Advertisement
বিজয় ঘোষাল : সমস্ত চিন্তার অবসান ঘটিয়ে পূর্বের মতো নির্দিষ্ট সময়েই শুরু হতে যাচ্ছে এবছরের শান্তিনিকেতন পৌষমেলা। যাকে কেন্দ্র করে এতদিন দ্বিধায় দিন কাটছিল সবার। গত জুনে জানানো হয়েছিল ১৪২৬ সালের পৌষমেলার দায়িত্ব থেকে সরে যাচ্ছে বিশ্বভারতী। কিন্তু ১৯ অক্টোবরের বৈঠকে বিশ্বভারতী পৌষমেলা নিজের দায়িত্বে রাখারইই সিদ্ধান্ত নিল।
ওইদিন গ্রন্থন বিভাগের কনফারেন্স হলে পৌষমেলার ভবিষৎ নিয়ে বৈঠকে বসেন উপচার্য বিদুৎ চক্রবর্তী, কর্মসচিব সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য আধিকারিকরা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শান্তিনিকেতন টাস্ট্র ও কর্মীপরিষদের আধিকারিরাও। বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গেল, এবছরের পৌষমেলা ৬ দিনের পরিবর্তে ৪ দিনে কমিয়ে আনা হবে। ৪ দিন পর স্টল না উঠলে তাদের আর্থিক জরিমানা করা হবে।
এদিনের বৈঠকে আরও জানা যায়, এবারের মেলার স্টল কর্তৃপক্ষদের স্টলের জন্য বুকিং করতে হবে অনলাইনে। ফলে জায়গা বিতরনের ক্ষেত্রে যে দুর্নীতি হয়, তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। স্টল বুকিং করতে আবেদেন করার সময় তাদের কাছ থেকে কিছু টাকা সিকিউরিটি হিসাবে জমা রাখা হবে। সুত্রে আরও জানা যায়, কোনও স্টল চার দিনের পর নির্দিষ্ট সময়ে না উঠলে তাকে সেই জমা করা সিকিউরিটির অর্থ থেকে মোটা অঙ্কের জরিমানা ধার্য করা হবে এবং চারদিন পরই স্টল তুলে দিলে তাকে পুরো টাকা তার নিজস্ব ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়া হবে।
চারদিনে মেলা তুলতে রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় এজেন্সির সাহায্য নেওয়ারও পরিকল্পনা করছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। মেলাকে প্রতিদিন পরিষ্কার-পরিচ্ছন রাখতে বোলপুর পৌরসভার পাশাপাশি স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও অভিযান চালাবে।
Advertisement