রাজনগরে পুষ্টি সংক্রান্ত আলোচনা চলছে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির

Advertisement

শৈশব থেকে কিশোর বয়স পর্যন্ত চলতে থাকে পুষ্টি-র বিকাশ। নারী ও শিশুদের পুষ্টি ও স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন খুঁটিনাটি জানতে ১৯৯২-৯৩ সালে শুরু হয়েছে ‘ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেল্থ সার্ভে’। এই সার্ভের সাম্প্রতিক প্রকাশিত রির্পোট থেকে জানা যাচ্ছে, নারী ও কিশোরদের পুষ্টি-র মধ্যে অনেক অবনতি দেখা গিয়েছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলিতে এই অবনতির চিত্র অনেকটাই স্পষ্ট। তাই এই সমস্ত দুরবস্থা দূর করতে বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবী ও আন্তর্জাতিক সংস্থা এগিয়ে এসেছে ইতিমধ্যেই।


রাজনগরে পুষ্টি সংক্রান্ত আলোচনা চলছে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির

সুজয় ঘোষাল : যে কোনও উন্নয়নশীল দেশের সামগ্রিক বিকাশ নির্ভর করে সেই দেশের মানুষের প্রত্যাশিত আয়ুস্কাল ও পুষ্টি-র উপর। আর এই পুষ্টি-র বিকাশ আরম্ভ হয় একেবারেই শৈশবকাল থেকেই। আবার একটি শিশুর পুষ্টি অনেকটাই নির্ভর করে তার মায়ের উপর। কারণ মা যদি স্বাস্থ্যহীন হয়ে পড়েন বা অপুষ্টির শিকার হন, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই তার প্রভাব পড়বে ওই শিশুর উপর।

শৈশব থেকে কিশোর বয়স পর্যন্ত চলতে থাকে পুষ্টি-র বিকাশ। নারী ও শিশুদের পুষ্টি ও স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন খুঁটিনাটি জানতে ১৯৯২-৯৩ সালে শুরু হয়েছে ‘ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেল্থ সার্ভে’। এই সার্ভের সাম্প্রতিক প্রকাশিত রির্পোট থেকে জানা যাচ্ছে, নারী ও কিশোরদের পুষ্টি-র মধ্যে অনেক অবনতি দেখা গিয়েছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলিতে এই অবনতির চিত্র অনেকটাই স্পষ্ট।

তাই এই সমস্ত দুরবস্থা দূর করতে বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবী ও আন্তর্জাতিক সংস্থা এগিয়ে এসেছে ইতিমধ্যেই। এরই মধ্যে বীরভূম জেলার রাজনগর ব্লকের গাঙমুড়ি-জয়পুর পঞ্চায়েতের ইউনিসেফ ও সিনি এই দুই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার যৌথ উদ্যোগে শুরু হয়েছে ‘Adolescence Nutrition and Maternal Nutrition’ প্রকল্প। এই প্রকল্পটির মূল লক্ষ্যই হল প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলিতে মাতৃত্বকালীন এবং কিশোর ও কিশোরীদের মধ্যে অপুষ্টি দূরীকরণ।

এর জন্য তারা বেছে নিয়েছে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের। কারণ মহিলাদের মধ্যে পুষ্টি ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত আলোচনা হলে তা তৃণমূল স্তরে ছড়িয়ে পড়ার অনেকটাই সম্ভাবনা থাকে। এর জন্য মোট ১০০টি স্বনির্ভর দলের মহিলাদের নিয়ে দুটি পর্যায়ে নিয়মিতভাবে প্রশিক্ষণও চলছে গাঙমুড়ি-জয়পুর পঞ্চায়েত এলাকাগুলিতে।

সিনির অন্যতম সদস্য কুন্তল চট্টোপাধ্যায় জানালেন, “আমাদের এই প্রোজেক্ট চলছে এখানকার গাঙমুড়ি-জয়পুর পঞ্চায়েতের প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতে। পুষ্টি ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত আলোচনা যেন এই এলাকাগুলির প্রতিটা মহিলা মেনে চলে, সেদিকে বিশেষভাবে নজর দেওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা বাড়িতে নিজস্ব উদ্যোগে পুষ্টি বাগানও তৈরি করছেন। পরে এই মহিলারা অন্য মহিলাদের পুষ্টি সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দিতে ও পুষ্টি বাগান তৈরি করা শেখাতে পারবেন। এই প্রকল্পটির সুবিধা হিসাবে তাঁরা কম মূল্যে সহজেই বাড়ি থেকে পুষ্টিকর খাদ্য পাওয়া সুনিশ্চিত করছেন। আর সেই সঙ্গে এলাকাগুলিতে পুষ্টি সংক্রান্ত রেওয়াজও বজায় থাকছে।”

Advertisement
Previous articleআগ্নেয়গিরি : ইন্দোনেশিয়ায় আবার জেগে উঠেছে মাউন্ট সেমেরু
Next articleসারদা কাত্যায়নী পুজো অনুষ্ঠিত হল দুবরাজপুর রামকৃষ্ণ আশ্রমে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here