Advertisement
সজয় পাল : কয়েক দশক আগেও প্রান্তিক গ্রামগুলির সাথে শহরাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা মোটেও ভালো ছিল না। চিকিৎসকের অভাবও ছিল যথেষ্ট। তাই এই সব প্রান্তিক অঞ্চলের কারও শরীর খারাপ হলেই ছুটে যেতো গ্রামীণ কবিরাজের কাছে। তখন তিনিই ছিলেন গ্রাম্য ডাক্তার। তাঁর ওষুধ ছিল মূলত গাছ-পালা বা লতা-গুল্মের ছাল, শিকড় আর পাতার নির্যাস। আশ্চর্য রকমের রোগ নিরাময়ের ক্ষমতা ছিল তাতে। কবিরাজের দেওয়া নিয়মানুবর্তিতায় ওষুধ সেবন করলে কয়েকদিনের মধ্যেই রুগি সুস্থ হয়ে উঠত।
কিন্তু সময় পাল্টে গেছে দ্রুত। দুর্গম গ্রামগুলিতেও ঢুকে পড়েছে আধুনিকতার হাওয়া। কবিরাজি ছাল, শিকড় আর পাতার নির্যাস ফেলে মানুষ পৌঁছে গেছে এলোপ্যাথির যুগে। তাই বিলুপ্তির পথে আজ কবিরাজি চিকিৎসা, আর সেই সাথে ভেষজ গাছপালা। লজ্জাবতী, বিশল্যকরণী, ওলটকম্বল, দাদমর্দন, হাড়ভাঙা, নিসিন্দা, কালমেঘ, অগ্নীশ্বর, অশোক, বাসক, তুরুফ, সর্পগন্ধা, তেলাকচু, রক্তজবা, জার্মানলতা প্রভৃতি গাছ-গাছড়া কয়েক দশক আগেও গ্রাম্য এলাকায় হামেশায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকতে দেখা যেত। এখন তেমন আর চোখে পড়ে না। মূলত কবিরাজরায় ভেষজ উদ্ভিদগুলো সঠিকভাবে চিনতে এবং তার গুনাগুণ সম্পর্কে জানতে পারতেন। কবিরাজি চিকিৎসার বিলুপ্তির সাথে সাথে এই সব মূল্যবান ভেষজ গাছগুলিও হারিয়ে যেতে বসেছে এখন।
আধুনিক প্রজন্মের কাছে এই সব ভেষজ গাছ ও তার গুনাগুণ প্রায় পুরোটায় অজ্ঞাত। চাষাবাদ বা বাসস্থানের পরিধি বৃদ্ধির কারণে সেসব আজ সমূলে উচ্ছেদ হয়ে চলেছে। অথচ মুষ্টিমেয় কয়েকজন ছাড়া অধিকাংশের কেউই এদের বাঁচিয়ে রাখার তাগিদ বলে মনে করেন না।
Advertisement
Very well-timed write-up. What we require is a group of experienced people who can identify the plants and make us aware of their medicinal potential. At the same time we must appreciate the potential dangers associated with herbal medicines. Dr Madhab Chattopadhyay (M.Pharm, Ph.D) Hyderabad