শেষ পর্যন্ত আইন সংশোধনের পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। এবার ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা হবে মৃত্যুদণ্ড। গত ২ সেপ্টেম্বর স্বামীকে বেঁধে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের ৩৭ বছরের এক গৃহবধূকে একদল দুস্কৃতি বিবস্ত্র করে নির্যাতন করে এবং সেই নির্যাতনের দৃশ্য তারা ভিডিও আকারে ক্যামেরা বন্দি করে রাখে। পরে সেই ভিডিও চিত্র গত ৪ অক্টোবর স্যোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয়। এর পরই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তীব্র প্রতিবাদের ঝড় তুলতে শুরু করে সেদেশের জনসাধারণ। |

অনলাইন পেপার : দেশ জুড়ে কয়েক দিনের তীব্র প্রতিবাদের জেরে এবার বাংলাদেশ সরকার সংশোধন করতে চলেছে সেদেশের আইন। নতুন আইন মোতাবেক এবার ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হতে পারে।
বর্তমানে নারী নির্যাতন বেশ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে বাংলাদেশে। তবে এবারের ঘটনার সূত্রপাত নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে এক গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করাকে কেন্দ্র করে। প্রথম আলো সংবাদ সংস্থার সূত্র অনুযায়ী, গত ২ সেপ্টেম্বর জোর করে ঘরে ঢুকে স্বামীকে বেঁধে ৩৭ বছরের ওই গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে ধর্ষণের চেষ্টা করে একদল দুস্কৃতি। তাঁকে নির্যাতন করার ভিডিও চিত্রও সংগ্রহ করে রাখে দুস্কৃতিরা। পরে দুস্কৃতিরা ওই নারীকে কুপ্রস্তাব দিলে, তা প্রত্যাখ্যান করাই ক্যামেরা বন্দি করা ভিডিও চিত্রটি স্যোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে গত ৪ অক্টোবর ছড়িয়ে দেয় তারা।
পরে ওই দিনই সন্ধ্যায় নির্যাতিতা ওই গৃহবধূকে একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের কাছে তিনি ওই দুস্কৃতিদের নাম উল্লেখ করেন। শেষ পর্যন্ত ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ১১ জনকে গ্রেফতার করতে পেরেছে পুলিশ।
বেগমগঞ্জের ওই নৃশংস ঘটনার পরই সমগ্র বাংলাদেশ জুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠতে শুরু করে। বিভিন্ন জায়গায় নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভার আয়োজনও করা হতে থাকে। ইতিমধ্যে ওই দেশের সরকারকেও বেশ সক্রিয় হতে দেখা যায়। বিবিসি সংবাদ মাধ্যমের সূত্র অনুযায়ী, ওই দেশের আইনমন্ত্রী জানিয়েছেন, ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে আইন সংশোধনের পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। বিবিসি সংবাদ মাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, এই বিষয়ে আগামী ১২ অক্টোবরের মন্ত্রীসভায় আইনটির সংশোধনী প্রস্তাব পেশ করা হবে।
ইতিমধ্যেই দেশটির রাজধানী সহ বিভিন্ন জায়গায় নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেছে সেদেশের জনসাধারণ। বিবিসি সংবাদ মাধ্যমের সূত্র অনুযায়ী, একাধিক মানবাধিকার অবশ্য দাবি করছে, সেদেশের বর্তমান আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন থাকলেও, তার প্রয়োগ নিশ্চিত হচ্ছে না। আর তাই এমন জঘন্য অপরাধ বেড়ে চলেছে দেশ জুড়ে।