ব্যতিক্রম : এখানে বিয়ের পর বউ যাবে না শ্বশুরবাড়ি, এটাই নিয়ম

Advertisement

তবে অদ্ভুত এই ব্যতিক্রম-এর জন্য এবার সমস্যায় পড়েছেন ওই গ্রামের যুবতী মেয়েরা। বিয়ের বয়স গড়িয়ে গেলেও বিয়ের জন্য পাচ্ছেন না কোনও পুরুষ সঙ্গী। কারণ সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী, কোনও ছেলেই চায়বে না মেয়ে শ্বশুরবাড়িতে না গিয়ে বাপের বাড়িতে থাকুক। ওই গ্রামের আরও একটি অদ্ভুত রীতি রয়েছে, গ্রামের যত পুরুষ, ১৮ বছর বয়স হলে তাদেরকেও পাঠিয়ে দেওয়া হয় গ্রামের বাইরে। ফলে গ্রামটি ক্রমশ হয়ে উঠছে পুরুষ শূন্য।


ব্যতিক্রম : এখানে বিয়ের পর বউ যাবে না শ্বশুরবাড়ি, এটাই নিয়ম
Symbolic image – image by olcay ertem from Pixabay

অনলাইন পেপার : রীতি অনুযায়ী, বিয়ের পর স্বামীর হাত ধরে মেয়ে চলে যায় শ্বশুরবাড়িতে। তারপর সেটাই হয় মেয়ের নিজের বাড়ি। যদিও মাঝে মধ্যে বাপের বাড়িতে বেড়াতে আসে মেয়ে। কিছুদিন থেকে আবার ফিরে যায় নিজের বাড়িতে। আমৃত্যু বাপের বাড়ি ছেড়ে নতুন বাড়িতেই সংসার ধর্ম পালন করতে হয় তাকে। যুগ যুগ ধরে এই নিয়মেই চলে আসছে মানুষের জীবন। আর এটাই যে কোনও ধর্ম বা জাতির অতি সাধারণ নিয়ম।

তবে ব্যতিক্রম যে থাকতে পারে না, তা নয়। প্রতিটি নিয়ম বা রীতিরই কিছু না কিছু ব্যতিক্রম অবশ্যই থাকে। আর এই বৈবাহিক ক্ষেত্রেও রয়েছে। তবে সেটি ধর্ম বা জাতি ভেদে নয়। একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে রচিত হয়েছে এই রীতি বা নিয়ম। এখানে বিয়ের পর বউ-কে পাঠানো হয় না শ্বশুরবাড়িতে। বরং স্বামীকেই থেকে যেতে বলা হয় মেয়ের বাড়িতে।

ঘটনাটি দক্ষিণ-পূর্ব ব্রাজিলের একটি পাহাড়ি গ্রামের। গ্রামের নাম নোইভা ডো কোরডোইরো। এখানেই রয়েছে এই অদ্ভুত উল্টো নিয়ম। গ্রামের মেয়েদের বিয়ে দেওয়া হয় ঠিকই, কিন্তু শর্ত থাকে, মেয়ে কোনওভাবেই স্বামীর হাত ধরে শ্বশুরবাড়িতে যেতে পারবে না। সারাজীবনই তাকে থেকে যেতে হবে বাপের বাড়িতে। তবে ছেলে ইচ্ছা করলে ফিরে যেতে পারে নিজের বাড়িতে। আর যখন খুশি সে ফিরেও আসতে পারে বউ-এর কাছে। সব মিলিয়ে ওই গ্রামে মহিলাদের সংখ্যা এখন প্রায় ৬০০।

কিন্তু কেন এই ব্যতিক্রম? এর পিছনে রয়েছে অদ্ভুত একটি সত্য ঘটনা। ঘটনাটি ঘটেছিল ১৮৯০ সাল নাগাদ। সেসময় মারিয়া সেনহোরিনা ডি লিমা নামের একটি মেয়েকে তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক বিয়ে দেওয়া হয়। ফলে তাঁর মন স্থির হয়নি শ্বশুরবাড়িতে। তিনি ফিরে আসেন এই নোইভা ডো কোরডোইরো-তে। ১৮৯১ সাল নাগাদ এখানেই একটি গ্রাম প্রতিষ্ঠা করেন। আর সেই সঙ্গে এই অদ্ভুত নিয়মও চালু করেন। সেই থেকে এই নিয়মেই চলছে তাদের গ্রাম।

তবে অদ্ভুত এই ব্যতিক্রম-এর জন্য এবার সমস্যায় পড়েছেন ওই গ্রামের যুবতী মেয়েরা। বিয়ের বয়স গড়িয়ে গেলেও বিয়ের জন্য পাচ্ছেন না কোনও পুরুষ সঙ্গী। কারণ সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী, কোনও ছেলেই চায়বে না মেয়ে শ্বশুরবাড়িতে না গিয়ে বাপের বাড়িতে থাকুক।

ওই গ্রামের আরও একটি অদ্ভুত রীতি রয়েছে, গ্রামের যত পুরুষ, ১৮ বছর বয়স হলে তাদেরকেও পাঠিয়ে দেওয়া হয় গ্রামের বাইরে। ফলে গ্রামটি ক্রমশ হয়ে উঠছে পুরুষ শূন্য। বেড়ে যাচ্ছে মেয়েদের সংখ্যা। সেই সঙ্গে বাড়ছে অবিবাহিত মেয়েদের সংখ্যাও। যারা প্রত্যেকেই প্রায় সুন্দরী। অদ্ভুত ব্যতিক্রম-এর জন্য কোনও ছেলেই জুটছে না তাদের কপালে।

Advertisement
Previous articleরটন্তী কালী-র জন্ম-ই হয়েছে অপবাদ ঘোচাতে
Next articleপশ্চিমী ঝঞ্ঝা : বৃষ্টির হাত ধরেই কি তবে বিদায় নিচ্ছে এবছরের শীত?

1 COMMENT

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here