লক্ষ্মী পুজোর রাতে জেগে থাকতে হবে গৃহস্থকে, কিন্তু কেন?

Advertisement
তবে অন্য অর্থে ‘কোজাগরী’ শব্দটি এসেছে ‘কো জাগতী’ বা ‘কে জেগে আছে’ থেকে। হিন্দু বিশ্বাসে লক্ষ্মী পুজোর রাতে গৃহস্থকে জেগে থাকতে বলা হয়েছে। কারণ এদিন মা লক্ষ্মী তার বাহন পেঁচায় চেপে মর্ত্যে নেমে আসে। আর যার ঘরের গৃহস্থকে জেগে থাকে দেখে তাকে ধন-সম্পদ দান করে যায়। তাই এদিন গৃহস্থরা পূর্ণিমার রূপালী রাত জাগতে বিভিন্ন ধরণের বিনোদনেরও আয়োজন করে থাকে।
লক্ষ্মী পুজোর রাতে জেগে থাকতে হবে গৃহস্থকে, কিন্তু কেন?
Image by Ved Prakash Thawait from Pixabay

জনদর্পণ ডেস্ক : ১৯ ও ২০ অক্টোবর এই দুই দিন ধরেই এবছর চলবে লক্ষ্মী পুজো। কারণ সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা অনুযায়ী পূর্ণিমা শুরু হচ্ছে ১৯ অক্টোবর বা ১ কার্তিক সন্ধ্যা ৬টা ৪৪ মিনিটে এবং শেষ হচ্ছে ২০ অক্টোবর বা ২ কার্তিক সন্ধ্যা ৭টা ৩৬ মিনিটে। আর দৃকসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা অনুযায়ী এই পূর্ণিমা শুরু হচ্ছে ১৯ অক্টোবর বা ২ কার্তিক সন্ধ্যা ৭টা ৪ মিনিটে এবং শেষ হচ্ছে ২০ অক্টোবর বা ৩ কার্তিক রাত ৮টা ২৭ মিনিটে। অর্থাৎ দুই পঞ্জিকা অনুযায়ী-ই এবছর লক্ষ্মী পুজো দুই দিন ধরে চলবে। যারা পারিবারিক সূত্রে যে পঞ্জিকা অনুসরণ করে, তারা সেই তিথি অনুযায়ী লক্ষ্মী পুজোর আয়োজন করতে পারবে।

হিন্দু ধর্ম শাস্ত্র অনুসারে মা লক্ষ্মী ধন-সম্পদের দেবী। তিনি আবার পালন কর্তা নারায়ণ বা ভগবান বিষ্ণুর অর্ধাঙ্গিনীও। শরতের শেষ পূর্ণিমা বা আশ্বিনের শেষ পূর্ণিমা তিথিতে অর্থাৎ খরিফ ও রবি শস্য চাষের সংযোগ মুহূর্তে তার আরাধনা করা হয়। যদিও এবছর পঞ্জিকা অনুযায়ী লক্ষ্মী পুজোর নির্ঘণ্ট আশ্বিন বা শরত পেরিয়ে কার্তিকের প্রথম পূর্ণিমায় পড়েছে। কোনও কোনও বছর তিথি অনুযায়ী এমন ব্যতিক্রম ঘটে থাকে।

এমনিতেই বাঙালি হিন্দু পরিবারে মহিলা বা পুরুষেরা লক্ষ্মী পাঁচালি যোগে সপ্তাহের প্রতি বৃহস্পতিবার লক্ষ্মী পুজো করে থাকেন। তবে শরতের শেষ পূর্ণিমায় এই পুজো পুরোহিত সহযোগে হয়ে থাকে। একে ‘কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো’ বলা হয়। এখানে কোজাগরী কথার অর্থ পূর্ণিমা। আশ্বিনের পূর্ণিমা তিথিতে লক্ষ্মী পুজোর আয়োজন হওয়ায় একে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো বলা হয়।

তবে অন্য অর্থে ‘কোজাগরী’ শব্দটি এসেছে ‘কো জাগতী’ বা ‘কে জেগে আছে’ থেকে। হিন্দু বিশ্বাসে লক্ষ্মী পুজোর রাতে গৃহস্থকে প্রদীপ জ্বালিয়ে জেগে থাকতে বলা হয়েছে। কারণ এদিন মা লক্ষ্মী তার বাহন পেঁচায় চেপে মর্ত্যে নেমে আসে। আর যার ঘরের গৃহস্থকে জেগে থাকে দেখে তাকে ধন-সম্পদ দান করে যায়। তাই এদিন গৃহস্থরা পূর্ণিমার রূপালী রাত জাগতে বিভিন্ন ধরণের বিনোদনেরও আয়োজন করে থাকে।

যদিও এবছর সমগ্র বঙ্গদেশ জুড়ে পূর্ণিমার আকাঙ্ক্ষিত গোল চাঁদের দেখা পেতে অনেকটা ভাগ্যের উপর নির্ভর করতে হতে পারে। কারণ গত ১৭ অক্টোবর রবিবার থেকেই চলছে নিম্নচাপের বৃষ্টি। সমগ্র আকাশ ছেয়ে রয়েছে ঘন কালো মেঘে। কোথাও কোথাও চলছে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টি। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এই বৃষ্টি চলবে আগামী ২০ অক্টোবর বুধবার পর্যন্ত। সেই সঙ্গে আকাশও থাকবে মেঘলা।

Advertisement
Previous articleপরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় কমাতেই হবে ‘আলোক দূষণ’-এর মাত্রা
Next articleএবছর নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে ৯ দেশের ১৩ জনকে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here