সবচেয়ে খর্বকায় জিরাফ এখন নামিবিয়ায়, চিন্তায় প্রাণী বিজ্ঞানীরা

Advertisement
২০১৫ সালে জিরাফ কন্সারভেসন ফাউন্ডেশন একটি খর্বকায় জিরাফ আবিষ্কার করেছিল নামিবিয়ার ওয়াইল্ডলাইফ পার্কে। যার উচ্চতা ছিল মাত্র ৯ ফুট ৩ ইঞ্চি প্রায়। ২০১৮ সালে আবার আর একটি খর্বকায় জিরাফ তারা আবিষ্কার করেছিল ওই নামিবিয়াতেই। যার উচ্চতা ছিল আগেরটির থেকে আরও কম, প্রায় ৮ ফুট। ওই ফাউন্ডেশনের প্রাণী বিজ্ঞানীরা তাঁদের এই আবিস্কারের রিপোর্ট গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে প্রকাশ করেছেন ব্রিটিশ মেডিক্যাল পত্রিকায়।

সবচেয়ে খর্বকায় জিরাফ এখন নামিবিয়ায়, চিন্তায় প্রাণী বিজ্ঞানীরা
Symbolic Image – Image by David Mark from Pixabay

অনলাইন পেপার : জিরাফ সবচেয়ে বেশি পরিচিত তার লম্বা গ্রীবার জন্য। বিশ্বের আর কোনও প্রাণীরই এত লম্বা গলা নেই। প্রায় সমস্ত জিরাফের গড় উচ্চতা ১৫ থেকে ১৯ ফুট পর্যন্ত হয়ে থাকে। এর নিচে হলে তাকে অস্বাভাবিক বলে ধরা হয়। সম্প্রতি এই রকমই দুটি অস্বাভাবিক জিরাফের সন্ধান পেয়েছেন জিয়াফ কন্সারভেসন ফাউন্ডেশনের প্রাণী বিজ্ঞানীরা। আর এই দুটিই তারা পেয়েছেন আফ্রিকার নামিবিয়াতে।

জিরাফ মূলত আফ্রিকা মহাদেশেরই প্রাণী। তাই স্বাভাবিকভাবে অন্য অঞ্চলের মানুষদের সঙ্গে তার খুব বেশি পরিচিত হওয়ার কোনও কথাও নয়। কিন্তু ‘জিরাফ’ নামটির সঙ্গে কম-বেশি প্রায় সকলেই পরিচিত। আফ্রিকা মহাদেশের এই বাসিন্দা বিশ্বের প্রায় সমস্ত বড়ো বড়ো চিড়িয়াখানাতেও রয়েছে। পাঠ্যপুস্তকে এদের স্থান দেওয়া হয়েছে লম্বা গ্রীবার জন্য। খুব উচু গাছের পাতা খাওয়ার অভ্যাসের জন্যই যুগ যুগ ধরে তাদের এভাবেই অভিব্যক্তি ঘটেছে।

জন্মের সময়ও একটি বাচ্চা জিরাফের উচ্চতা হয়ে থাকে প্রায় ৬ ফুট। গায়ের চাকা চাকা দাগ এদের অপর আর একটি বৈশিষ্ট্য। তবে একটি জিরাফের গায়ের দাগ অন্য সবগুলির থেকে সম সময়ই আলাদা হয়ে থাকে। যা তাদের বিশেষভাবে চিনতে সাহায্য করে। জিয়াফের প্রিয় খাবার ‘আকাসিয়া’ গাছের পাতা। আফ্রিকার একটি বিশেষ অঞ্চলে এই শ্রেণীর গাছ প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। তাই আফ্রিকার ওই অঞ্চলগুলিকেই মূলত জিরাফের আবাসভূমি বলা চলে।

কিন্তু এবার সমস্ত হিসাবনিকাশ বদলে দিয়েছে নামিবিয়ার দুটি বিশেষ স্বভাবের জিরাফ। ২০১৫ সালে জিরাফ কন্সারভেসন ফাউন্ডেশন একটি খর্বকায় জিরাফ আবিষ্কার করেছিল নামিবিয়ার ওয়াইল্ডলাইফ পার্কে। যার উচ্চতা ছিল মাত্র ৯ ফুট ৩ ইঞ্চি প্রায়। ২০১৮ সালে আবার আর একটি খর্বকায় জিরাফ তারা আবিষ্কার করেছিল ওই নামিবিয়াতেই। যার উচ্চতা ছিল আগেরটির থেকে আরও কম, প্রায় ৮ ফুট। ওই ফাউন্ডেশনের প্রাণী বিজ্ঞানীরা তাঁদের এই আবিস্কারের রিপোর্ট গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে প্রকাশ করেছেন ব্রিটিশ মেডিক্যাল পত্রিকায়।

ওই প্রাণী বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, জিরাফ দুটির উচ্চতা কম হয়েছে তাদের পায়ের আকারের জন্য। তাদের গলার আকার মোটামুটি অন্য জিরাফের মতো একই রকম থাকলেও পায়ের আকার কিছুটা ছোটো। প্রাণীদের ক্ষেত্রে এই ধরণের সমস্যাকে ‘স্কেলেটাল ডিপ্লেসিয়া’ বলা হয়। জিরাফের ক্ষেত্রে বিজ্ঞানীরা এই সমস্যার কারণ হিসাবে আবহাওয়া পরিবর্তন, জঙ্গলের পরিধি কমিয়ে চাষ-আবাদের জমি বৃদ্ধি, মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধিকে দায়ী করছেন। এই ধরণের সমস্যার জন্য অন্য স্বাভাবিক প্রকৃতির জিরাফদের সঙ্গে তাদের বংশ বিস্তারের প্রক্রিয়ায় বাধা আসার আশঙ্কার কথাও জানিয়েছেন ওই প্রাণী বিজ্ঞানীরা।

Advertisement
Previous articleশনিবার থেকেই সারা ভারত জুড়ে শুরু হচ্ছে করোনার টিকাদান
Next articleকি বিচিত্র এই মরুভূমি! এবার সাহারাতেও ঘটল তুষারপাত

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here