বিশ্বের ২ শতাংশ বিজ্ঞানীর মধ্যে স্থান পেয়েছেন বাঙালি বিজ্ঞানী ড. প্রবীর ঘোষ

Advertisement
বিজ্ঞানী ড. প্রবীর ঘোষের বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরের পাশ্ববর্তী কুমারপুর গ্রামে। বিশ্বব্যাপী বৈজ্ঞানিক গোষ্ঠী জলবায়ু পরিবর্তন, কার্বন সিকোয়েস্টেশন, সম্পদ ব্যবহারে দক্ষতা, সংরক্ষিত কৃষি, মৃত্তিকার জল সংরক্ষণ, সুসংহত খামার ব্যবস্থার ক্ষেত্রে বিশ্বের কাছে তিনি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন। তার এই কাজকে বিশ্বের অন্যতম সেরা কাজ হিসাবে গণ্য করা হয়েছে, যা বহুল সংখ্যক কৃষক সম্প্রদায়কে উপকৃত করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

বিশ্বের ২ শতাংশ বিজ্ঞানীর মধ্যে স্থান পেয়েছেন বাঙালি বিজ্ঞানী ড. প্রবীর ঘোষ
ড. প্রবীর ঘোষ

জনদর্পণ ডেস্ক : বাঙালি এখনও বিশ্ব মঞ্চে তাঁর জাত চিনিয়ে চলেছে। একটা সময়ে এই বাঙালি জাতিই গোটা ভারতকে অগ্রসর হওয়ার পথ চিনিয়ে দিত। স্যার জগদীশ চন্দ্র বোস, আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়, সত্যেন্দ্র নাথ বসুর মতো মহান বিজ্ঞানীর জন্ম হয়েছে এই বঙ্গে। তা স্বত্বেও ভীরু-লাজুক হিসাবেই বেশি বদনাম দেওয়া হয় বাঙালিদেরই। কিন্তু সুযোগ পেলে বাঙালি যে তাঁর জাত চেনাতে ভুল করে না, তা আবারও একবার প্রমাণ করে দেখালেন বিজ্ঞানী ড. প্রবীর ঘোষ।

বিশ্বভারতীর পল্লী শিক্ষা ভবনের এই প্রাক্তন ছাত্র ড. প্রবীর ঘোষ এখন বীরভূম জেলার রায়পুরের জাতীয় জৈব অনুসন্ধান কেন্দ্রের পরিচালক ও উপাচার্য। সম্প্রতি তিনি স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের দ্বারা তৈরি এক স্বতন্ত্র বিজ্ঞান গবেষনার জন্য বিশ্বের ২ শতাংশ বিজ্ঞানীদের মধ্যে স্থান পাওয়ার এক দুলর্ভ কৃতিত্বের অধিকারী হয়েছেন। তাঁর এই কীর্তির রিপোর্ট গুগলেও প্রতিফলিত হয়েছে। তিনি বিশ্বভারতীর পল্লী শিক্ষা ভবনের ১৯৮১-৮৫ সালের ব্যাচের ছাত্র ছিলেন।

বিশ্বভারতী রথীন্দ্র কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের অধিকর্তা ড. সুব্রত মণ্ডল জানালেন, বিজ্ঞানী ড. প্রবীর ঘোষের বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরের পাশ্ববর্তী কুমারপুর গ্রামে। বিশ্বব্যাপী বৈজ্ঞানিক গোষ্ঠী জলবায়ু পরিবর্তন, কার্বন সিকোয়েস্টেশন, সম্পদ ব্যবহারে দক্ষতা, সংরক্ষিত কৃষি, মৃত্তিকার জল সংরক্ষণ, সুসংহত খামার ব্যবস্থার ক্ষেত্রে বিশ্বের কাছে তিনি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন। তার এই কাজকে বিশ্বের অন্যতম সেরা কাজ হিসাবে গণ্য করা হয়েছে, যা বহুল সংখ্যক কৃষক সম্প্রদায়কে উপকৃত করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

এর আগে ড. ঘোষ ১৯টি জাতীয় পুরষ্কার এবং জাতীয় বিজ্ঞান একাডেমি ও পেশাদারি সংস্থার  ফেলোশিপ অর্জন করেছেন। এর আগে তাঁর একাডেমিক, প্রশাসন ও গবেষণার শ্রেষ্ঠত্বের কারণে তিনি পি.এম.ও কর্তৃক গঠিত দলওয়াই কমিটির Doubling Farmer Income (D.F.I)-এর কো-অপ্টেড সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। এছাড়াও D.F.I.-তে ১৪টি খন্ড আনার জন্য ওই কমিটিকে সক্রিয় সহযোগিতা করেছিলেন। ড. ঘোষ খুব শীঘ্রই ‘স্বনির্ভর ভারতের জন্য কৃষিতে উদ্ভাবন’ শীর্ষক একটি আন্তজার্তিক প্রকাশনাও প্রকাশ করেছেন। অনুমান করা হচ্ছে, যা পরবর্তীকালে ভারতের জন্য একটি কার্যকরী গাইড হয়ে উঠতে পারে।

Advertisement
Previous articleভাইফোঁটায় ভ্রাতৃত্বের বন্ধন দৃঢ় করতে রক্তদান শিবির গোপ্তায়
Next articleশীতে করোনা সংক্রমণ বাড়বে, এমন কোনও প্রত্যক্ষ প্রমাণ এখনও মেলেনি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here