পাচার হওয়া ‘টেরাকোটা’ ফিরে পেল নাইজেরিয়া

Advertisement
মানুষের ব্যবহার্য পোড়ামাটির যে কোনও দ্রব্যকেই টেরাকোটা বলা হয়। এটি একটি লাতিন শব্দ। ‘টেরা’ কথার অর্থ মাটি আর ‘কোটা’ হল আগুনে পোড়ানো। প্রাচীন যুগে মাটির ফলকের ওপর বিভিন্ন কারুকার্য খোঁদায় করে রোদে শুকিয়ে আগুনে পুড়িয়ে নেওয়া হত। এছাড়াও তখনকার সময়ে অধিকাংশ আসবাবপত্রগুলিও ছিল পোড়ামাটির। সেগুলিকেও টেরাকোটা শিল্পকর্মের মধ্যেই ধরা হয়। আজও বঙ্গদেশের কুমোরপাড়াগুলিতে পোড়ামাটির বিভিন্ন ভাস্কর্য তৈরি হয়ে চলেছে।

হওয়া টেরাকোটা ফিরে পেল নাইজেরিয়া
Symbolic Image – Image by Kerstin Riemer from Pixabay

অনলাইন পেপার : টেরাকোটার ভাস্কর্যটি সুদূর নাইজেরিয়া থেকে পাচার হয়ে পৌঁছে গিয়েছিল নেদারল্যান্ডসে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমস্টারডামের শিফল বিমান বন্দরে বিমান বন্দর রক্ষীদের কাছে ধরা পড়ে যায় পাচারকারীরা। পরে জানা যায় পাচার হয়ে আসা ওই টেরাকোটার ভাস্কর্যটি আসলে ইফে সভ্যতার। এবং সেটি ৬০০ বছরেরও বেশি পুরনো।

ইফে নাইজেরিয়ার একটি প্রাচীন শহর। বর্তমানে ওই শহরটির অবস্থান নাইজেরিয়ার অসুন প্রদেশে। এক সময়ে ওই প্রাচীন শহরটিতে টেরাকোটার শিল্পকর্ম চলত। পাচার হওয়া টেরাকোটার ভাস্কর্যটি ছিল ইফে সভ্যতার একটি মানব মাথার প্রতিলিপি। বিবিসি সংবাদ মাধ্যম সূত্র অনুযায়ী, নাইজেরিয়ার সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, সেটি ঘানা হয়ে নেদারল্যান্ডসে পৌঁছে যায়।

পাচারকারীরা ভুয়ো কাগজপত্র দেখিয়ে ভাস্কর্যটি নেদারল্যান্ডস পর্যন্ত নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিল। পরে নাইজেরিয়া সরকার সন্দেহভাজন পাচারকারীদের বিরুদ্ধে একটি মামলায় জিতে গেলে ভাস্কর্যটি নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার অধিকার পায়। গত ২৬ নভেম্বর নেদারল্যান্ডস সরকার সেটিকে নাইজেরিয়া সরকারের হাতে তুলে দিয়েছে।

এখানে উল্লেখ করতে হয়, মানুষের ব্যবহার্য পোড়ামাটির যে কোনও দ্রব্যকেই টেরাকোটা বলা হয়। এটি একটি লাতিন শব্দ। ‘টেরা’ কথার অর্থ মাটি আর ‘কোটা’ হল আগুনে পোড়ানো। প্রাচীন যুগে মাটির ফলকের ওপর বিভিন্ন কারুকার্য খোঁদায় করে রোদে শুকিয়ে আগুনে পুড়িয়ে নেওয়া হত। এছাড়াও তখনকার সময়ে অধিকাংশ আসবাবপত্রগুলিও ছিল পোড়ামাটির। সেগুলিকেও টেরাকোটা শিল্পকর্মের মধ্যেই ধরা হয়। আজও বঙ্গদেশের কুমোরপাড়াগুলিতে পোড়ামাটির বিভিন্ন ভাস্কর্য তৈরি হয়ে চলেছে।

সুমেরীয় সভ্যতা, মায়া সভ্যতা, ব্যাবিলনীয় সভ্যতা, সিন্ধু সভ্যতা এমনকি হরপ্পা সভ্যতাতেও মিলেছে টেরাকোটার একাধিক নিদর্শন। ‘স্বস্তিক’, যাকে বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন চিহ্ন ধরা হয়, সেটিও প্রথম অঙ্কন করা হয়েছিল কাদামাটির ওপর, পরে রোদে শুকিয়ে আগুনে পোড়ানো হয়েছিল। তাই স্বীকার করতেই হবে, টেরাকোটা প্রাচীন যুগের অজানা ইতিহাস জানার অন্যতম একটি সেরা মাধ্যম।

Advertisement
Previous article১৯৭৬ থেকে ১৯৯৮, ফিরে দেখা মারাদোনার ফুটবল ক্যারিয়ার
Next articleদোষ ঢাকতে নয়া কৌশল : করোনার উৎপত্তি চিনেই ঘটেনি, দাবি চিনা গবেষকদের

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here