Advertisement
অনলাইন পেপার : আধুনিক সভ্যতায় বিদ্যুতের কোনও বিকল্প নেয়। তাই বিদ্যুৎ ব্যবস্থা এবং তার পরিষেবার উত্তরোত্তর উন্নতি ঘটিয়ে চলেছে মানুষ। তাপবিদ্যুৎ হল বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত বিদ্যুৎ প্রকল্প। কারণ এই ব্যবস্থায় জীবাশ্ম জ্বালানির যোগান পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকলে কম সময়ে প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা সম্ভব হয়। কিন্তু জীবাশ্ম জ্বালানির যোগান অদূর ভবিষ্যতে কমে এলে এই ব্যবস্থায় টান পড়তে বাধ্য। তাই বিদ্যুৎ তৈরির বিকল্প ব্যবস্থারও উন্নতি ঘটছে প্রতিনিয়ত।
বিকল্প ব্যবস্থার মধ্যে সৌরবিদ্যুৎ সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি প্রকল্প। এই প্রকল্পের প্রথম দিকে অর্থাৎ ভিত্তি স্থাপনের সময় খরচ সামান্য বেশি হলেও দীর্ঘদিন এই ব্যবস্থায় নিখরচে বিদ্যুৎ পাওয়া সম্ভব। একবার ভিত্তি স্থাপন হয়ে গেলে প্রয়োজন পড়ে না অন্যের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকার। যে সমস্ত অঞ্চলে এখনও সাধারণভাবে বিদ্যুৎ পৌঁছানো সম্ভব হয়নি, সেখানে এই বিকল্প ব্যবস্থায় খুব সহজেই বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে। তার জন্যে শুধুমাত্র নির্ভর করতে হচ্ছে সূর্যের তাপ ও আলোর ওপর।
তবে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের সবচেয়ে বড়ো অসুবিধা, এক্ষেত্রে বিদ্যুতের পরিমাণ যথেষ্ট কম পাওয়া যায়। এখনও পর্যন্ত ব্যবহৃত সোলার সেলের কার্য ক্ষমতার হার মাত্র ১৫-২০ শতাংশ (সর্বোচ্চ)। কিন্তু এই ব্যবস্থায় এবার পরিবর্তন আসতে চলেছে। অন্তত সেরকমই একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে গুড নিউজ নেটওয়ার্ক-এ।
ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, এবার সোলার সেলের কার্য ক্ষমতা ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। আর তা সম্ভব হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল রিনিউয়েবল এ্যানার্জি ল্যাবরেটরির একদল বিজ্ঞানীর গবেষণায়।
ওই গবেষক দলটির দাবি, পূর্বে সৌরবিদ্যুৎ তৈরির সোলার সেলের কার্য ক্ষমতা ছিল খুবই কম অর্থাৎ মাত্র ১৫-২০ শতাংশ। আর এর থেকে বিদ্যুৎ পাওয়াও যেত খুবই সামান্য। কিন্তু তাঁদের তৈরি নতুন সোলার সেল অনেক উন্নত। এর কার্য ক্ষমতা ৪৭.১ শতাংশ বা প্রায় ৫০ শতাংশের কাছাকাছি। এই সোলার সেলটি তৈরি করা হয়েছে ছয়টি ফটো একটিভ স্তর দিয়ে।
এই প্রকল্পের একবার ব্যবহার শুরু হলে সৌরবিদ্যুৎ জগতের নতুন দিগন্ত খুলে যাবে, এতে কোনও সন্দেহ নেই। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পাওয়া যাবে আরও অনেক বেশি বিদ্যুৎ।
Advertisement