প্রাণের বীজ বহনে ধূমকেতু

Advertisement
Comet2

রঞ্জন সরকার : ধূমকেতুই কী প্রাণের বীজ বহন করে এনেছিল পৃথিবীতে? সেরকমই ধারণা করছেন একদল বিজ্ঞানীর। তাঁরা মনে করছেন, সুদূর অতীতে পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়েছিল কোনও এক ধূমকেতু আর তাতে ছিল এমন কিছু রাসায়নিক যা এখানে প্রাণের সঞ্চার ঘটিয়েছিল।
     তাই ধূমকেতু নিয়ে উৎসাহের শেষ নেই বিজ্ঞানী মহলের। তন্ন তন্ন করে খুঁজে চলেছেন ধূমকেতুর আপাদমস্তক। একটুকরো প্রাণের বীজও যদি পাওয়া যায় সেখানে! কিন্তু প্রশ্ন হল ওই সমস্ত ধূমকেতুরা আসলে আসে কোথা থেকে? কিছু জ্যোতির্বিজ্ঞানীর ধারণা, সৌরজগতের একেবারেই শেষ সীমান্তে রয়েছে কোটি কোটি ধূমকেতু। জায়গাটির নাম দেওয়া হয়েছে “ওরট ক্লাউড”। এটিই ধূমকেতুদের স্বর্গরাজ্য। এবিষয়ে আর একদল বিজ্ঞানী অবশ্য বলছেন, “ওরট ক্লাউড” সৌরমণ্ডলের কোনও অংশই নয়। জায়গাটি সৌরমণ্ডলের একেবারেই বাইরে।
images%2B%25283%2529
     কিন্তু গ্যালাক্সি নিয়ে যাঁরা কাজ করেন তাঁরা বলছেন, “ওরট ক্লাউড” কম-বেশি সব নক্ষত্রমণ্ডলেই বিদ্যমান। আর সেখান থেকেই নিয়মিত বা অনিয়মিত ধূমকেতুরা একবার করে নক্ষত্র প্রদক্ষিণ করে যায়। তাদের যাওয়া-আসার পথে যদি দেখা হয় পৃথিবীর সাথে, তাহলে তো ‘মিতালী’ হতেই পারে।
     একে ‘মিতালী’ বা দুর্ঘটনা যায়-ই বলা হোক, প্রাণ সৃষ্টির কারিগর কী তবে ধূমকেতু-ই? প্রশ্নটা থেকেই যায়।
Advertisement
Previous article২ ডিসেম্বর অর্থাৎ আজ থেকেই শুরু হচ্ছে জ্যোতির্বিজ্ঞানের মেগা ইভেন্ট
Next articleইতিহাসের এক নৃশংস সুন্দরী এলিজাবেথ বাথোরি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here