেতু এই ভাইরাসের এখনও পর্যন্ত কোনও ভ্যাকসিন বা অ্যান্টি-ভাইরাস আবিষ্কার হয়নি, তাই আতঙ্ক বেড়েই চলেছে ক্রমাগত। ইতিমধ্যে সারা পৃথিবীর প্রায় ৬ লক্ষ মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। তার মধ্যে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ২৭ হাজারেরও বেশি মানুষের। সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের খবর মিলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে। ইতিমধ্যে দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ পেরিয়ে গিয়েছে।
কিন্তু এর মাঝেও কিছুটা দিশা খুঁজে পেল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের দাবি, তাঁরা করোনা মোকাবিলায় এক নতুন চিকিৎসা পদ্ধতির সন্ধান পেয়েছেন। এই পদ্ধতিকে বলা হচ্ছে ‘ব্লাড প্লাজমা থেরাপি’। ফক্স বিজনেস সূত্রে জানা গেল, কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্রমণ বিশেষজ্ঞ ইয়ান লিপকিন এই নতুন পদ্ধতির কথা জানিয়েছেন।
ওই সূত্র থেকে আরও জানা গেল, ইয়ান লিপকিন তাঁর চিনা বন্ধুর কাছ থেকে সম্প্রতি একটি গবেষণাপত্র পেয়েছেন। তাতে উল্লেখ আছে, চিনে করোনা চিকিৎসায় ‘ব্লাড প্লাজমা থেরাপি’ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। এবং এর ফলও মিলেছে খুব ভালো। প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে চিনে প্রায় ৮১ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে এবং তার মধ্যে প্রায় ৭৫ হাজারেরও বেশি মানুষ সুস্থ হয়ে উঠেছে।
![]() |
ছবি : সংগৃহীত |
এই ‘ব্লাড প্লাজমা থেরাপি’ পদ্ধতি আসলে কী? ইয়ান লিপকিন জানিয়েছেন, এই পদ্ধতি নতুন কোনও পদ্ধতি নয়, বেশ পুরনো। পূর্বে যখন অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কার হয়নি, তখন এই পদ্ধতিতেই চিকিৎসা করা হত। এই পদ্ধতিতে পুরোপুরি সেরে ওঠা রোগীর শরীর থেকে প্রথমে অ্যান্টিবডি নেওয়া হয়। পড়ে এই অ্যান্টিবডি প্রবেশ করানো হয় একই রোগে আক্রান্ত অন্য রোগীর শরীরে। তাতে ফলও পাওয়া যায় বেশ ভালোই। এখনও ইনফুলেঞ্জার মতো রোগে এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা করা হয়।
ইয়ান লিপকিনের ওই চিনা বন্ধুর গবেষণাপত্র অনুযায়ী, প্রথমে সেরে ওঠা রোগীর শরীর থেকে অ্যান্টিবডি নিয়ে অন্য করোনা আক্রান্ত ১০ জন রোগীর শরীরে স্থাপন করা হয়েছিল। তারা প্রত্যেকেই এখন সুস্থ আছে।
ইয়ান লিপকিন আরও জানালেন, এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা শুরু করতে হলে সদ্য পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যাওয়া রোগীদের অ্যান্টিবডি দেওয়ার জন্য স্বেচ্ছায় এগিয়ে আসতে হবে। ১ জনের দেওয়া অ্যান্টিবডি থেকে সবচেয়ে বেশি অন্য প্রায় ৩ জন রোগীকে চিকিৎসা করানো যাবে।
নিউইয়র্ক টাইমস সূত্রে জানা গেল, ইতিমধ্যেই পরীক্ষামূলকভাবে এই ‘ব্লাড প্লাজমা থেরাপি’ পদ্ধতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসা শুরু হয়ে গিয়েছে। গুরুতর অসুস্থ রোগীদের এই পদ্ধতিতে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা চলছে।
- All Rights Reserved
Advertisement