Advertisement
করোনা সংক্রমণের ঢেউ-এর আঘাত সহ্য করেও অধিকাংশ মানুষ সুস্থ হয়ে উঠছেন। আবার কিছু মানুষ হারিয়ে যাচ্ছেন চিরদিনের জন্য। কিন্তু কিছু মানুষের মধ্যে এখনও এই ভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতা বোধ গড়ে ওঠেনি। তারা বিনা মাস্কেই বেরিয়ে পড়ছেন পথে। এবার তাদের শাস্তি স্বরূপ কফিনে শোয়ানোর অভিনব পদ্ধতি বের করল ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তার একটি কর্তৃপক্ষ। যদিও এই ঘটনায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে সেদেশে। – ছবি : সংগৃহীত
|
অনলাইন পেপার : করোনা সংক্রমণের ঢেউ এখনও অব্যাহত বিশ্ব জুড়ে। এই ঢেউ-এর আঘাত সহ্য করেও অধিকাংশ মানুষ সুস্থ হয়ে উঠছেন, আবার কেউ হারিয়ে যাচ্ছেন চিরদিনের জন্য। কিছু দেশ যদিও যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে এই মহামারীকে। কিন্তু অনেক দেশের অবস্থা এখনও সংকটাপন্ন। করোনা সংক্রমণ এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি আঘাত হানছে আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়ার কিছু দেশে। একদিনের করোনা সংক্রমণের সংখ্যার নিরিখে ভারত এখন প্রথম স্থানে রয়েছে।
তারপরেও কিছু মানুষের মধ্যে সচেতনতা বোধের বিন্দু মাত্র ছায়াও লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। কোনও কারণে ঘর ছেড়ে বাইরে বেরোলেই সামাজিক দূরত্ব রাখার পাশাপাশি অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে মাস্ক। মাস্ক ব্যবহার নিজের সঙ্গে অন্যকেও সুরক্ষিত রাখবে। স্বাস্থ্যকর্মীরা বার বার এই নির্দেশই দিয়ে আসছেন জনসাধারণকে। কিন্তু এক শ্রেণীর মানুষ এই নির্দেশ মানতে বাধ্য নন। তাঁরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা অনেক দূরের ব্যাপার, মুখে মাস্ক পর্যন্ত ব্যবহার করছেন না। এরকম ঘটনা একটি বা দুটি দেশের ক্ষেত্রে নয়, পৃথিবীর প্রায় সমস্ত দেশেরই।
তাই বেশ কিছু দেশ বা দেশের কিছু আঞ্চলিক প্রশাসনকে বিভিন্ন সময়ে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বোধ গড়ে তুলতে একাধিক পদক্ষেপ নিতে দেখা গিয়েছে। আপাতভাবে সেসবের কিছু পদক্ষেপকে উদ্ভট মনে হলেও, তা কিন্তু বেশ কার্যকর হয়েছে। সম্প্রতি এরকমই একটি উদ্ভট পদক্ষেপ নিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তার একটি অঞ্চল কর্তৃপক্ষ। সেখানে বিনা মাস্কে পথে বেরোনো মানুষদের শাস্তি স্বরূপ কফিনে শোয়ানো হচ্ছে। রিপোর্টটি প্রকাশিত হয়েছে বিবিসি সংবাদ মাধ্যমের একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্টে।
সূত্রে জানা যাচ্ছে, ইন্দোনেশিয়ার কিছু মানুষের মধ্যে একেবারেই সচেতনতা বোধ গড়ে উঠছে না। তারা বিনা মাস্কেই পথে বেরিয়ে পড়ছেন। তাদের মধ্যে সচেতনতা বোধ বৃদ্ধি করতে এই রকম অভিনব প্রয়াস করা হয়েছে। জাকার্তার পূর্ব অঞ্চলের কালিসারি কর্তৃপক্ষ এই পদ্ধতি বের করেছে। সেখানে বিনা মাস্কে বের হওয়া ব্যক্তিকে শাস্তি স্বরূপ একটি কফিনের মধ্যে শোয়ানো হচ্ছে। তারপর তাকে ১ থেকে ১০০ পর্যন্ত গুনতে বলা হচ্ছে। জাকার্তার পাবলিক অর্ডিন্যান্স এজেন্সির সদস্য জানাচ্ছেন, মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর জন্যই এই পদ্ধতির আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। এতে মানুষদের বোঝানো হচ্ছে, করোনা সংক্রমণে মৃত্যুঝুঁকি থাকছে। কফিনে শোয়ানো ওই দৃশ্য দেখার পর অন্য পথচারীরাও সচেতন হবেন।
যদিও এই ঘটনার পর যথেষ্ট সমালোচনার ঝড় উঠেছে ওই দেশটিতে। দেশটির আইনে এই রকম কোনও প্রকার শাস্তির বিধানের কথা উল্লেখ নেই। ইন্দোনেশিয়ার আইনে বলা হয়েছে, মাস্ক ছাড়া পথে বেরোলে ওই ব্যক্তিকে জরিমানা করা হবে এবং তাকে সমাজসেবামূলক কাজ করতে হবে। তাই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ওই রকম কফিনে শোয়ানোর সাজা না দিয়ে তাকে জরিমানা করতে।
Advertisement