পৃথিবী জুড়ে ক্রমশ সংখ্যা বাড়ছে নিরামিষাশীদের

Advertisement
Niramish
অনলাইন পেপার : একথা অস্বীকার করার কোনও জায়গা নেই, যে পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি নিরামিষাশী মানুষ ভারতবর্ষে বসবাস করেন। সুপ্রাচীনকাল থেকে অথবা বলা ভালো আর্য সভ্যতার সময় থেকেই ভারতে নিরামিষাশী মানুষের জন্ম হয়েছে। যদিও ওই একই সময়ে পৃথিবীর অন্য দেশেও নিরামিষাশী মানুষের অস্তিত্ব ছিল। ভারতের বিভিন্ন প্রাচীন আয়ুর্বেদ শাস্ত্রগুলিতেও নিরামিষ খাদ্যদ্রব্যের উপকারিতার বিশদ বিবরণ দেওয়া রয়েছে।
     তবে বর্তমান সভ্যতায় সেই ভারতবর্ষের এক বিশাল অঙ্কের মানুষ এখন আমিষের ভক্ত হয়ে উঠেছে। তাদের দৈনন্দিন জীবনের খাদ্যতালিকায় আমিষের পরিমাণটাই সর্বাধিক। কিন্তু সাম্প্রতিক সমীক্ষা বলছে, সমগ্র পৃথিবী জুড়ে এই সময়ে নিরামিষাশীদের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। কমছে আমিষভোজীদের সংখ্যা। এরকমই একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে বিবিসি সংবাদ মাধ্যমে।
     ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে বাড়ছে নিরামিষাশীদের সংখ্যা। গত ৩ বছরে যুক্তরাজ্যে এই সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৪০০ গুন এবং যুক্তরাষ্ট্রে বেড়েছে প্রায় ৬০০ গুন। ভেগান সোসাইটির করা ওই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ২০০৬ সালে যুক্তরাজ্যে যেখানে নিরামিষাশীদের সংখ্যা ছিল মাত্র দেড় লক্ষ, সেখানে ২০১৮ সালে বেড়ে হয়েছে প্রায় ৬ লক্ষ। ওই সমীক্ষায় আরও জানা গিয়েছে, এই শ্রেণীর মানুষেরা কোনওরকম মাছ-মাংস বা ডিমজাতীয় খাবার খান না। তবে এ শুধু যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্রের ঘটনা নয়। সমগ্র পৃথিবীতেই এমনটি ঘটছে।
     কিন্তু কী কারণে আমিষভোজীরা হঠাৎ নিরামিষের দিকে ঝুঁকতে শুরু করেছে? সমীক্ষায় তার কারণও ব্যাখ্যা করা হয়েছে। সেখানে দেখানো হয়েছে, বিভিন্ন গবেষণায় বারবার প্রমাণিত হয়েছে মাংসজাতীয় খাবার খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকে অনেক বেশি। তাছাড়া নিরামিষ খাদ্যে কিছু শারীরিক উপকারিতাও মেলে। দু’রকম খাবারের এই গুনাগুন বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় বর্তমানে ব্যাপকভাবে প্রচার হতে শুরু হয়েছে। ফলে মানুষ নিজের স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে খাদ্যতালিকায় আমিষের বদলে নিরামিষকেই বেশি করে গুরুত্ব দিচ্ছে।

Advertisement
Previous articleইচ্ছা মতো চালিত হতে চলেছে মানুষের মেমোরি
Next articleস্বামী বিবেকানন্দের ছেলেবেলার কিছু কথা-কাহিনি (ভিডিও সহ)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here