Advertisement
নিশির কুমার হাজরা : ডানপন্থী ঘরানার সমাজসেবী সুব্রত রায় দীর্ঘদিন ধরেই সমাজসেবার সঙ্গে যুক্ত। তিনি রাজনীতিতে নামেন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের হাত ধরে মাত্র ১৮ বছর বয়সে। তারপর দীর্ঘদিন তিনি এই দলের বিভিন্ন পদে এবং বেশ কয়েক বছর ১১ নম্বর ওয়ার্ড কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট পদে নিজুক্ত ছিলেন।
সুব্রতবাবু বরাবরই ডানপন্থী রাজনীতিতে বিশ্বাসী। সেসময়ে বারবার তাঁকে সিপিএমের চোখ রাঙানি হজম করতে হয়েছে। কিন্তু মাথা নত করেননি একবারের জন্যেও। এব্যাপারে তিনি বিবেকানন্দের অমূল্য বাণী ‘জীবে প্রেম করে যেইজন, সেইজন সেবিছে ঈশ্বর’ কে পাথেয় করে পথ হেঁটেছেন। তখন শ্রমিক শোষণ ও তোষনের অন্দরে জাতীয় কূটনৈতিক প্রেক্ষাপটে কোনও বিরোধী জননেতা ছিল না বললেই চলে। বঙ্গের অগ্নি কন্যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখনও ক্ষমতায় আসেননি।
২০০৫ সালে কংগ্রেস ছেড়ে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন সুব্রতবাবু। তখন থেকেই সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস উত্তর হাওড়ার সহ-সভাপতি পদে বসে নানান সমাজসেবামূলক কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখতে থাকেন।
সমাজসেবাই ছিল তাঁর জীবনের মূল উদ্দেশ্য। বহু আগে থেকেই তিনি এই কাজের সাথে নিজেকে জড়িয়ে নিয়েছেন। তৃণমূলের খাতায় নাম লেখানোর আগে জাতীয় কংগ্রেসের ছত্রছায়ায় দীর্ঘ ৪৫ বছরের রাজনীতি জীবনে তিনি বহু মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। কখনও কোনও কন্যাদায়গ্রস্ত পিতার হাতে নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী অর্থ প্রদান, দুরারোগ্য ব্যাধি ক্যান্সারের ওষুধ কেনার জন্য অর্থ প্রদান, টিবি রোগীকে চিকিৎসা ও পণ্য প্রদান, শ্রবণশক্তি হারানো ব্যক্তিকে শ্রবণযন্ত্র প্রদান, স্কুল ও কলেজে ভর্তি হতে না পেরে ফিরে আসা ছাত্র-ছাত্রীদের নিজে অর্থব্যয়ে স্কুল কলেজে ভর্তি ও বই-খাতা কেনার জন্য সাহায্য করা ছাড়াও তাঁর সমাজসেবামূলক কাজের বিবরণ দিয়ে শেষ করা প্রায় অসম্ভব।
স্থানীয় বাসিন্দা এবং বিশিষ্ট সমাজসেবীর পক্ষে সঞ্জয় চক্রবর্তী খেদ প্রকাশ করে জানালেন, দীর্ঘদিন সুব্রতবাবু এলাকার বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত। তাছাড়াও দীর্ঘ ১০ বছর সালকিয়া এএস হাই স্কুলের সভাপতির পদ অলংকৃত করেছেন। অন্য দু-তিনটি স্কুলের সম্পাদকের ভূমিকায়ও তাঁকে দেখা গিয়েছে বহু বছর। নয়নের মনি সমাজসেবী সুব্রত রায়কে এলাকার মানুষ বাচ্চুদা নামে চেনেন। আজ তিনি মানুষের ঠুনকো ভালোবাসা ছাড়া কি পেলেন?
Advertisement