পশ্চিমী ঝঞ্ঝা : বৃষ্টির হাত ধরেই কি তবে বিদায় নিচ্ছে এবছরের শীত?

Advertisement

এই বছরটি যেন সম্পূর্ণ ভিন্ন। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা কোনওভাবেই পিছু ছাড়ছে না শীতকে। শুরু থেকে বারেবারেই কাঁটা বিছিয়ে চলেছে শীতের পথে। কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ইতিমধ্যে এক ধাক্কায় ৩ ডিগ্রী বেড়ে ১৬ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেডে পৌঁছে গিয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের অন্য জেলাগুলিরও এই একই অবস্থা। আবহাওয়াবিদরা এর জন্য দায়ী করছেন পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ও পূবালী হাওয়াকে। এই দুইয়ের প্রভাবে কার্যত শীতের দাপট কমে গিয়েছে বঙ্গে।


পশ্চিমী ঝঞ্ঝা : বৃষ্টির হাত ধরেই কি তবে বিদায় নিচ্ছে এবছরের শীত?

জনদর্পণ ডেস্ক : শীত প্রেমীদের জন্য এ যেন এক দুঃসংবাদ। কারণ মাঘের শেষ লগ্নেও শীত উধাও বঙ্গের একাংশ থেকে। আর এবারেও ‘ভিলেন’ সেই পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। এবছর হেমন্তের শেষ থেকে কোনওভাবেই মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি শীত। যদিও কোনও কোনও সময় জাঁকিয়ে শীত নামতে চেয়েছিল। কিন্তু পর মুহূর্তেই পশ্চিমী ঝঞ্ঝা-র আঘাতে নিজের শক্তি ক্ষয় করতে বাধ্য হয়েছে।

আবহাওয়ার সম্পূর্ণ খামখেয়ালিপনা চলেছে প্রায় সারা বছর ধরেই। দাপিয়ে বেড়িয়েছে ‘বর্ষাসুর’। যার প্রভাব এখনও চলছে। এমনিতেই শীতের মরশুমে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা থাকে না বঙ্গে। কিন্তু কোনও কোনও সময় পশ্চিমী ঝঞ্ঝা এসে হাজির হয় বঙ্গের দ্বারপ্রান্তে। ফলে বাধ্য হয়েই বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্প ছুটে আসতে বাধ্য হয় স্থলভাগে। বেশ কয়েকদিন ধরেই আকাশ থাকে মেঘলা। মাঝে মাঝে ঝোড়ো বাতাসও বয়ে যায় বঙ্গের উপর দিয়ে। সেই সঙ্গে নেমে আসে বৃষ্টি। তবে এই বৃষ্টি মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সৃষ্টি হওয়া কোনও স্বাভাবিক বৃষ্টি নয়। তাই অতি ভারি বৃষ্টি হওয়ার কোনও সম্ভাবনা থাকে না এখানে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা-র প্রভাব কেটে গেলে আবার শীতের ইনিংস শুরু হয়।

তবে এই বছরটি যেন সম্পূর্ণ ভিন্ন। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা কোনওভাবেই পিছু ছাড়ছে না শীতকে। শুরু থেকে বারেবারেই কাঁটা বিছিয়ে চলেছে শীতের পথে। কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ইতিমধ্যে এক ধাক্কায় ৩ ডিগ্রী বেড়ে ১৬ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেডে পৌঁছে গিয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের অন্য জেলাগুলিরও এই একই অবস্থা। আবহাওয়াবিদরা এর জন্য দায়ী করছেন পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ও পূবালী হাওয়াকে। এই দুইয়ের প্রভাবে কার্যত শীতের দাপট কমে গিয়েছে বঙ্গে।

আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে ৩ ফেব্রুয়ারি থেকেই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি চলতে পারে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এর মধ্যে ৪ ও ৫ ফেব্রুয়ারি সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। বৃষ্টি চলবে দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই। সেই সঙ্গে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আরও কিছুটা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে এই সময়।

তবে শীত প্রেমীরা জানতে চায়ছে, পশ্চিমী ঝঞ্ঝা কেটে যাওয়ার পর আবার কী শীতের ইনিংস শুরু হতে পারে। যদিও এর কোনও সঠিক জবাব পাওয়া যায়নি এখনও। তবে একাধিক আবহাওয়াবিদের দাবি, এই পশ্চিমী ঝঞ্জা-র প্রভাব কেটে যাওয়ার পর শীতের দেখা তেমনভাবে আর নাও পাওয়া যেতে পারে। কারণ ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই বিদায় নিতে শুরু করবে উত্তুরে হাওয়া। সেই সঙ্গে ফিরতে পারে পূবালী হাওয়াও। অর্থাৎ বাংলায় প্রবেশ করবে ঋতুরাজ বসন্ত।

Advertisement
Previous articleব্যতিক্রম : এখানে বিয়ের পর বউ যাবে না শ্বশুরবাড়ি, এটাই নিয়ম
Next articleআন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন ভেঙে পড়তে পারে ২০৩১ সাল নাগাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here