কেরলে অগ্রিম বর্ষা প্রবেশ করাই দেশের অন্যান্য অংশেও যে অগ্রিম বর্ষা প্রবেশ করবে এটাই স্বাভাবিক। বঙ্গেও তার প্রভাব পড়েছে। নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের হাত ধরেই উত্তরবঙ্গে প্রবেশ করেছে বর্ষা। যদিও দক্ষিণবঙ্গে এখনও তার আনুষ্ঠানিক আগমন ঘটেনি।

দক্ষিণবঙ্গে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের প্রভাব এখন প্রায় কেটেই গিয়েছে। আবহাওয়া দফতর ইতিমধ্যে দক্ষিণবঙ্গে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ৩ থেকে ৪ ডিগ্রী তাপমাত্রা বৃদ্ধির সতর্কতাও জারি করেছে। তবে উত্তরবঙ্গে এখনও নিম্নচাপের প্রভাব চলছে। এবং আগামী কয়েকদিন সেখানে এই প্রভাব বিরাজও করবে।
ইতিমধ্যে কেরলে নির্ধারিত দিনের কয়েকদিন আগেই বর্ষা প্রবেশ করে ফেলছে। কেরলকেই ধরা হয় ভারতে বর্ষা প্রবেশের মূল প্রবেশ দ্বার। কারণ সেখানেই সর্বপ্রথম বর্ষা প্রবেশ করে। তারপর দেশের অন্যান্য অংশে তার প্রবেশ ঘটে।
সরকারিভাবে কেরলে বর্ষা প্রবেশের নির্ধারিত দিন ধরা হয় ১ জুনকে। যদিও প্রায় প্রতি বছর ওই তারিখের কয়েকদিন আগে বা কয়েকদিন পরে বর্ষা প্রবেশ করে। এই যেমন গত বছর কেরলে বর্ষা প্রবেশ করেছিল ৩০ মে। ২০২৩-এ অবশ্য কিছুটা দেরি হয়েছিল। ওই বছর বর্ষা প্রবেশ করে ৮ জুন। আর এই বছর নির্ধারিত দিনের ৮ দিন আগেই কেরলে বর্ষা প্রবেশ করে ফেলছে। যা গত ১০ বছরের মধ্যে আর ঘটেনি।
কেরলে অগ্রিম বর্ষা প্রবেশ করাই দেশের অন্যান্য অংশেও যে অগ্রিম বর্ষা প্রবেশ করবে এটাই স্বাভাবিক। বঙ্গেও তার প্রভাব পড়েছে। নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের হাত ধরেই উত্তরবঙ্গে প্রবেশ করেছে বর্ষা। যদিও দক্ষিণবঙ্গে এখনও তার আনুষ্ঠানিক আগমন ঘটেনি। তবে আশা করা হচ্ছে দিন কয়েকের মধ্যেই সমগ্র দক্ষিণবঙ্গেই ছড়িয়ে পড়বে এ বছরের মৌসুমি বর্ষা।
স্বাভাবিকভাবেই চাষিদের মুখে হাসি ফোটার কথা। কারণ বছরের এই মৌসুমি বর্ষা র দিকেই তাকিয়ে থাকেন এদেশের অধিকাংশ চাষি। দেশের প্রায় ৭০ শতাংশ বর্ষাও হয় এই সময়ে। খারিফ ফসলের জন্য এ এক উপযুক্ত সময়।
কিন্তু একাধিক বিশেষজ্ঞের চিন্তা, প্রয়োজনের সময় উপযুক্ত বর্ষা আদৌ পাবে তো চাষিরা? কারণ অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, যে বছর দেশে অগ্রিম বর্ষা র আগমন ঘটেছে, ভরপুর বর্ষা র মরশুমে তেমন বৃষ্টির দেখা আদৌ পাওয়া যায়নি। অথবা খুব দ্রুত বর্ষা র বিদায়ও ঘটেছে। তাই এই মরশুমে অগ্রিম বৃষ্টির দেখা মিললেও তার সুফল চাষিরা কতটা পাবে সে ব্যাপারে কিছুটা উদ্বেগেই রয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।