পুরো নাম শেন কেইথ ওয়ার্ন। ১৯৬৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ভিক্টোরিয়ার ফার্নট্রিগুল্লি অঞ্চলে এই অস্ট্রেলিয়ান বোলারের জন্ম হয়। শেন ওয়ার্ন এর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট জীবন শুরু হয় ১৯৯২ সালের ২ জানুয়ারি ভারতের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচের মাধ্যমে। এই শুরু। আর তাঁকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। দিনের পর দিন তুঙ্গে উঠেছে তাঁর জনপ্রিয়তা। ১৪৫টি টেস্ট ম্যাচে তিনি নিয়েছেন ৭০৮টি উইকেট। যা তাঁকে বর্তমান সময় পর্যন্ত রেখেছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ টেস্ট উইকেট শিকারি।

অনলাইন পেপার : সমগ্র ক্রিকেট বিশ্ব এখনও সম্পূর্ণভাবে বিশ্বাস করে উঠতে পারছে না, শেন ওয়ার্ন আর নেই। ৪ মার্চ থাইল্যান্ডের তাঁর কোহ সামুই ভিলায় তাঁকে পাওয়া গিয়েছে অচেতন অবস্থায়। পরে ধারণা করা হয় হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। যদিও এব্যাপারে বিস্তারিত কিছু এখনও জানা সম্ভব হয়নি। তাঁর পরিবারের তরফ থেকে বিষয়টি এখনও গোপন রাখার অনুরোধ করা হয়েছে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল মাত্র ৫২ বছর।
ক্রিকেট বিশ্বে শেন ওয়ার্ন মানেই এক অনবদ্য লেগ স্পিনার। তাঁর স্পিনের ভেল্কিতে কুপোকাত হননি এমন ব্যাটসম্যান খুব কমই আছেন। অসাধারণ এক রাজকীয় বোলার ছিলেন এই শেন ওয়ার্ন। ১৯৯৩ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত ছিল তাঁর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে রয়েছে তাঁর ১ হাজারের কাছে উইকেট। ৪ হাজারেরও বেশি রান রয়েছে তাঁর ঝুলিতে।
পুরো নাম শেন কেইথ ওয়ার্ন। ১৯৬৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ভিক্টোরিয়ার ফার্নট্রিগুল্লি অঞ্চলে এই অস্ট্রেলিয়ান বোলারের জন্ম হয়। শেন ওয়ার্ন এর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট জীবন শুরু হয় ১৯৯২ সালের ২ জানুয়ারি ভারতের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচের মাধ্যমে। এই শুরু। আর তাঁকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। দিনের পর দিন তুঙ্গে উঠেছে তাঁর জনপ্রিয়তা। ১৪৫টি টেস্ট ম্যাচে তিনি নিয়েছেন ৭০৮টি উইকেট। যা তাঁকে বর্তমান সময় পর্যন্ত রেখেছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ টেস্ট উইকেট শিকারি। তাঁর ওয়ানডে ক্যারিয়ারও ছিল বর্ণময়। ১৯৪টি ওয়ানডে ম্যাচে তিনি পেয়েছেন ২৯৩টি উইকেট। ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটের সেমিফাইনাল ও ফাইনাল ম্যাচে তিনি হয়েছিলেন ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’। যা তাঁকে চিরস্মরণীয় করে রেখেছে। ২০০৭ সালের ৩ ডিসেম্বর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচ খেলে তিনি আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
তবে ক্রিকেট বিশ্বের সর্বকালের সেরা এই লেগ স্পিনারের ব্যক্তিগত জীবন কম বিতর্কের ছিল না। নিষিদ্ধ ড্রাগ নেওয়ার অপরাধে ২০০৩ সালের বিশ্বকাপ খেলা থেকে শেন ওয়ার্ন কে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। যদিও ২০০৪ সালে তিনি আবার সমহিমায় ফিরে আসেন ক্রিকেট ময়দানে।
যাইহোক, নব্বইয়ের দশকের ক্রিকেট ময়দানে লারা বনাম ওয়ার্ন অথবা তেণ্ডুলকর বনাম ওয়ার্ন এর মধ্যে কাদের দ্বৈরথ সবচেয়ে জনপ্রিয় ছিল, এই বিতর্ক চলতেই থাকবে। কয়েক পা এগিয়ে সেই সময়কার তাঁর ডান হাতের অবিশ্বাস্য বলগুলি আজও রয়েছে রহস্যে ঘেরা। এবার তাঁর মৃত্যুকে ঘিরেও কম রহস্য দানা বাধেনি। ক্রিকেট বিশ্ব অবাকই হয়েছে শেন ওয়ার্ন এর এই মৃত্যু সংবাদে।