বীরভূমের ঐতিহ্যপূর্ণ বিবেকানন্দ গ্রন্থাগার ১২০ বছর অতিক্রম করল

Advertisement

বীরভূম জেলার সদর শহর সিউড়ির সুপ্রাচীন বিবেকানন্দ গ্রন্থাগারটি ১২০ বছর অতিক্রম করল। গ্রন্থাগারটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯০০ খ্রিস্টাব্দে। বিভিন্ন সময়ে এই গ্রন্থাগারে এসেছেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, সমরেশ বসু, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, শঙ্কু মহারাজ প্রমুখ সাহিত্যিকেরা। বহু বিশিষ্ট গবেষক এখানে গবেষণা চালিয়েছেন। ২৫ আগস্টের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ভারত সেবাশ্রম সংঘের বরিষ্ঠ সন্ন্যাসী স্বামী শুভানন্দজী। – ছবি : জনদর্পণ প্রতিনিধি

traditional vivekananda library of birbhum spanned 120 years

জনদর্পণ ডেস্ক : বীরভূম জেলার সদর শহর সিউড়ির সুপ্রাচীন বিবেকানন্দ গ্রন্থাগারটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯০০ খ্রিস্টাব্দে। সেই সুদীর্ঘকাল থেকেই জ্ঞানপিপাসু সমাজের চাহিদা নিরবচ্ছিন্নভাবে মিটিয়ে চলেছে এই গ্রন্থাগারটি। বহু বিশিষ্ট গবেষক এই গ্রন্থাগারে গবেষণা চালিয়েছেন এক সময়ে। বলা বাহুল্য এখনও গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন অনেক গবেষকই। বিভিন্ন সময়ে এসেছেন ভারত বিখ্যাত ব্যক্তিত্বরা। গত ২৫ আগস্ট ছিল এই গ্রন্থাগারটির জন্মদিন। এবার করোনা অতিমারির কারণে অন্যান্য বারের মতো আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠান করা সম্ভব হয়নি। তবুও সামাজিক দূরত্ব মেনে দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে।

     এদিনের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক ড. পার্থ সারথি মুখোপাধ্যায়। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ভারত সেবাশ্রম সংঘের বরিষ্ঠ সন্ন্যাসী স্বামী শুভানন্দজী মহারাজ। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিউড়ি শহরের বেশ কয়েকজন গুণী ব্যক্তি। অনুষ্ঠানের শুরুতে উপস্থিত সকলেই বিবেকানন্দের মূর্তিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।

traditional vivekananda library of birbhum spanned 120 years 2

     এদিনের মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানে সভাপতি পার্থসারথি মুখোপাধ্যায় তার বক্তব্যে জানান জ্ঞান চর্চার ক্ষেত্রে এই প্রাচীন গ্রন্থাগারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা। করোনা জনিত অতিমারির পরিস্থিতিতে সামাজিকভাবে কি করা উচিত সে বিষয়টিও অনেক বক্তার বক্তব্যে উঠে আসে। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন শুভানন্দজী মহারাজ সহ গ্রন্থাগারের সম্পাদক সোমেশ্বর বড়াল।

     অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী সুপ্রিয়া ঘোষাল, মহুয়া গোস্বামী প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন গ্রন্থাগারের যুগ্ম সম্পাদক শিক্ষক সোমনাথ মুখোপাধ্যায়।

     এখানে উল্লেখ করতে হয়, এই গ্রন্থাকারে এক সময়ে গবেষণা করেছেন অধ্যাপক রমারঞ্জন মুখোপাধ্যায়, অধ্যাপক দেব রঞ্জন মুখোপাধ্যায়, অধ্যাপক রঞ্জন গুপ্ত, অধ্যাপক সুধীর কুমার করণ, ডঃ অমলেন্দু মিত্র প্রমুখ। বিভিন্ন সময়ে এই গ্রন্থাগারে এসেছেন সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, সমরেশ বসু, শঙ্কু মহারাজ, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রভাবতী দেবী সরস্বতী সহ বহু গুণীজন।

     এই গ্রন্থাগারে রয়েছে একটি ক্যারিয়ার গাইডেন্স সেন্টার। যেখান থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করে থাকেন। যদিও বর্তমানে করোনা অতিমারির কারণে গ্রন্থাগারের স্বাভাবিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে।

Advertisement
Previous article‘মানব ক্যালকুলেটর’ ভানু, হিসাব কষেন ক্যালকুলেটরের থেকেও দ্রুত
Next articleবেসরকারি স্কুলের অবস্থা করুণ, ক্লাসরুমেই চাষ হচ্ছে মুরগীর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here