এমনই একটি জলজ বা সামুদ্রিক উদ্ভিদের খোঁজ পেলেন বিজ্ঞানীরা, যেটি এখনও পর্যন্ত সর্ববৃহৎ উদ্ভিদ বলেই মনে করছেন তাঁরা। তাঁদের ধারণা উদ্ভিদটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটান অঞ্চলের থেকেও প্রায় ৩ গুণ বড়। অথবা প্রায় ২০ হাজার ফুটবল মাঠের সমান হতে পারে ওই উদ্ভিদের আয়তন। এটি একটি ঘাস পরিবারের উদ্ভিদ। একে ‘সি গ্রাস’ বলা হচ্ছে। এছাড়াও ‘রিবন উইড’ নামেও এটি বেশ পরিচিত। অস্ট্রেলিয়ার সমুদ্র উপকূলে খোঁজ পাওয়া গিয়েছে এই সর্ববৃহৎ উদ্ভিদটির।

অনলাইন পেপার : বৃক্ষ জাতীয় উদ্ভিদদেরই এতদিন পর্যন্ত বৃহৎ উদ্ভিদের পর্যায়ে রাখা হত। বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ এই পর্যায়ে সামিল ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ের একটি গবেষণা রীতিমতো অবাক করে দিয়েছে উদ্ভিদ বিজ্ঞানীদের। তাঁরা খোঁজ পেয়েছেন এমন একটি উদ্ভিদের, যার আয়তন প্রায় ২০ হাজার ফুটবল মাঠের সমান। তবে এটি স্থলভাগের কোনও স্বাভাবিক উদ্ভিদ নয়, সামুদ্রিক উদ্ভিদ। এর জন্ম ও বেড়ে ওঠা সবই সামুদ্রিক পরিবেশে হয়েছে, বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা।
সাধারণভাবে স্থালভাগই উদ্ভিদের জন্মানো বা বেড়ে ওঠার অনুকূল স্থল। তবে জলভাগেও বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদের জন্ম হতে পারে। সাধারণ কথায় তারা জলজ উদ্ভিদ নামে পরিচিত। স্থলভাগের উদ্ভিদগুলির সঙ্গেই সবচেয়ে বেশি পরিচিত মানুষের। জলভাগের, বিশেষ করে জলভাগের নিচের অঞ্চলের উদ্ভিদের সঙ্গে তেমন একটা সখ্যতা নেই মানুষের। তাই তাদের সঙ্গে পরিচয়ও ঘটে কম। তার উপর যদি সেটি হয় কোনও সামুদ্রিক উদ্ভিদ, তাহলে পরিচিত হওয়ার সম্ভাবনা আরও কমে যাওয়াটাই স্বাভাবিক।
এমনই একটি জলজ বা সামুদ্রিক উদ্ভিদের খোঁজ পেলেন বিজ্ঞানীরা, যেটি এখনও পর্যন্ত সর্ববৃহৎ উদ্ভিদ বলেই মনে করছেন তাঁরা। তাঁদের ধারণা উদ্ভিদটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটান অঞ্চলের থেকেও প্রায় ৩ গুণ বড়। অথবা প্রায় ২০ হাজার ফুটবল মাঠের সমান হতে পারে ওই উদ্ভিদের আয়তন। এটি একটি ঘাস পরিবারের উদ্ভিদ। একে ‘সি গ্রাস’ বলা হচ্ছে। এছাড়াও ‘রিবন উইড’ নামেও এটি বেশ পরিচিত। অস্ট্রেলিয়ার সমুদ্র উপকূলে খোঁজ পাওয়া গিয়েছে এই সর্ববৃহৎ উদ্ভিদটির।
বিজ্ঞানীরা অনেকটা হঠাৎ করেই সন্ধান পেয়েছেন এই সামুদ্রিক ঘাস প্রজাতির উদ্ভিদের। এটি কলোনি তৈরি করে বেড়ে উঠেছে অস্ট্রেলিয়ার পার্থ শহরের ৮০০ কিলোমিটার উত্তরে সার্ক বে অঞ্চলে। বিজ্ঞানীরা প্রথম দিকে কোনওভাবেই অবগত ছিলেন না এই উদ্ভিদের প্রকৃতি সম্পর্কে। পরে উদ্ভিদটির জিন পরীক্ষার মাধ্যমে পরিষ্কার হয়ে যায় তাঁদের কাছে। প্রায় ১৮ হাজার বার তাঁরা জিন পরীক্ষা করেছেন উদ্ভিদটির। পরে জানতে পারেন এই অঞ্চল জুড়ে ছড়িয়ে থাকা ঘাস আসলে একটিই উদ্ভিদ।
জিন পরীক্ষার মাধ্যমে তাঁরা আরও জানতে পেরেছেন, উদ্ভিদটি বছরে প্রায় ৩৫ সেন্টিমিটার করে বাড়তে পারে। আর এই হিসাবে উদ্ভিদটির বয়স হতে পারে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার বছর। বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, সমুদ্রের সমস্তরকম তাপ, লবণাক্ত পরিবেশ, আলোর তীব্রতা সহ্য করেও এতদিন দিব্যি বেঁচে রয়েছে এই ‘সি গ্রাস’।