Advertisement
চিরন্তন দাস : শীত আসতেই ক্রমশ সাপেরা ‘শীতঘুমে’ চলে যেতে থাকে। শীত আসার পূর্বে তাই সাপের উপদ্রব কিছুটা বাড়তে লক্ষ করা যায়। কারণ এই সময় তাদের খাদ্যের প্রয়োজন পরে। এই খাদ্য শরীরে যথা সম্ভব সঞ্চয় করে তাদের শীতঘুমে যেতে হয়। তারপর সমস্ত শীতের মরশুমে তাদেরকে, বিশেষ করে বিষধর সাপদের আর তেমনভাবে বাইরে আসতে দেখা যায় না।
যদিও এখনও ভরা শীতের মরশুম আসতে বেশ কিছুদিন দেরি, কিন্তু অজয় নদের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলিতে ইতিমধ্যেই জাঁকিয়ে শীত পড়তে শুরু করেছে। তা সত্ত্বেও অজয় নদের পশ্চিম উপকূল বিশেষ করে বাহিরী–পাঁচশোয়া, সিয়ান–মুলুক আর সিঙ্গি–বেজরা অঞ্চলের গ্রামগুলিতে বিষধর সাপের উপদ্রব কমার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এই বিষধর সাপের মধ্যে চন্দ্রবোড়া জাতীয় সাপই বেশি নজরে আসছে।
এই অঞ্চলগুলিতে গত এক বছর ধরেই বিষধর সাপগুলি তাদের নিজস্ব ভঙ্গিমায় তাণ্ডব চালিয়ে আসছে। স্থানীয় বাসিন্দারা ভেবেছিলেন শীতের মরশুমে তাদের হাত থেকে হয়তো কিছুটা রক্ষা পাওয়া যাবে। কিন্তু শীত এলেও পরিস্থিতির কোনও উন্নতি হয়নি। স্থানীয়দের দাবি, ইতিমধ্যেই গত এক মাসে ওই অঞ্চলগুলির ধান্যসড়া, উপরখড়া ও বেজরা গ্রামের ৮ জন বাসিন্দা সাপের কামড়ে মারা গিয়েছেন। এছাড়া আরও ৩ জন আহত হয়েছেন। যদিও আহতরা বর্তমানে সুস্থ আছেন।
সাপের উপদ্রব বাড়ার কারণ হিসাবে স্থানীয় বাসিন্দারা অনুমান করছেন, রাস্তা সংস্কার কারার সময় যে পাথর আনা হয়েছিল সেই পাথরের গাড়ির সাথে ওই বিষধর সাপগুলি কোনওভাবে পাহাড়ি অঞ্চল থেকে চলে এসেছে। পরে ক্রমশ বংশবৃদ্ধির ফলে তাদের পরিমাণও মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছে এখন। স্থানীয় বাসিন্দাদের আরও অনুমান, পাহাড়ি সাপেদের শীত সহ্যের ক্ষমতা বেশি। তাই তারা শীতের মরশুমেও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এই অঞ্চলে।
Advertisement