Advertisement
চিরন্তন দাস : আমিষভোজীদের খাদ্যতালিকায় পিঁয়াজ একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। যদিও সবজী বাজারে এই মুহূর্তে পিঁয়াজের দাম যথেষ্ট চড়া। বছরের অধিকাংশ সময়ে পিঁয়াজ বাইরে থেকে আমদানি করা হলেও বাংলার প্রায় সব অঞ্চলে এই ফসলের চাষ হতে দেখা যায়। চাষের সময়ে বিভিন্ন রোগের কবলে পড়ে এই ফসল। তবে নিয়ম মাফিক পরিচর্যায় সেই রোগ থেকে মুক্তিও মেলে।
এখন শীতের মরশুমে চলছে শীতকালীন পিঁয়াজ চাষ। এই সময়ে কয়েকটি রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে। রোগগুলি মধ্যে ভূষা রোগ, ঝলসা রোগ অন্যতম। বীজ শোধন ও বীজতলা শোধন করে অথবা শুধুমাত্র আক্রান্ত গাছটিকে মাটি থেকে উপড়ে ফেলে এই রোগগুলির হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এছাড়া সাটসা পশ্চিমবঙ্গ সূত্র অনুযায়ী, রোগাক্রান্ত গাছে ম্যানকোজেব ২.৫ গ্রাম প্রতি লিটার জলে এবং কার্বেন্ডাজিম ২ গ্রাম প্রতি লিটার জলে গুলে স্প্রে করা যেতে পারে।
পিঁয়াজের ক্ষতিকারক পোকার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল চোষী পোকা। ছোটো ছোটো হলুদ রঙের এই পোকা পাতার রস খেয়ে সাদা অনিয়মিত গোলাকার দাগ সৃষ্টি করে। এর জন্য অ্যাসিফেট ০.৭৫ গ্রাম প্রতি লিটার জলে গুলে ৭ দিন অন্তর ৩–৪ বার স্প্রে করলে পোকা নিয়ন্ত্রণে আসে। তাছাড়া ১০০ গ্রাম তামাক পাতা এবং ৪০ গ্রাম নরম সাবান ১ লিটার জলে ২৪ ঘণ্টা ভিজিয়ে সেই নির্যাস ৮ লিটার জলে মিশিয়ে ৭ দিন অন্তর ৩ বার স্প্রে করলেও চোষী পোকার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
Advertisement