Advertisement
চিরন্তন দাস : আলু চাষের মরশুম চলছে এখন। বীরভূম বরাবরই আলু চাষের জন্যে পশ্চিমবঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে আছে। যদিও বুলবুলের ধাক্কায় এই চাষের সময়কাল কিছুটা পিছিয়ে গিয়েছে। তবুও দেরিতে হলেও অজয় ও ময়ূরাক্ষী নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিপুল হারে আলু চাষ করতে দেখা যাচ্ছে চাষিদের। বাজারে এই সময়ে খাবার আলু বা বীজ আলুর দাম বর্তমানে কিছুটা চড়া। তাই চাষিদের অনেকেই আলু চাষের জন্যে সুদের কারবারি বা ব্যাঙ্কের থেকে লোন নিতেও বাধ্য হয়েছেন।
এখন সমস্ত কিছু আয়োজনের পর যদি আশানরূপ ফলন না পাওয়া যায়, তাহলে চাষিদের হতাশ হওয়া ছাড়া অন্য কোনও উপায় থাকবে না। আলু চাষের প্রধান সমস্যা তার ‘ধ্বসা’ রোগ। চাষের শুরুতেই এই রোগের প্রকোপে চাষিদের দারুণভাবে ভুগতে হয়। কিন্তু তার সুচিকিৎসাও আছে। বোলপুর কৃষি দফতর তার সমাধানও দিয়েছে। দফতর সূত্রে জানা গেল, আলুর এই ধ্বসা রোগ প্রধানত দু–রকমের, নাবিধ্বসা ও জলদিধ্বসা। নাবিধ্বসা হওয়ার পূর্বে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে প্রতিষেধক হিসাবে কপার ও ম্যাঙ্গোজেব একত্রে মিশিয়ে স্প্রে করা যেতে পারে। কিন্তু এই রোগে আক্রান্ত হলে ডাইমিথোমক্স ও ম্যাঙ্গোজেব একত্রে মিশিয়ে প্রতি লিটার জলে ৩ গ্রাম ব্যবহার করতে হবে।
কৃষি দফতর সূত্রে আরও জানা গেল, জলদিধ্বসা হলে মিটালডিত মিক্সার ও ম্যাঙ্গোজেব একত্রে মিশিয়ে ১৫ দিন অন্তর ব্যবহার করতে হবে। তাছাড়াও কিছু ক্ষেত্রে আলুতে জাতপোকার উপদ্রব দেখা যায়। সেক্ষেত্রে ডাইমেথোড ১ লিটার জলে ২ গ্রাম ব্যবহার করা যেতে পারে।
Advertisement