Advertisement
ধ্রুব পাল : আসছে বড়দিন। শহর থেকে শহরতলিগুলি সেজে উঠবে নতুন করে। রঙিন আলোকসজ্জায় মুড়িয়ে দেওয়া হবে ক্রিসমাস ট্রি ও গির্জাগুলি। পথের দু’ধারে হাজির হবে বড়দিনের কেক।
খ্রীষ্টধর্ম মতে ২৫ ডিসেম্বর যীশু খ্রিস্টের জন্মদিন। আর এই দিনটিকেই বলা হয় বড়দিন।কিন্তু অনেকেই হয়তো জানে না ২৫ ডিসেম্বরকেই কেন বড়দিন বলে? এই বিষয়ে বেশ কতকগুলি মতের প্রচলন আছে। তবে আপাতভাবে সমস্ত মতগুলির ওপর নজর দিলে দেখা যাবে, বড়দিন বলার কারণ আসলে একই।
একটি মত বলছে, বড়দিন কথাটি প্রাচীন রোমান পৌত্তলিক ধর্ম থেকে এসেছে। প্রাচীন রোমানরা ছিলেন সূর্যের উপাসক। সেখানে খ্রীষ্টধর্মের প্রসারেরও অনেক আগেথেকে প্রচলন ছিল সূর্যেরউপাসনা। পৌত্তলিক ধর্মে মকর সংক্রান্তিতে একে অপরকে উপহার দেওয়ার রীতি ছিল। ২১ ডিসেম্বর মকর সংক্রান্তির পর ২৫ ডিসেম্বর দেওয়া হত উপহার। তাই এই দিনটিকে তারা বড়দিন বলত।
ভারতীয় মতানুসারে, অতীতে ২৫ ডিসেম্বর ভারতে মকর সংক্রান্তি পালন করা হত। ওই দিন নিজের সাধ্যমত প্রচুর দান–ধ্যানও করত মানুষ। তাই দিনটির নাম দেওয়া হয়েছিল বড়দিন।
তবে বড়দিন নাম হওয়ার পিছনে বিজ্ঞানসম্মত কারণটি হল, ২১ ডিসেম্বর মকর সংক্রান্তির পর ২৫ ডিসেম্বর থেকে দিনের দৈর্ঘ্য মানুষের পর্যবেক্ষণ করার মতো বৃদ্ধি পায়। ক্রমশ ছোট হতে থাকে রাত। আর দিন হতে থাকে বড়। তাই ২৫ ডিসেম্বরকে বলা হয় বড়দিন। এই প্রক্রিয়া চলতে থাকে কর্কট সংক্রান্তি পর্যন্ত।
Advertisement