শালগ্রাম শিলা : যুগ যুগ ধরে ঐতিহ্য ধরে রেখেছে যে পাথর

Advertisement

পুরাণ মতে, একবার শঙ্খচূড় দানবকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে তার স্ত্রী দেবী তুলসীর সঙ্গে ছলনা করার প্রয়োজন অনুভব করেন শ্রীবিষ্ণু। ছলনার পর দেবী তুলসী বিষ্ণুকে পাথরে রূপান্তরিত হওয়ার অভিশাপ দেন। শ্রীবিষ্ণু তখন এই শালগ্রাম শিলা য় রূপান্তরিত হয়ে যান। তাই এই পাথর সমগ্র হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে অত্যন্ত পবিত্র বলে গণ্য হয়ে আসছে যুগের পর যুগ ধরে।


শিলা

অনলাইন পেপার : নেপাল থেকে ইতিমধ্যে অযোধ্যায় এসে পৌঁছিয়েছে দুটি বিশালাকার শালিগ্রাম বা শালগ্রাম শিলা। যা দিয়ে নাকি তৈরি হবে সীতা মাতা আর রাম লালার মূর্তি। অযোধ্যার রাম মন্দির তৈরির কাজ এখন বিদ্যুৎগতিতে এগিয়ে চলেছে। সেই সঙ্গে সীতা মাতা আর রাম লালার মূর্তি নির্মাণের কথাও ভাবা হচ্ছে। জানা যাচ্ছে, রাম মন্দিরে সীতা মাতার মূর্তির পাশাপাশি থাকবে শ্রীরামের একটি বাল্যকালের মূর্তি। যা নির্মাণ করা হবে পাথর কেটে। আর এসব নিয়েই এখন অযোধ্যায় চলছে বিশেষজ্ঞদের চুল-চেরা বিশ্লেষণ।

বিশেষজ্ঞদের দাবি অনুযায়ী, এই মূর্তি দুটি নির্মাণের জন্য সবচেয়ে উৎকৃষ্ট পাথর শালগ্রাম শিলা। যা পাওয়া যায় নেপালের কালী-গণ্ডকী নদীর অববাহিকায়। তাই আর দেরি না করেই সুদূর নেপাল থেকে অযোধ্যায় নিয়ে আসা হয়েছে শালগ্রাম শিলা র এই দুটি বৃহৎ পাথর। একটির ওজন প্রায় ৩১ টন ও অপরটি ১৫ টন।

এই শালিগ্রাম বা শালগ্রাম শিলা আসলে কী? বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে, শালগ্রাম শিলা আসলে এক ধরণের বিশেষ পাথর। যার মধ্যে রয়েছে প্রায় ৩৩ প্রকৃতির জীবাশ্ম। এই জীবাশ্মের জন্ম হয়েছিল দেভোনিয়ান-ক্রেটাসিয়াস যুগে অর্থাৎ প্রায় ৬ থেকে ১৬ কোটি বছর আগে।

আর হিন্দু সম্প্রদায়ের বিশ্বাস অনুযায়ী, পুরাণ মতে এই পাথরের গুরুত্ব অসীম। কারণ এই পাথর নাকি ভগবান শ্রীবিষ্ণুর-ই অংশ। একাধিক পুরাণে উল্লেখ পাওয়া যায় এই শালগ্রাম শিলা র কথা।

পুরাণ মতে, একবার শঙ্খচূড় দানবকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে তার স্ত্রী দেবী তুলসীর সঙ্গে ছলনা করার প্রয়োজন অনুভব করেন শ্রীবিষ্ণু। ছলনার পর দেবী তুলসী বিষ্ণুকে পাথরে রূপান্তরিত হওয়ার অভিশাপ দেন। শ্রীবিষ্ণু তখন এই শালগ্রাম শিলা য় রূপান্তরিত হয়ে যান। তাই এই পাথর সমগ্র হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে অত্যন্ত পবিত্র বলে গণ্য হয়ে আসছে যুগের পর যুগ ধরে।

Advertisement
Previous articleউদ্বোধন হল তারাশঙ্কর সেতু ও সেই সঙ্গে তারাশঙ্কর প্রসঙ্গ
Next articleChatGPT ভবিষ্যতে মানুষের কাজ কেড়ে নেবে না তো?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here