এদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন সমস্যার মধ্যে বিপুল অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে সমগ্র বিশ্ব। বিশ্বের শেয়ার বাজারে ইতিমধ্যে ধসও নামতে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে ভারতের অর্থনীতিও। কারণ রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয় দেশের সঙ্গেই ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। ইউরোপ ও আমেরিকা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাশিয়ার উপর।

অনলাইন পেপার : আশঙ্কা ছিলই, এবার সেই আশঙ্কা সত্যতে পরিণত করে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ল রাশিয়া-ইউক্রেন। ২৪ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় সময় সকাল ৮টা নাগাদ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রীতিমতো ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সেনা অভিযান শুরু করার ঘোষণা করে দেয়। রুশ সেনাও প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ইউক্রেন অভিমুখে আক্রমণ শানতে থাকে। মুহুর্মুহু শোনা যেতে থাকে ভারি গোলা-বারুদের গর্জন। এই মুহূর্তে রকেট হামলা থেকে শুরু করে যুদ্ধবিমান দ্বারা বোমা বর্ষণ কোনও কিছুই বাদ রাখছে না রাশিয়া। ইতিমধ্যে ইউক্রেন সীমান্ত দিয়ে অনেকটাই অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে সমর্থ হয়েছে রুশ সেনা।
পরিস্থিতি এমনই, এদিন সকাল থেকেই ইউক্রেন রাজধানী কিভ ছাড়তে মরিয়া শহরবাসীও। পথে সার বেধে ছুটে চলেছে গাড়ি। প্রাণ সংকটে ভুগছে গোটা ইউক্রেনবাসী। যদিও রাশিয়া ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে, জনবসতি অঞ্চলে রুশ সেনা কোনওভাবেই আক্রমণ করবে না। তাদের আক্রমণের লক্ষ্যে থাকবে ইউক্রেনের সামরিক ঘাটি ও বিমান ঘাটিগুলি। তবুও ইউক্রেনবাসী আশ্বস্ত হতে পারছে না। ক্রমাগত ইউক্রেন সরকার দ্বারা নির্মিত বাঙ্কারগুলিতে তারা আশ্রয় পেতে ছুটছে। এক্ষেত্রে শহরের মেট্রো স্টেশনগুলিতেই ভিড় বাড়ছে সবচেয়ে বেশি।
এদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন সমস্যার মধ্যে বিপুল অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে সমগ্র বিশ্ব। বিশ্বের শেয়ার বাজারে ইতিমধ্যে ধসও নামতে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে ভারতের অর্থনীতিও। কারণ রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয় দেশের সঙ্গেই ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে।
ইউরোপ ও আমেরিকা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাশিয়ার উপর। যার জেরে বিশ্ব বাজারে রাশিয়া থেকে প্রাকৃতিক গ্যাস ও খনিজ তেল আমদানিতে ধাক্কা খেতে পারে। এই একই সমস্যায় পড়তে পারে ভারতও। ভারতে জ্বালানি খরচ বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। বাড়তে পারে বিদ্যুৎ পরিষেবার খরচও।
এমনিতেই বিশ্ব বাজারে রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয় দেশই গম ও খাদ্য তেলের বড় রপ্তানিকারক দেশ। রাশিয়া-ইউক্রেন এর বর্তমান সমস্যায় খাদ্য দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধিতেও আমূল পরিবর্তন ঘটতে পারে। সেই সঙ্গে ইলেক্ট্রনিক্স দ্রব্যের মূল্যতেও প্রভাব পড়তে পারে। যদিও তেমন কোনও প্রভাব এখনও পর্যন্ত পড়তে শুরু করেনি বিশ্ব বাজারে। কিন্তু যুদ্ধের মেয়াদ বাড়লে পরিস্থিতি যথেষ্ট জটিল হয়ে উঠতে পারে।