বারোয়ারী বা সাবেকি পুজোর মধ্যে প্রথম স্থান পায় সুরুল বড়ো বাড়ির পুজো, দ্বিতীয় স্থানে রাখা হয় সুরুল ছোটো বাড়ির পুজো এবং তৃতীয় স্থান দেওয়া হয় রূপপুরের রণজিৎ মুখোপাধ্যায়ের বাড়ির পুজোকে। একইভাবে সার্বজনীন দুর্গা পুজোর মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করে কমলাকান্তপুর যুব সমিতি, দ্বিতীয় স্থানে থাকে শ্যামবাটি যুব সমিতি ও তৃতীয় স্থান দেওয়া হয় সীমান্তপল্লী সার্বজনীন পুজো কমিটিকে। এছাড়াও বিশেষভাবে পুরস্কৃত হয়েছে সোনাঝুরির হিরালিনী দুর্গা পুজো কমিটি, গোয়ালপাড়ার রামপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির পুজো ও মতিপুর সার্বজনীন। – ছবি : জনদর্পণ প্রতিনিধি |

রঞ্জন সরকার : এবছর করোনা পরিস্থিতিতে দুর্গোৎসব অনেকটাই ম্লান হয়েছে অধিকাংশ স্থানে। তবুও করোনার মতো ভয়াবহ পরিবেশে বাঙালির এই শ্রেষ্ঠ উৎসবে যেন কোথাও উৎসাহ না কমে তার জন্যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল বিভিন্নভাবে। আঞ্চলিকভাবেও কিছু অঞ্চলে একাধিক উপায়ে উদ্যোগ নিতে দেখা গিয়েছিল।
এই এরকমই এবছর একটি ‘উৎসাহ জোগানো’-র কর্মসূচি নিয়েছিল বীরভূম জেলার রূপপুর গ্রাম-পঞ্চায়েত। এই পঞ্চায়েতটি করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও যেভাবে ওই অঞ্চলের গ্রামগুলি দুর্গা পুজোর আয়োজন করেছে তা পরিদর্শন করে পুজোর দিনগুলি। এই পরিদর্শনের জন্য চার সদস্যের একটি বিচারক মণ্ডলীও গঠন করেছিল। তাঁরা ওই অঞ্চলের সমস্ত সার্বজনীন ও বারোয়ারী বা সাবেকি পুজো মণ্ডপ পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনের সময় তাঁরা বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখেন পুজোগুলির বৈশিষ্ট্য, প্রতিমা সজ্জা, ডেকোরেশন, করোনা মোকাবিলার ব্যবস্থা। উৎসাহ জোগানোর পাশাপাশি ব্যবস্থা ছিল পুরস্কারেরও। রূপপুর গ্রাম-পঞ্চায়েতকে এব্যাপারে পূর্ণ সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসে সুরুল গ্রামের ‘আনন্দময়ী সমিতি’।
গত ১ নভেম্বর রূপপুর গ্রাম-পঞ্চায়েত ও সুরুলের ‘আনন্দময়ী সমিতি’-র যৌথ উদ্যোগে আনুষ্ঠানিকভাবে ওই অঞ্চলের পুজো কমিটিগুলিকে বিশেষভাবে সম্মানিত করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাধিপতি বিকাশ রায় চৌধুরী, বিশিষ্ট সমাজসেবী সুদীপ্ত ঘোষ ও আরও অনেক বিশিষ্টজন।

এদিন পুজো উদ্যোগতাদের সম্মান জানানোর পর পুরস্কৃত করা হয় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অনুযায়ী। পুরস্কার প্রদানের বিষয়টিকেও দুইভাগে ভাগ করা হয়, বারোয়ারী বা সাবেকি পুজো ও সার্বজনীন পুজো। বারোয়ারী বা সাবেকি পুজোর মধ্যে প্রথম স্থান পায় সুরুল বড়ো বাড়ির পুজো, দ্বিতীয় স্থানে রাখা হয় সুরুল ছোটো বাড়ির পুজো এবং তৃতীয় স্থান দেওয়া হয় রূপপুরের রণজিৎ মুখোপাধ্যায়ের বাড়ির পুজোকে। একইভাবে সার্বজনীন দুর্গা পুজোর মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করে কমলাকান্তপুর যুব সমিতি, দ্বিতীয় স্থানে থাকে শ্যামবাটি যুব সমিতি ও তৃতীয় স্থান দেওয়া হয় সীমান্তপল্লী সার্বজনীন পুজো কমিটিকে। এছাড়াও বিশেষভাবে পুরস্কৃত হয়েছে সোনাঝুরির হিরালিনী দুর্গা পুজো কমিটি, গোয়ালপাড়ার রামপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির পুজো ও মতিপুর সার্বজনীন।
পুজো উদ্যোগতারা জানাচ্ছেন, রূপপুর গ্রাম-পঞ্চায়েত ও সুরুল গ্রামের ‘আনন্দময়ী সমিতি’-র যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত এই অনুষ্ঠান আগামীতে পুজো পরিচালনার ক্ষেত্রে তাঁদের বিশেষভাবে উৎসাহ জোগাবে।