স্বামীজি আরও জানালেন, এ বছর তারা বিশ্বকল্যাণ যজ্ঞ ও পূর্ণাহুতির মাধ্যমে সারদা দেবীর কাছে প্রার্থনা করছেন, পৃথিবী যাতে কোভিড মুক্ত হয়। সারদা কাত্যায়নীর দেবীর পুজো দুবরাজপুর বাসীর কাছে একটি প্রধান উৎসব। এই পুজো উপলক্ষে কলকাতার বরাহনগর মঠ থেকে শ্রী শ্রী গোপাল জীউ এর বিগ্রহকে আনা হয়েছে। এছাড়া বরানগর মঠ থেকে এসেছেন আশ্রমের বরিষ্ঠ সন্ন্যাসীগণ। পুজোর চার দিন হাজার হাজার ভক্ত ও সাধু সমাগমে আশ্রম প্রাঙ্গণ মুখরিত হয়ে উঠেছে। |

সোমনাথ মুখোপাধ্যায় : স্বামী অভেদানন্দের মন্ত্র শিষ্য ঠাকুর সত্যানন্দ দেবের প্রতিষ্ঠিত বীরভূম জেলার দুবরাজপুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রমে প্রতি বছরের মতো এই বছরও মহাসমারোহে অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল শ্রী শ্রী সারদা কাত্যায়নী পুজো। ঠাকুর সত্যানন্দ দেব মা সারদা দেবীকেই কাত্যায়নী রূপে পুজোর প্রচলন শুরু করেন ১৯৪২ সাল থেকে। সেই থেকে এই পুজো অনুষ্ঠিত হয়ে চলেছে।
গত ১০ ডিসেম্বর থেকে দুবরাজপুর আশ্রমে কাত্যায়নী পুজো শুরু হয়েছে। এই পুজো অনুষ্ঠিত হয় সপ্তমী থেকে দশমী পর্যন্ত। পুজো উপলক্ষে যথাবিহিত নিয়মে অনুষ্ঠিত হল চণ্ডীপাঠ, হোম যজ্ঞ। নবমীর দিন হোম যজ্ঞের সাথে নর নারায়ণ সেবাও অনুষ্ঠিত হল।

দুবরাজপুর আশ্রমের শীর্ষসেবক স্বামী সত্যশিবানন্দ জানালেন, প্রতি বছরের মতো এ বছরেও শ্রী রামকৃষ্ণ মঠ মিশন, বরাহনগর আশ্রম, ভারত সেবাশ্রম সংঘ সহ বিভিন্ন আশ্রম থেকে সাধু মহত্মা ও ভক্তবৃন্দের এক মহা সমাগম হয়েছে দুবরাজপুর আশ্রমে। কাত্যায়নী পুজো-র আকর্ষণে দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তবৃন্দের দল সমবেত হয়েছেন। তারা পরম ভক্তিভরে মায়ের চরণে অঞ্জলি প্রদান করে প্রসাদ গ্রহণ করছেন। ১২ ডিসেম্বর নবমীর দিন দশ বারো হাজার ভক্তকে অন্নকূট মহোৎসবে প্রসাদ বিতরণ করা হয়।
স্বামীজি আরও জানালেন, এ বছর তারা বিশ্বকল্যাণ যজ্ঞ ও পূর্ণাহুতির মাধ্যমে সারদা দেবীর কাছে প্রার্থনা করছেন, পৃথিবী যাতে কোভিড মুক্ত হয়। সারদা কাত্যায়নীর দেবীর পুজো দুবরাজপুর বাসীর কাছে একটি প্রধান উৎসব। এই পুজো উপলক্ষে কলকাতার বরাহনগর মঠ থেকে শ্রী শ্রী গোপাল জীউ এর বিগ্রহকে আনা হয়েছে। এছাড়া বরানগর মঠ থেকে এসেছেন আশ্রমের বরিষ্ঠ সন্ন্যাসীগণ। পুজোর চার দিন হাজার হাজার ভক্ত ও সাধু সমাগমে আশ্রম প্রাঙ্গণ মুখরিত হয়ে উঠেছে। বাস্তবিক দুবরাজপুর আশ্রমের সারদা কাত্যায়নী পুজো জেলার একটি ব্যতিক্রমী উৎসব রূপেই গণ্য হয়।