অর্থনৈতিক দৈন্য, ধর্মীয় গোঁড়ামি, সামাজিক রাজনীতি, সচেতনতার অভাব ইত্যাদির প্রভাবে আজও ভারতীয় পরিবেশের প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে মাতৃস্বাস্থ্য, কৈশোরকালীন স্বাস্থ্য ও পুষ্টির দিকটি বরাবর উপেক্ষিত থেকে যায়। তবে বর্তমানে বেশ কিছু সংস্থাকে ওই সমস্ত বিষয়ের জন্য যথেষ্ট সচেতনতার বার্তা প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলিতে পৌঁছে দিতে এগিয়ে আসতে দেখা যাচ্ছে। – ছবি : জনদর্পণ প্রতিনিধি |

অরবিন্দ মালী : স্বাস্থ্য সচেতনতার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাতৃস্বাস্থ্য ও কৈশোরকালীন স্বাস্থ্য। সাধারণত উন্নয়নশীল দেশগুলিতে মাতৃকালীন স্বাস্থ্য পরিচর্যা ও কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্যের দিকটি বিশেষভাবে নজর দেওয়া হয়। কেন না ভবিষ্যতের নাগরিকদের সুস্বাস্থ্য উন্নতি করতে এই দুটি বিষয় বিশেষভাবে নজর দেওয়া প্রয়োজন।
কিন্তু অর্থনৈতিক দৈন্য, ধর্মীয় গোঁড়ামি, সামাজিক রাজনীতি, সচেতনতার অভাব ইত্যাদির প্রভাবে আজও ভারতীয় পরিবেশের প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে মাতৃস্বাস্থ্য, কৈশোরকালীন স্বাস্থ্য ও পুষ্টির দিকটি বরাবর উপেক্ষিত থেকে যায়। তবে বর্তমানে বেশ কিছু সংস্থাকে ওই সমস্ত বিষয়ের জন্য যথেষ্ট সচেতনতার বার্তা প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলিতে পৌঁছে দিতে এগিয়ে আসতে দেখা যাচ্ছে।
গত ২৫ জানুয়ারি রাজনগর ব্লকের গাঙমুড়ি-জয়পুর গ্রাম পঞ্চায়েত, CINI (Child In Need Institute) ও Oracel India এর যৌথ উদ্যোগে মা শিশু এবং কিশোর কিশোরীদের স্বাস্থ্য এবং পুষ্টি নিয়ে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করল গাঙমুড়ি-জয়পুর পঞ্চায়েত। এদিনের সভায় মাতৃত্বকালীন স্বাস্থ্য সাবধানতা, প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও যত্ন, টিকাকারণ ও কিশোর-কিশোরীদের পুষ্টি ও আইরন ট্যাবলেট এর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এর পাশাপাশি কোভিড ১৯ সময়কালীন স্বাস্থ্য সাবধানতা, পরিচ্ছন্নতার গুরুত্ব নিয়েও আলোচনা হয়।
এদিনের আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন একাধিক বিশিষ্টজন। যাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন গাঙমুড়ি জয়পুর পঞ্চায়েত প্রধান সহ একাধিক সদস্য, পঞ্চায়েত এলাকার কার্যরত আশা, ANM এবং অঙ্গনওয়ারী কর্মী সহ Child In Need Institute (CINI) এর কর্মী বৃন্দ।