বাইডেন এমনিতেই ব্যক্তিগতভাবে একজন পশু প্রেমী। তাঁর প্রিয় পশুর মধ্যে কুকুর অন্যতম। মেজর ও চ্যাম্প এই দুটিই জার্মান শেফার্ড প্রজাতির কুকুর। চ্যাম্প দীর্ঘদিন থেকেই বাইডেনের পোষ্য হয়ে রয়েছে। তার বয়স এখন প্রায় ১২ বছর। বারাক ওবামা প্রেসিডেন্ট থাকাকালে বাইডেন ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট। তখনও চ্যাম্প ছিল তাঁর সব সময়ের সঙ্গী। তবে মেজর তুলনামূলকভাবে বেশ ছোট। ২০১৮ সালে বাইডেন তাকে প্রাণীদের আশ্রয়স্থল থেকে পোষ্য হিসাবে গ্রহণ করেন। |

অনলাইন পেপার : গত ৭ নভেম্বরই মার্কিন নির্বাচনের ইলেকটোরাল ভোটের ম্যাজিক ফিগার (২৭০টি) অতিক্রম করে গিয়েছিলেন জো বাইডেন। ভোট গণনা যদিও এখনও চলছে, কিন্তু তা শেষ হওয়ার অনেক আগেই আগামী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে নিশ্চিত হয়ে গিয়েছেন তিনি। মার্কিন আইনানুগ আগামী জানুয়ারিতেই তিনি নতুন প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেবেন।
এদিকে তাঁর সঙ্গেই হোয়াইট হাউজের বাসিন্দা হতে চলেছে মেজর ও চ্যাম্প। এই দু’জন আসলে জো বাইডেনের পোষা কুকুর। বাইডেন এমনিতেই ব্যক্তিগতভাবে একজন পশু প্রেমী। তাঁর প্রিয় পশুর মধ্যে কুকুর অন্যতম। মেজর ও চ্যাম্প এই দুটিই জার্মান শেফার্ড প্রজাতির কুকুর। চ্যাম্প দীর্ঘদিন থেকেই বাইডেনের পোষ্য হয়ে রয়েছে। তার বয়স এখন প্রায় ১২ বছর। বারাক ওবামা প্রেসিডেন্ট থাকাকালে বাইডেন ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট। তখনও চ্যাম্প ছিল তাঁর সব সময়ের সঙ্গী। তবে মেজর তুলনামূলকভাবে বেশ ছোট। ২০১৮ সালে বাইডেন তাকে প্রাণীদের আশ্রয়স্থল থেকে পোষ্য হিসাবে গ্রহণ করেন।
শুধু জো বাইডেন নন। এর আগেও অধিকাংশ প্রেসিডেন্ট হোয়াইট হাউজে থাকার সময়ে সঙ্গী হিসাবে সঙ্গে কুকুর রাখতেন। এটি মার্কিন মুলুকের একটি প্রথা বলা চলে। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কোনও পোষ্য রাখতেন দেখা যায়নি।
জো বাইডেন আগামী ২০ জানুয়ারি নতুন প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেবেন। অবশ্য তার আগেই তিনি একগুচ্ছ ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন। প্রেসিডেন্ট পদে অধিষ্ঠান করার সঙ্গে সঙ্গেই কোন কাজগুলি আগে হাতে তুলে নেবেন, তা ইতিমধ্যেই তিনি ব্যক্ত করেছেন। বিবিসি সংবাদ মাধ্যমের সূত্র অনুযায়ী, তার মধ্যে প্রথম দিকে অগ্রাধিকার পাবে করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় গতি আনা। ট্রাম্পের একাধিক নীতির পরিবর্তন ঘটানোও হবে তাঁর প্রথম দিকের কাজ। এব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের ধারণা, বিভিন্ন সময়ে ট্রাম্প যে সমস্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, বাইডেন হয়তো সেই সব সিদ্ধান্তকে পুনঃবিবেচনা করবেন।
এছাড়াও তাঁর প্রথম দিকের কাজগুলির মধ্যে অবশ্যই থাকবে বর্ণবৈষম্য দমন করা। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময়ে একাধিকবার সেদেশে কৃষ্ণাঙ্গদের হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে। এমনকি তাঁর সময়ে সম্প্রতি জনসমক্ষে পুলিশ কর্মী দ্বারা একজন কৃষ্ণাঙ্গের হত্যাও হতে হয়েছে। বাইডেন ইতিমধ্যেই এই ধরণের বর্ণবৈষম্য দূরীকরণকে ভিত হিসাবে প্রতিষ্ঠা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।