বিশ্ব জুড়ে খাদ্যসংকট তৈরি হতে পারে, আশঙ্কা জাতিসংঘের

Advertisement

১৮ মে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি জানিয়েছেন, চলতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্বকে আবার এক খাদ্যসংকট এর দিকে ঠেলে দিতে পারে। এমনিতেই রাশিয়া ও ইউক্রেন সারা বিশ্বের কাছে সূর্যমুখী তেল, গম ও ভুট্টার এক সুবিশাল ভাণ্ডার হিসাবে পরিচিত। সারা বিশ্বের প্রায় ৩০ শতাংশ গম শুধুমাত্র রাশিয়া ও ইউক্রেন উৎপাদন করে থাকে।


বিশ্ব জুড়ে খাদ্যসংকট তৈরি হতে পারে, আশঙ্কা জাতিসংঘের
Symbolic Image – Image by Kai Pilger from Pixabay

অনলাইন পেপার : এখনও বিশ্ব জুড়ে যথেষ্ট খাদ্যদ্রব্য মজুত রয়েছে। কিন্তু আগামী মাসগুলিতে খাদ্যসংকট তৈরি হতে পারে, যদি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থেমে না যায়। সম্প্রতি এমনই মত প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। ইতিমধ্যে বিশ্ব জুড়ে খাদ্যদ্রব্যের দামও ঊর্ধ্বমুখী। তাই খাদ্যসংকটের আশঙ্কা কিছু অমূলক নয়।

বিবিসি সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, ১৮ মে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি জানিয়েছেন, চলতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্বকে আবার এক খাদ্যসংকট এর দিকে ঠেলে দিতে পারে।

এমনিতেই রাশিয়া ও ইউক্রেন সারা বিশ্বের কাছে সূর্যমুখী তেল, গম ও ভুট্টার এক সুবিশাল ভাণ্ডার হিসাবে পরিচিত। সারা বিশ্বের প্রায় ৩০ শতাংশ গম শুধুমাত্র রাশিয়া ও ইউক্রেন উৎপাদন করে থাকে। নিজেদের সামান্যতম প্রয়োজন মিটিয়ে অধিকাংশ খাদ্যদ্রব্যই তারা বিশ্ব বাজারে রপ্তানি করে থাকে। কিন্তু চলতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইউক্রেনের রপ্তানি ব্যবস্থা এখন প্রায় বন্ধ হয়ে রয়েছে। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, যুদ্ধের পূর্বে ইউক্রেন প্রতি মাসে প্রায় ৪৫ মিলিয়ন টন খাদ্যদ্রব্য বিশ্ব বাজারে রপ্তানি করত। কিন্তু যুদ্ধের কারণে বন্দরগুলি বন্ধ থাকায় রপ্তানির সুযোগ আর থাকছে না। জাতিসংঘ জানিয়েছে, সেদেশে এখনও পর্যন্ত ২০ মিলিয়ন টন ভুট্টা আটকা পড়ে রয়েছে।

এছাড়াও যুদ্ধের কারণে রাশিয়া ও বেলারুশে রাসায়নিক সারও আটকা পড়ে রয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। এই সারেরও কোনও বিকল্প নেই বলে মত জাতিসংঘের।

দীর্ঘদিনের আশঙ্কাকে সত্য প্রমাণ করে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন আক্রমণ করে রাশিয়া। ইউক্রেনও বিভিন্নভাবে জবাব দিয়ে চলেছে রাশিয়ার আক্রমণের। প্রায় ৩ মাস গড়িয়ে গেলেও যুদ্ধ সমাপ্তির এখনও পর্যন্ত কোনও সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে না। যদিও ইতিমধ্যে বার কয়েক রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি আলোচনা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সমাধান সূত্র তেমন কিছুই বের করা সম্ভব হয়নি।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বিশ্ব বাজারে খাদ্যদ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি ঘটেছে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩০ শতাংশ। এই বৃদ্ধি আগামীতে আরও বাড়ার সম্ভাবনা থাকছে বলে মত প্রকাশ করেছেন একাধিক বিশেষজ্ঞ। জাতিসংঘ আশঙ্কা প্রকাশ করছে, এই সংকটের দ্রুত সুরাহা না হলে, আগামী মাসগুলিতে সমগ্র বিশ্ব তীব্র খাদ্যসংকটের মধ্যে পড়তে পারে। বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন হতে পারে।

Advertisement
Previous articleমাংস খাওয়ার প্রবণতা ক্রমে বেড়েই চলেছে মানুষের মধ্যে
Next articleUFO র আগমন বেড়েছে আগের তুলনায়, পেন্টাগনের রিপোর্ট

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here