Advertisement
জনদর্পণ ডেস্ক : রাজ্যে করোনার আঘাত এখনও অব্যাহত। এর মাঝেই দোসর হয়ে ছুটে আসছে ‘আমফান’। আবহবিদরা আশঙ্কা করছেন, যে গতিতে আমফান স্থান পরিবর্তন করছে, তাতে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় অঞ্চলে পৌঁছতে ১৯ অথবা ২০ মে পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে।
দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে প্রথমে একটি গভীর নিম্নচাপ রেখা দেখা দিয়েছিল। সেটিই পরবর্তীতে শক্তি সঞ্চয় করে অতি ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় (আমফান)-এর রূপ নিয়েছে। এবারের এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম রেখেছে তাইল্যান্ড। আমফানের অভিমুখ ১৭ মে পর্যন্ত প্রথমে উত্তর–পশ্চিম দিকে থাকলেও পরে দিক পরিবর্তন করে ১৮ মে উত্তর–পূর্ব মুখী হবে। ধীর গতিতে চলতে চলতেই সে শক্তি সঞ্চয় করতে শুরু করছে। আবহবিদদের ধারণা, ১৭ মে–এর মধ্যেই আমফান ভয়ঙ্কর রূপ নেবে। তখন এর গতি প্রায় ১৬০–২০০ কিলোমিটার/ঘণ্টায় পৌঁছে যেতে পারে। তবে এর আগে থেকেই সামুদ্রিক উপকূলীয় অঞ্চলগুলিতে ঝড়ো হাওয়া বইতে শুরু করবে।
তবে স্থলভাগে কত গতিতে সে আঘাত হানবে, তা এই মুহূর্তে সঠিকভাবে বলা সম্ভব নয় বলেই জানিয়েছেন আবহবিদরা। এরপর স্বাভাবিকভাবেই স্থলভূমিতে পৌঁছনোর পরই আমফানের গতি কমতে শুরু করবে। তবে আমফানের প্রভাবে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে এ রাজ্যের ৭টি জেলায়। সেগুলি হল হাওড়া, হুগলী, কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুর। যদিও সমগ্র পরিস্থিতির ওপর রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের আবহবিদরা সতর্ক নজর রাখছেন।
পশ্চিমবঙ্গে আছড়ে পড়লে এর প্রভাব বঙ্গদেশে কতখানি পড়বে তা নিয়েও চিন্তায় আছেন আবহবিদরা। আমফানের প্রভাবে গাঙ্গেয় অঞ্চলগুলিতে প্রবল ঝড় ও বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। রাজ্যের মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে ইতিমধ্যেই নিষেধ করা হয়েছে। গভীর সমুদ্রে যারা মাছ ধরতে গিয়েছেন তাদেরকেও আগাম ফিরে আসার সতর্কবাণী দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
গাঙ্গেয় উপকূলীয় অঞ্চলে ফসলেরও দারুণ ক্ষতির সম্ভাবনা দেখছেন অনেক বিশেষজ্ঞ। বোরো ধান তোলার মরশুমে এমনিতেই কালবৈশাখীর বাংবার আঘাত ধানের কিছুটা ক্ষতি করেছে একাধিক অঞ্চলে। তার ওপর এই আমফান কতটা ক্ষতি করবে, এব্যাপারেও বেশ চিন্তায় পড়েছেন চাষিরা। যদিও আমফান স্থলভূমিতে আছড়ে পড়ার আগে পর্যন্ত কিছুই বলা সম্ভব হচ্ছে না।
Advertisement