Advertisement
সুজয় ঘোষাল : প্রত্যেকেরই স্বপ্ন থাকে নিজের পায়ে নিজের মতো করে দাঁড়ানোর, স্বাবলম্বী হওয়ার। কর্ম প্রতিযোগিতার এই বাজারে সরকারী চাকরির আশা সবাই করে থাকে। কিন্তু সবার ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয় না। ছাত্রাবস্থায় খুব মেধাবী হয়েও অনেক সময় উপযুক্ত চাকরি পাওয়া মুশকিল হয়ে পড়ে। তখন অন্য কর্মের দিকে নজর দিতে হয়। যারা মেধাবী নয়, তারাও স্বপ্ন দেখে। সরকারী বা উপযুক্ত বেসরকারি চাকরি না পেলেও শেষ পর্যন্ত বিকল্প ব্যবস্থা নিতে হয়। আসল কথা কর্ম জীবনে পা সবাইকেই রাখতে হবে।
কিন্তু সুযোগ পাওয়াটাই সবচেয়ে বড়ো চ্যালেঞ্জ, অন্তত বর্তমান সময়ে। এব্যাপারে বেকার যুবক–যুবতীরা অনেক সময়ে বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে পাশে পেয়ে যায়। তাদের উদ্যোগে যুবক–যুবতীরা নিজেদের স্বপ্নকে নিজের মতো করে সাজানোর সাহস খুঁজে পায়।
এরকমই একটি সংস্থা হল আমোদপুরের‘টেগর অর্গানাইজেশন’। তারা এই এলাকায় ‘নেহেরু যুব কেন্দ্র’-এর সহযোগিতায় বেকার যুবকদের ২ মাসের এসি ও রেফ্রিজারেটর সার্ভিসিং–এর প্রশিক্ষণ দেয়। এছাড়াও দুঃস্থ মহিলাদের রাজ্য সমাজ কল্যাণ দফতরের ‘স্বাবলম্বন’ প্রকল্পের মাধ্যমে গুজরাটি কাঁথা স্টীচ–এর প্রশিক্ষণ দেয়। উভয় বিষয় মিলিয়ে তারা এবার ২৫ জন করে মোট ৫০ জনকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। ৬ মার্চ সংস্থাটি শিক্ষার শেষে প্রশিক্ষণ ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে ওই ৫০ জন শিক্ষার্থীর হাতে শংসাপত্র তুলে দিল।
এদিন এই বিশেষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বীরভূম জেলার নেহরু যুব কেন্দ্রের সমম্বায়ক রায়া দাস, বিশ্বভারতীর সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক সুকুমার পাল ও দেবকুমার কর। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আমোদপুর সাহিত্য সংসদের সম্পাদক সত্যেন্দ্র মুখোপাধ্যায়, বোলপুর-শ্রীনিকেতনের রোটারী ক্লাবের সভাপতি অরিন্দম দত্ত ও আমোদপুর জয়দুর্গা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সুশান্ত ভট্টাচার্য।
শংসাপত্র প্রদান ছাড়াও এদিনের অনুষ্ঠানে ছিল নাচ, গান, আবৃত্তি সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এদিনের অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল আমোদপুর যোগ শিক্ষা কেন্দ্রের ছোটদের যোগ প্রদর্শনী। অনুষ্ঠান সম্পর্কে ‘টেগর অর্গানাইজেশন’-এর সম্পাদক ডাঃ অনুপম গঙ্গোপাধ্যায় জানালেন, ‘প্রশিক্ষণের মাধ্যমে গ্রাম বাংলার বহু যুবকরা কর্মসংস্থানের দিশা খুঁজে পাবে’।
Advertisement