সম্প্রতি জাতিসংঘের বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (WMO)-র প্রকাশিত একটি রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, ২০২০ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি এখানকার নতুন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। ওই দিন আর্জেন্টিনার এস্পারাঞ্জা রিসার্চ সেন্টারের তাপমাত্রা ছিল ১৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। WMO জানাচ্ছে, গত ৫০ বছরে অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ২০১৫ সালের ২৪ মার্চ আর্জেন্টিনার ওই রিসার্চ সেন্টারের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। |

অনলাইন পেপার : বিশ্ব উষ্ণায়ণকে কোনওভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। প্রায় প্রতি বছরই উষ্ণতা বৃদ্ধির নতুন নতুন রেকর্ড গড়ছে পৃথিবী। চলতি করোনা সংক্রমণের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে লকডাউন চলার সময়ে অনেকেই ধারণা করেছিলেন, বিশ্ব উষ্ণায়ণ হয়তো কিছুটা হলেও কমানো সম্ভব হবে। কিন্তু সেই ধারণা যে এখনও পর্যন্ত কোনওভাবেই বাস্তবে রূপ নেয়নি, তার সবচেয়ে বড়ো উদাহরণ চলতি বছরের গ্রীষ্মে শীতল অঞ্চলগুলির তাপমাত্রা বৃদ্ধি।
গত ২৭ জুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় রেকর্ড পরিমাণ তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। ওই দিন কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ার লুটন গ্রামে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এখনও পর্যন্ত ওই দেশের সর্বকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এমনিতেই কানাডা সমগ্র বিশ্বের কাছে একটি শীতল দেশ হিসাবেই পরিচিত। বছরের অধিকাংশ সময় দেশটির প্রায় অর্ধেকই বরফাবৃত থাকে। দেশটির দক্ষিণাংশে গ্রীষ্মের অনুভূতি পাওয়া যায়। তবে বিগত কয়েক দশক ধরে ক্রমশ তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে দেশটির ওই অংশে।
শুধু তাই নয়, এবছর তাপমাত্রা বৃদ্ধির নতুন রেকর্ড গড়ে ফেলল অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশও। অ্যান্টার্কটিকাকে এমনিতেই বরফের মহাদেশ বলা হয়ে থাকে। মহাদেশটির অধিকাংশ অঞ্চলের সারা বছরের গড় তাপমাত্রা থাকে প্রায় মাইনাস ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে কয়েক দশকের ক্রমাগত তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে গলতে শুরু করেছে এখানকার বরফও।
নিয়ম করে সুমেরু অঞ্চলের তাপমাত্রা মাপা সম্ভব হলেও, কুমেরু বা অ্যান্টার্কটিকা অঞ্চলের তাপমাত্রা তেমনভাবে মাপা হয় না। গবেষণার জন্য কিছু মানুষ বসবাস করলেও, প্রায় সারা বছরই এই অঞ্চলটি মনুষ্য শূন্য হয়ে থাকে। তাই তেমনভাবে তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রতি নজরও দেওয়া হয় না এখানে।
তবে সম্প্রতি জাতিসংঘের বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (WMO)-র প্রকাশিত একটি রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, ২০২০ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি এখানকার নতুন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। ওই দিন আর্জেন্টিনার এস্পারাঞ্জা রিসার্চ সেন্টারের তাপমাত্রা ছিল ১৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। WMO জানাচ্ছে, গত ৫০ বছরে অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ২০১৫ সালের ২৪ মার্চ আর্জেন্টিনার ওই রিসার্চ সেন্টারের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।