Advertisement
বাড়ন্ত শিশুদের সাধারণ খাবারের সঙ্গে অবশ্যই প্রয়োজন পড়ে প্রোটিন জাতীয় হেল্থ ড্রিংসের। কিন্তু ‘দিন আনা দিন খাওয়া’ মানুষগুলি লকডাউনের এই সময়ে তাঁদের শিশুদের সেই প্রয়োজন মেটাতে পারছে না। এবার ওই শিশুদের জন্য হেল্থ ড্রিংসের ব্যবস্থা করল উপহার ওয়েলফেয়ার স্যোসাইটি।
|
জনদর্পণ ডেস্ক : বিশ্ব জুড়ে করোনা সংক্রমের এই সময়ে কর্মক্ষেত্র থেকে দূরে সরে আসতে বাধ্য হয়েছেন এক বিশাল সংখ্যক মানুষ। অধিকাংশ দেশেই করোনা রুখতে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে লকডাউন। কিন্তু আপাতভাবে করোনা দমনের কোনও লক্ষণই এখনও চোখে পড়ছে না। উপরন্তু কিছু দেশে করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতি খারাপের থেকেও খারাপের দিকে এগিয়ে চলেছে। তাই লকডাউনের মেয়াদও ক্রমশ বাড়াতে বাধ্য হচ্ছে ওই দেশগুলি।
ভারতের করোনা সংক্রমণও উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। তাই লকডাউনের মেয়াদও এই দেশে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে কাজ-হারাদের সংখ্যা। দেশের এক বিশাল সংখ্যক মানুষ এখন সম্পূর্ণ বেকার। অর্ধ পেটে দিন কাটাচ্ছেন দেশের ‘দিন আনা দিন খাওয়া’ মানুষগুলি। যদিও রেশন ব্যবস্থায় এবং বেশ কয়েকটি স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাহায্যার্থে কিছুটা সমস্যা মিটলেও, সঞ্চিত অর্থের পরিমাণ শূন্য থাকায় সংসারের অন্যান্য সমস্যাগুলি থেকে কিছুতেই রেহায় মিলছে না তাঁদের।
এরকম কঠিন অবস্থায় সবচেয়ে বেশি সমস্যা ভোগ করতে হচ্ছে শিশুদের। কারণ বাড়ন্ত বয়সে শিশুদের পুষ্টির চাহিদা থাকে অনেকটাই বেশি। শুধুমাত্র ডাল-ভাতে সেই পুষ্টিগুণ সম্পূর্ণ রূপে পাওয়া যায় না। প্রয়োজন পড়ে আরও কিছু পুষ্টিকর খাদ্য সামগ্রীর। যা পূরণ করা এই পরিস্থিতিতে ওই সমস্ত ‘দিন আনা দিন খাওয়া’ মানুষগুলির পক্ষে সম্ভব হয়ে উঠছে না। তাই স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের শিশুদের ক্ষেত্রে এই সমস্যাগুলি থেকেই যাচ্ছে।
উপরোক্ত এই বিষয়টির কথা মাথায় রেখে বীরভূমের সদর শহর সিউড়ির ‘উপহার ওয়েলফেয়ার স্যোসাইটি’ বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে ওই শিশুগুলির জন্যে। এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির সম্পাদক প্রিয়নীল পাল জানালেন, তাঁদের সংগঠন স্থানীয় একজন শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলেছে। সেখান থেকে তারা জানতে পেরেছে, এই বাড়ন্ত শিশুদের এই সময়ে খাবারের সঙ্গে অধিক পরিমাণে প্রোটিন জাতীয় হেল্থ ড্রিংসের প্রয়োজন হয়। সেই অনুযায়ী, তারা বিভিন্ন ধরণের হেল্থ ড্রিংস প্রস্তুতকারী সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করে শিশুদের জন্য কিছু হেল্থ ড্রিংসের ব্যবস্থা করেছে।
সংগঠনটি গত ২৯ মে সিউড়ি হাটজন বাজার সংলগ্ন এলাকার প্রায় ১০০ জন শিশুকে এবং বেশ কয়েকজন গর্ভবতী মহিলাকে সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে ওই প্রোটিন জাতীয় হেল্থ ড্রিংস দিয়েছে। তাদের এদিনের সম্পূর্ণ উদ্যোগটি ছিল সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখেই। বিশিষ্ট সমাজকর্মী নুরুল হক-এর উপস্থিতিতে হেল্থ ড্রিংস প্যাকেটের সঙ্গে এদিন তারা করোনা সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য একটি করে সাবানও সবার হাতে তুলে দেয়।
Advertisement