জাপানি ওই ৩৯ বছর বয়সী প্রেমিকের নাম তাকাশি মিয়াগাওয়া। তিনি জাপানের কান্সাই এলাকার একজন পার্ট টাইমার বিপণনকর্মী। পণ্য বিক্রির সময়ই তিনি বাক চাতুরতায় মহিলাদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করতেন। প্রায় সারা বছর ধরে দামি ‘বার্থ ডে গিফট’ পাওয়ার লোভে তিনি এক একজন প্রেমিকের কাছে তাঁর জন্ম তারিখ আলাদা আলাদা বলতেন। এব্যাপারে ৪৭ বছর বয়সী এক প্রেমিকা অভিযোগ করেছেন, তাকাশি তাঁকে নাকি জন্ম তারিখ বলেছেন ২২ ফেব্রুয়ারি। যদিও পুলিশ জানিয়েছে, তাকাশির প্রকৃত জন্ম তারিখ ১৩ নভেম্বর। |

অনলাইন পেপার : নতুন নতুন দামি উপহার পেতে কার না ভালো লাগে। অবশ্য এখানে উপহার দেওয়া আর পাওয়া নির্ভর করে সম্পূর্ণভাবে ব্যক্তিগত সম্পর্কের উপর। সেই উপহার যদি জন্মদিনের হয়, তবে আহ্লাদের কোনও সীমা থাকে না। কিন্তু প্রতারণা করে উপহার নিলে, তার চেয়ে খারাপ আর কি-ই হতে পারে।
আর সম্প্রতি এমনটিই ঘটিয়েছেন জাপানের এক ৩৯ বছর বয়সী প্রেমিক। শুধুমাত্র নিত্য-নতুন দামি উপহার পাওয়ার লোভেই তিনি সম্পর্ক তৈরি করেছেন ৩৫ জন নারীর সঙ্গে। তাঁদের কাছ থেকে প্রতারণা করে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু দামি উপহার ও নগদ টাকাও হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি।
দ্য টোকিও রিপোর্টার সংবাদ মাধ্যম সূত্র অনুযায়ী, জাপানি ওই ৩৯ বছর বয়সী প্রেমিকের নাম তাকাশি মিয়াগাওয়া। তিনি জাপানের কান্সাই এলাকার একজন পার্ট টাইমার বিপণনকর্মী। পণ্য বিক্রির সময়ই তিনি বাক চাতুরতায় মহিলাদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করতেন। প্রায় সারা বছর ধরে দামি ‘বার্থ ডে গিফট’ পাওয়ার লোভে তিনি এক একজন প্রেমিকার কাছে তাঁর জন্ম তারিখ আলাদা আলাদা বলতেন। এব্যাপারে ৪৭ বছর বয়সী এক প্রেমিকা অভিযোগ করেছেন, তাকাশি তাঁকে নাকি জন্ম তারিখ বলেছেন ২২ ফেব্রুয়ারি। ৪০ বছর বয়সী অপর আর এক প্রেমিকার অভিযোগ, তাকাশি তাঁকে জন্ম তারিখ জানিয়েছেন জুলাই মাসে। যদিও পুলিশ জানিয়েছে, তাকাশির প্রকৃত জন্ম তারিখ ১৩ নভেম্বর।
এইভাবে বারংবার নিজের জন্ম তারিখ বদলিয়ে তিনি প্রেমিকাদের কাছ থেকে বেশ কিছু দামি উপহারও নিয়েছেন। এব্যাপারে পুলিশ জানিয়েছে, তাকাশি ইতিমধ্যেই ৩ জন প্রেমিকার থেকে সংগ্রহ করেছেন মোট ১ লক্ষ ইয়েন। এছাড়াও ২০ হাজার ইয়েন ইলেকট্রনিক মুদ্রা ও ৩০ হাজার ইয়েনের দামি স্যুট-ও তিনি আলাদা আলাদা প্রেমিকার থেকে উপহার পেয়েছেন।
তবে কথায় আছে, ‘চোরের সাতদিন, গৃহস্থের একদিন’। প্রতারণা আর বেশিদিন চালিয়ে যেতে পারেননি তিনি। ধরা তাঁকে অবশেষে পড়তেই হল। তাও আবার প্রেমিকাদের জোট বন্দীতে। কীভাবে তাঁর প্রেমিকারা জোটবদ্ধ হয়েছিলেন, এব্যাপারে তেমন কিছু জানা না গেলেও তাঁরা এক জোটেই পুলিশের কাছে তাকাশির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করেন। তাকাশির বিরুদ্ধে প্রথম প্রতারণার অভিযোগ অবশ্য গত ফেব্রুয়ারিতেই করা হয়েছিল।