কিছু গ্রহাণু আছে যারা, কয়েক বছর অন্তর অন্তর পৃথিবীর কক্ষপথে চলে আসে। তবে তাদের আসার নির্দিষ্ট কোনও সময় থাকে না। এমনই একটি গ্রহাণু ‘১৫৩২০১২০০০ডব্লিউও ১০৭’ আগেও পা রেখেছে পৃথিবীর কক্ষপথে। আবার গ্রহাণুটির সঙ্গে বড়ো কোনও দুর্ঘটনা না ঘটলে ভবিষ্যতেও এই কক্ষপথে পা রাখবে সে। তবে আপাতত এই গ্রহাণুটিকে নিয়ে ভয়ের কোনও কারণ দেখছেন না নাসার জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। অর্থাৎ এবারের মতো পৃথিবীর সঙ্গে তার কোনও সংঘাতের কারণ থাকছে না। |

রঞ্জন সরকার : ঘণ্টায় ৯০,১২৪ কিলোমিটার গতিবেগে আজ অর্থাৎ ৩০ নভেম্বর যে গ্রহাণুটি পৃথিবীর পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছে, তাকে নিয়ে অহেতুক আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ দেখছে না ‘নাসা’। গ্রহাণুটির আকার ১২০০০ থেকে ১২৭০০ ফুটের মধ্যে ও ব্যাস প্রায় ২৬৯০ ফুট। এর বৈজ্ঞানিক নাম দেওয়া হয়েছে ‘১৫৩২০১২০০০ডব্লিউও ১০৭’।
মহাকাশে ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন গ্রহাণু, যাদের নির্দিষ্ট কক্ষপথ থাকলেও কিছুটা আঁকাবাঁকা পথে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করার সময় মাঝে মধ্যেই পৃথিবীর কক্ষপথে ঢুকে পড়ে। তাদের কোনও কোনওটির আকার হতে পারে ছোটো, আবার কোনও কোনওটি বেশ অনেকটাই বড়ো। ছোটো গ্রহানুগুলিকে নিয়ে তেমন কোনও ভয়ের কারণ থাকে না। তবে বড়ো গ্রহাণুগুলি অবশ্যই আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
কিছু গ্রহাণু আছে, যারা কয়েক বছর অন্তর অন্তর পৃথিবীর কক্ষপথে চলে আসে। তবে তাদের আসার নির্দিষ্ট কোনও সময় থাকে না। এমনই একটি গ্রহাণু ‘১৫৩২০১২০০০ডব্লিউও ১০৭’ আগেও পা রেখেছে পৃথিবীর কক্ষপথে। আবার গ্রহাণুটির সঙ্গে অন্য কোথাও বড়ো কোনও দুর্ঘটনা না ঘটলে ভবিষ্যতেও এই কক্ষপথে পা রাখবে সে। তবে আপাতত এই গ্রহাণুটিকে নিয়ে ভয়ের কোনও কারণ দেখছেন না নাসার জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। অর্থাৎ এবারের মতো পৃথিবীর সঙ্গে তার কোনও সংঘাতের কারণ থাকছে না।
নাসা জানিয়েছে, ৪,৩০২,৭৭৫ কিলোমিটার দূর থেকেই বিদায় নেবে ওই গ্রহাণুটি। বরং নির্দিষ্ট জায়গায় টেলিস্কোপ বসিয়ে তাতে চোখ রাখতে পারলে অবশ্যই সাক্ষী থাকতে পারা যাবে ওই মহাজাগতিক বস্তুটিকে দেখার।
গ্রহাণুটির সৃষ্টি সম্পর্কে নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই ধরণের গ্রহাণুর জন্ম হয়েছিল প্রায় ৪.৬ বিলিয়ন বছর আগে সৌর জগত সৃষ্টি হওয়ার সময়কালে। জন্মের পর থেকেই গ্রহাণুগুলি গ্রহদের মতোই নির্দিষ্ট পথে সূর্যের চারিদিকে ঘুরে চলেছে। তবে অভিকর্ষ বল কম হওয়ায় তাদের কক্ষপথগুলি কিছুটা এঁকেবেঁকে সৌরজগতের অন্য গ্রহগুলির কক্ষপথে ঢুকে গিয়েছে। তাই মাঝে মধ্যেই অন্য গ্রহগুলির মতো পৃথিবীর কক্ষপথেও চলে আসে তারা।
তবে পৃথিবীর কক্ষপথে ঢুকে পড়া মানেই পৃথিবীর দিকে ধেয়ে এসে তার সঙ্গে ধাক্কা লাগা নয়। কিন্তু ভবিষ্যতে কোনও বড়ো-সড়ো গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষ হলে, তার ফল যে খুব একটা ভালো হবে না, তাও জানিয়েছে নাসা। তবে এ যাত্রায় তেমন কিছু হওয়ার আপাতত কোনও সম্ভাবনায় নেই।