ফাইভ-জি পরিষেবা চালুতে এয়ারলাইন্সগুলো কেন উদ্বেগে রয়েছে?

Advertisement

এর আগে ফাইভ-জি পরিষেবা নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন একাধিক পক্ষীপ্রেমী। তাঁদের আশঙ্কা, ফাইভ-জি পরিষেবা চালু হবে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে পারে পরিযায়ী পাখিরা। যারা দূর-দূরান্তে উড্ডয়নের সময় ভূ-চুম্বকের সাহায্য নিয়ে থাকে। পক্ষীপ্রেমীদের কথায়, পাখিদের এই ব্যবস্থায় ‘পথের কাঁটা’ ফাইভ-জি পরিষেবা। এছাড়াও টেলিভিশন সম্প্রচার শিল্পও হুমকির মুখে পড়তে পারে বলেও অনেক প্রযুক্তিবিদের আশঙ্কা।


ফাইভ-জি পরিষেবা চালুতে এয়ারলাইন্সগুলো কেন উদ্বেগে রয়েছে?
Symbolic Image – Image by F. Muhammad from Pixabay

অনলাইন পেপার : টু-জি, থ্রি-জি আর ফোর-জির পর এবার চালু করার পালা ফাউভ-জি পরিষেবা। দীর্ঘদিন ধরে এই নিয়ে চলেছে বিস্তর গবেষণা। এই পরিষেবার কী উপকারিতা আর কী অপকারিতা রয়েছে, তা নিয়েও চলেছে বিস্তর কাটাছেঁড়া। পক্ষে ও বিপক্ষের দুই দলই তাঁদের মত পোষণ করেছেন। তবে এটা তাঁরা অবশ্যই স্বীকার করেছেন, সব ভালোর মাঝে কিছু খারাপ দিক নিশ্চয় থাকবে। এক্ষেত্রে ফাইভ-জি অবশ্যই যুগ পরিবর্তনের একটি ৫ম প্রজন্মের প্রযুক্তি। ইন্টারনেটের গতি পূর্ব (ফোর-জি)-এর থেকে বাড়িয়ে দেবে অন্তত ১০ গুণ। তাই যুগ পরিবর্তন করতে খারাপ দিকগুলিকেও সঙ্গে নিয়ে চলতে হবে।

২০১৮ সালেই পরীক্ষা মূলকভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩০টি শহরে ফাইভ-জি পরিষেবা চালু করা হয়েছিল। এবার সমগ্র দেশ জুড়ে যুক্তরাষ্ট্র ফাইভ-জি পরিষেবা চালু করতে চলেছে। আর এতেই যথেষ্ট উদ্বেগে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ বিশ্বের বড়ো বড়ো এয়ারলাইন্সগুলি। এক্ষেত্রে শঙ্কা সুরক্ষাব্যবস্থায়। ব্যাঘাত ঘটবে বিমান চলাচলের উপরেও। কয়েকটি দেশের এয়ারলাইন্স আবার ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছে, বিমানবন্দের কাছাকাছি ফাইভ-জি পরিষেবা চালু হলে বিমান রুটের পরিবর্তন করতে তারা বাধ্য হবে। ও সেই সঙ্গে বিমানের সংখ্যাও কমিয়ে দিতে পারে। এদের মধ্যে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১০টি এয়ারলাইন্স সহ জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারতের মতো দেশের একাধিক এয়ারলাইন্স।

কিন্তু ফাইভ-জি পরিষেবা-র সঙ্গে বিমান সুরক্ষাব্যবস্থার শঙ্কা কোথায়? আসলে ৫ম প্রজন্মের এই ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক বেতার তরঙ্গের উপর নির্ভর করে চলে। অপরদিকে চলন্ত বিমানের উচ্চতা মাপার ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হয় ওই একই প্রযুক্তির বেতার তরঙ্গ। বিমানের ওঠা-নামার ক্ষেত্রে এর কোনও বিকল্প ব্যবস্থাও নেই। এয়ারলাইন্সগুলি এক্ষেত্রে আশঙ্কা করছে, ফাইভ-জি পরিষেবা চালু হলে, সেখান থেকে নির্গত বেতার তরঙ্গ বিঘ্ন ঘটাতে পারে বিমান চলাচলে।

এর আগে ফাইভ-জি পরিষেবা নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন একাধিক পক্ষীপ্রেমী। তাঁদের আশঙ্কা, ফাইভ-জি পরিষেবা চালু হবে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে পারে পরিযায়ী পাখিরা। যারা দূর-দূরান্তে উড্ডয়নের সময় ভূ-চুম্বকের সাহায্য নিয়ে থাকে। পক্ষীপ্রেমীদের কথায়, পাখিদের এই ব্যবস্থায় ‘পথের কাঁটা’ ফাইভ-জি পরিষেবা। এছাড়াও টেলিভিশন সম্প্রচার শিল্পও হুমকির মুখে পড়তে পারে বলেও অনেক প্রযুক্তিবিদের আশঙ্কা। তাঁদের মতে, একবার সম্পূর্ণভাবে ফাইভ-জি পরিষেবা চালু হলে বিশ্ব জুড়ে টেলিভিশন পরিষেবার আধিপত্য সংকটে পড়বে।

Advertisement
Previous articleশকুন রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা নিচ্ছে বাংলাদেশ
Next articleবৈশ্বিক উষ্ণায়ন-এ সুরক্ষিত নেই সদ্যজাত শিশুরাও

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here