রামপুরহাটে চলছে ‘বীরভূম জেলা বইমেলা’, কিন্তু বই কেনার মানুষ কোথায়?

Advertisement
করোনা আবহে বেশ অনিশ্চিত হয়েই পড়েছিল এবারের ৩৯তম বীরভূম জেলা বইমেলার ভাগ্য। অবশেষে সবুজ সংকেত মেলায় স্বস্তি পেয়েছেন বইপ্রেমীরা। এবারের বীরভূম জেলা বইমেলা ৬ জানুয়ারি শুরু হয়েছে রামপুরহাটের পুরসভার মাঠে। মেলা চলবে আগামী ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত। মেলা প্রাঙ্গণ খোলা থাকছে প্রতিদিনই বেলা ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। অন্যান্যবারের মতো এবারের মেলায় বইয়ের স্টলের সংখ্যাও যথেষ্ট কম নজরে এসেছে। – ছবি : জনদর্পণ প্রতিনিধি

রামপুরহাটে চলছে ‘বীরভূম জেলা বইমেলা’, কিন্তু বই কেনার মানুষ কোথায়

বিশ্বজিৎ ঘোষ : বই পড়ার আগ্রহ যে পাঠকের মধ্যে ক্রমশই কমে যাচ্ছে, তা আবারও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল ‘বীরভূম জেলা বইমেলা’। কারণ সারাদিন মেলা ঘুরেও এখানে অন্যান্য বারের মতো থিকথিকে ভিড় একবারের জন্যেও কারও নজরে পড়বে না। যাঁরা এসেছেন বা মেলা প্রাঙ্গণে ঘোরাঘুরি করছেন, তাঁদের অধিকাংশই হয় কোনও না কোনওভাবে গ্রান্থাগারের সঙ্গে যুক্ত, নয়তো নিজে লেখালিখি করছেন। মেলা প্রাঙ্গণে আরও কিছু মানুষের দর্শন মিলবে, যারা স্থানীয়, হাতে সময় রয়েছে, তাই বেড়াতে এসেছেন বইমেলায়। বই কেনার আগ্রহ অবশ্য তাঁদের বিন্দু মাত্র নেই।

বীরভূম জেলা বইমেলা অন্যান্য বছর যেখানে নভেম্বরের শেষ দিক বা ডিসেম্বরের শুরুতে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে, সেখানে নির্দিষ্ট দিন অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পরেও যখন মেলা শুরু হল না, বেশ মুষড়েই পরেছিলেন এই জেলার বইপ্রেমীরা। কারণ করোনা আবহে বেশ অনিশ্চিত হয়েই পড়েছিল এবারের ৩৯তম বীরভূম জেলা বইমেলার ভাগ্য। অবশেষে সবুজ সংকেত মেলায় স্বস্তি পেয়েছেন বইপ্রেমীরা। এবারের বীরভূম জেলা বইমেলা ৬ জানুয়ারি শুরু হয়েছে রামপুরহাটের পুরসভার মাঠে। মেলা চলবে আগামী ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত। মেলা প্রাঙ্গণ খোলা থাকছে প্রতিদিনই বেলা ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।

অন্যান্যবারের মতো এবারের মেলায় বইয়ের স্টলের সংখ্যাও যথেষ্ট কম নজরে এসেছে। মাত্র ৫৫টি স্টল নিয়ে সাজানো হয়েছে এবারের বইমেলা। যদিও মেলায় এসেছে সাহিত্যলোক, আনন্দ, এডুকেশন ফোরাম, প্রভা প্রকাশনী, দেশ প্রকাশনীর মতো নামী প্রকাশনী সংস্থাগুলি। তবে মেলা প্রাঙ্গণে যে কোনও প্রকার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বা আলোচনা সভা বাতিল করা হয়েছে এবছরের জন্য। করোনা আবহের জন্যেই মেনে চলা হচ্ছে সমস্তরকম স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত বিধিনিষেধ।

তবে হাসি ফুটিয়ে বইমেলা শুরু হলেও মেলার প্রথম ৩ দিন ক্রেতার সংখ্যা ছিল আশানুরূপ কম। পুস্তক বিক্রেতারা অবশ্য এতে কোনও দুশ্চিন্তার কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না। তাঁদের আশা, শুরুতে যথেষ্ট ভিড় না বাড়লেও মেলা শেষ হতে এখনও বেশ কয়েকদিন বাকি। ক্রেতারা আসবেন বইকি। তাঁরা আরও ধারণা করছেন, এত দূর বইপ্রেমীদের মুখে হাসি ফোটাতে এসে তাঁদের আশা বিফলে যাবে না।

Advertisement
Previous articleবেড়েছে পৃথিবীর আহ্নিক গতি, পালটাতে পারে ঘড়ির হিসাব-নিকাষ
Next articleঘাস দিয়ে শিল্প সামগ্রী বানিয়ে স্বনির্ভর হচ্ছেন বল্লভপুরের মহিলারা (ভিডিও সহ)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here