মজুরি স্বল্প, তবুও বিড়ি বেঁধে সংসার চালান মহিলারা

Advertisement
What
সুজয় ঘোষাল : বিশ্বজুড়ে তামাক বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। ভারত সরকার, রাজ্য সরকার উভয়েই বেশ কিছু কঠিন পদক্ষেপ নিয়েছে তামাক বিরোধী অভিযানের যা নিঃসন্দেহে অশনি সংকেত আনতে পারে বিড়ি ব্যবসায়ীসহ বিড়ি প্রস্তুতকারীদের কাছে। তবুও সব আশঙ্কাকে উপেক্ষা করে বিড়ি বেঁধে পেটের ভাত জোগাচ্ছেন সাঁইথিয়া ব্লকের আমোদপুরের স্কুলবাগান পাড়ার বেশ কিছু মহিলা। শুধু এই পাড়াই নয়, বিড়ি বাঁধছেন এই অঞ্চলের ছোটলাইনপাড়া ও দাসপাড়ার মহিলাদের একাংশ।
     সবচেয়ে আশ্চর্যের এই দেশে ধূমপায়ীদের মধ্যে পুরুষদের সংখ্যা বেশি হলেও বিড়ি বাঁধার কাজ করছেন মহিলাদেরই একাংশ। পূর্বে বিড়ি শিল্পের এত রমরমা ছিল না। তখন তামাকের চাষ হত। সেই তামাক গাছ কাটারি দিয়ে কেটে রোদে শুকানো হত। পরে চিটে গুড় মিশিয়ে কলকের নীচের ফুটোতে ঠিকরে (পাথর) দিয়ে তামাক ভরা হত। আবার এই তামাক কেউ কেউ হুকো বা গড়গড়াতেও ব্যবহার করত। বর্তমানে বিড়িশিল্প একটি পেশাভিত্তিক লোকয়ত শিল্পে পরিণত হয়েছে
     আমোদপুরের স্কুলবাগানের এই পাড়ায় মহিলাদের প্রায় ১০-২০ জন বিড়ি বেঁধে চলেছেন দীর্ঘদিন ধরে। এদের মধ্যে প্রভাতী চৌধুরি জানালেন, প্রায় ৩ দশক ধরে তিনি এই শিল্পের সাথে যুক্ত তাদের অভিযোগও অনেক বিড়ি শিল্পীদের মধ্যে অর্পণা চৌধুরি, দীপিকা দাস, টুম্পা চৌধুরির অভিযোগ, দীর্ঘদিন এই পেশায় যুক্ত থাকলেও এখনও প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁরা কোনও বিড়ি শ্রমিকের পরিচয়পত্র পাননি। বাড়েনি তাঁদের মজুরিবর্তমানে তারা প্রতি হাজার বিড়িতে পান ১১০ টাকা। বিড়ি তৈরিতে যে পরিমান শ্রম লাগে, সেই অনুপাতে বাড়েনি তাদের পারিশ্রমিক।
     তাঁদের দাবি, বিড়ি বাঁধা যেহেতু অসংগঠিত জীবিকা, তাই বিড়ি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত মহিলা শ্রমিকদের প্রয়োজন ব্লকের শ্রম দফতরে সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে নাম অর্ন্তভুক্তকরণ, পাশাপাশি প্রয়োজন বিড়ি বাঁধার সময় স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতাও

Advertisement
Previous articleনেপচুনকে কেন্দ্র করে দু’টি চাঁদ নাচছে পাল্লা দিয়ে
Next article‘ডিজে দূষণ’ নিয়ন্ত্রণে আসবে কবে?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here