আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই জাপানি সংস্থা ডোনাট রোবোটিকস বাজারে আনতে চলেছে তাদের তৈরি মোবাইল সংযোগী স্মার্ট মাস্ক। এটি ব্লুটুথের মাধ্যমে মোবাইলের সঙ্গে সংযোগ করা যাবে। যার ফলে এটির মাধ্যমে কথার প্রতিলিপি লেখা, কণ্ঠস্বর বাড়ানো ও নিজের ভাষাকে অন্য ভাষায় অনুবাদ করা যাবে। – ছবি : সংগৃহীত |
অনলাইন পেপার : মাস আটেক আগেও শুধুমাত্র বিশেষ কিছু ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হত মাস্ক। তখন মাস্কের সঙ্গে খুব বেশি সংযোগ গড়ে ওঠেনি পৃথিবীবাসীর। এই ভারতেই গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিনা মাস্কেই ঘুরে বেরিয়েছে সমস্ত দেশবাসী। কিন্তু কে জানত, এক সময়ে সমগ্র পৃথিবীটাই মাস্কে ঢেকে যাবে? অবশেষে করোনা সংক্রমণই শিখিয়ে দিল এই মাস্কের ব্যবহার। এখন প্রত্যেক মানুষের জন্যই অপরিহার্য হয়ে উঠেছে এটি। নইলে সংক্রমণ থেকে রেহায় পাওয়া মুশকিল!
মাস্কের রকমফেরও অনেক। সেই সঙ্গে তারতম্য রয়েছে তার মূল্যেরও। ভারতে মাস্ক ব্যবহারের প্রথম দিকে সামান্য একফালি কাপড়ের তৈরি সাধারণ মাস্কের মূল্যই ছিল আকাশ ছোঁয়া। আর N-95 ছিল যেন আগুনের গোলা। সে সময়ে ৬০০ টাকার ওপরেও বিক্রি হতে দেখা গিয়েছে প্রতিটি N-95 মাস্ক। তখন বাজারে মাস্কের আমদানি কম থাকায় দাম ছিল অনেকটাই বেশি। মাস্ক নিয়ে কালোবাজারিও কম হয়নি সেসময়ে। এখন অবশ্য পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে গিয়েছে। সাধ্যের মধেই পাওয়া যাচ্ছে অপরিহার্য এই মাস্ক।
বাড়ির বাইরে পা রাখতে হলে যেহেতু মাস্ক এখন অপরিহার্য প্রত্যেকের জন্য, অথবা প্রায় আজীবনের জন্যই সঙ্গী হয়ে উঠতে পারে এটি, তাই একে নিয়েও কম গবেষণা হচ্ছে না পৃথিবী জুড়ে। কীভাবে এর আকর্ষণ বাড়িয়ে আরও আধুনিকরণ করা সম্ভব, তাই নিয়েই এক শ্রেণীর মাস্ক গবেষক দিন-রাত মেতে রয়েছেন তাঁদের গবেষণায়। সম্প্রতি সিএনএন-এর একটি রিপোর্টে জানা গিয়েছে, খুব শীঘ্রই জাপানি সংস্থা ডোনাট রোবোটিকস বাজারে আনতে চলেছে তাদের নতুন স্পেশাল স্মার্ট মাস্ক। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘সি-ফেস স্মার্ট মাস্ক’।
ডোনাট রোবোটিকস সংস্থাটি দাবি করছে, তাদের তৈরি এই নতুন আধুনিক মাস্ক একদিকে যেমন করোনা সংক্রমণ আটকাতে পারবে, অপরদিকে এটিকে স্মার্ট দুনিয়ায় যোগাযোগের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা যাবে। এই মাস্কের মূল বৈশিষ্ট্য হল, একে ব্লুটুথের মাধ্যমে মোবাইলের নির্দিষ্ট অ্যাপসের সঙ্গে সংযোগ করা সম্ভব। যার ফলে এটিকে ব্যবহার করা যাবে কথার প্রতিলিপি লেখা, কণ্ঠস্বর বাড়ানো ও ভাষার অনুবাদক হিসাবে। এই স্মার্ট মাস্কের মাধ্যমে নিজের ভাষাকে জাপানি, কোরিয়ান, ফ্রেঞ্চ, ইংরেজি, চাইনা, ইন্দোনেশিয়ান, স্প্যানিশ ও ভিয়েতনামি এই ৮টি ভাষায় অনুবাদ করা যাবে।
সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ডিসেম্বরের দিকে জাপানের বাজারে প্রায় ৫-১০ হাজার এই ‘সি-ফেস স্মার্ট মাস্ক’ নামাতে পারবে তারা। পরে ধীরে ধীরে পৌঁছে যাবে পৃথিবীর অন্যত্র। খোলা বাজারে প্রতি মাস্কের সম্ভাব্য দাম হতে পারে ৪০-৫০ ডলার। বর্তমান হিসাব মোতাবেক ভারতীয় মুদ্রায় যা হবে ৩০৮০-৩৮৫০ টাকা।