সাবধান, ‘সেক্সটরসন’ ঘটিয়ে হামলা চালাচ্ছে সাইবার অপরাধীরা

Advertisement
অনলাইন পেপার : দিনে দিনে প্রযুক্তির যত উন্নতি ঘটছে, সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তার ফাঁকফোঁকরও তৈরি হচ্ছে সাইবার অপরাধীরা বেছে বেছে সেই সমস্ত ফাঁকফোঁকরগুলিকেই তাদের দুর্বৃত্তের কাজে ব্যবহার করছে বর্তমান বিশ্ব ক্রমশইন্টারনেট নির্ভর হয়ে পড়ছে তাই মানুষের প্রাত্যহিক জীবনের অনেকাংশ সেই ইন্টারনেটের মাধ্যমেই ছড়িয়ে পড়ছে সমগ্র বিশ্বেসাইবার অপরাধীরা সেই তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমেই সংগ্রহ করে একের পর এক অঘটন ঘটিয়ে চলেছে।
Cc
ছবি : সংগৃহীত
     এখন মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সবচেয়ে বড়ো অংশ হয়েছে দাঁড়িয়েছে ইমেল, ফেসবুক, টুঁইটার, ইমো, হোয়াটসঅ্যাপ প্রভৃতি সোশ্যাল নেটওয়ার্কগুলিসাইবার বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বর্তমান বিশ্বের একজন মানুষ যতক্ষণ জেগে থাকে, গড়ে প্রতি ৩ সেকেন্ড অন্তর ব্যবহার করে এই সমস্ত সোশ্যাল নেটসাইটগুলি সকালে ঘুম ভাঙার পর থেকে ঘুমাতে যাওয়ার আগের মুহূর্ত পর্যন্ত স্বল্পক্ষণের জন্যেও মানুষ হাত ছাড়া করতে চায় না এই সোশ্যাল সাইটগুলিকে। এই সাইটগুলির মাধ্যমেই মানুষ তার ব্যক্তিগত জীবনের বহু তথ্য প্রিয় মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়ে থাকে। তাই মানুষের ব্যক্তিগত জীবনের একটা বড়ো অংশ ক্রমশ সঞ্চিত হয়ে চলেছে ইন্টারনেটের ভাঁড়ার ঘরে। ওই মানুষটিই একদিন তার ঘটিয়ে ফেলা সমস্ত ক্রিয়া-কর্ম সম্পূর্ণ ভুলে গেলেও, তা সবই মনে রেখে দিচ্ছে সাইবার দুনিয়া।
     মানুষের এই দুর্বলতারই সুযোগ নিচ্ছে একদল সাইবার অপরাধী। তারা ক্রমাগত মানুষকে বোকা বানিয়ে গুছিয়ে নিচ্ছে নিজেদের আখের। আর সবার অলক্ষ্যে বিপদে ফেলছে সাধারণ মানুষদের। এই সব সাইবার অপরাধীরা বিভিন্ন উপায়ে সাইবার ক্রাইম করে থাকে। কখনও সাইট হ্যাক করে, আবার কখনও কারও কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা মোবাইলে ভাইরাস অথবা ম্যালওয়ার প্রবেশ করিয়ে সংগ্রহ করে নেয় ওই ব্যক্তির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। প্রতি নিয়ত তারা তাদের এই উপায়গুলির পরিবর্তন ঘটাচ্ছে।
     এবার নতুন উপায় বের করেছে ওই সমস্ত সাইবার অপরাধীরা। বিবিসি সংবাদ মাধ্যমের একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সাইবার অপরাধীরা বর্তমানে হামলা চালাচ্ছে ‘সেক্সটরসন’ ঘটিয়ে। এই উপায়ে তারা প্রথমে কোনও মহিলার গোপন বা ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি সংগ্রহ করছে। তারপর কোনও ব্যক্তির ই-মেলে ওয়ার্ড ডকুমেন্ট সহ সেই ছবির অস্পষ্ট প্রতিলিপি পাঠিয়ে জানাচ্ছে, এটি তার বন্ধুর গার্লফ্রেন্ডের ছবি। সম্পূর্ণ ছবিটি দেখতে এর ওপর ক্লিক করতে হবে। যদি কোনও ব্যক্তি ভুলবশত ছবিতে ক্লিক করে ফেলে, তাহলেই তার ডিভাইসে প্রবেশ ঘটছে ভাইরাস অথবা ম্যালওয়ার। আর এরই সঙ্গে ওই ব্যক্তির ডিভাইসের সমস্ত তথ্য চলে যাচ্ছে সাইবার অপরাধীদের হাতে। গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলি হাতিয়ে নেওয়ার পরই শুরু হচ্ছে ব্লাকমেইল। তাই সাইবার বিশেষজ্ঞরা ভালো করে না জেনে কোনও রকম অজানা লিঙ্কে ক্লিক করতে সম্পূর্ণ নিষেধ করছেন।
Advertisement
Previous articleগরম বাড়লে বা মদ্যপান করলে করোনা কমবে, এমন ধারণা সম্পূর্ণ ভুল
Next articleকরোনায় স্থগিতাদেশের মাঝেই বসন্ত উৎসব পালন বিশ্বভারতীর সঙ্গীত ভবনে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here