পরিবেশে এবছরও অনেকটাই বেড়েছে কার্বন-ডাই-অক্সাইড-এর ঘনত্ব

Advertisement
লকডাউনেও যে বিশ্ব জুড়ে কার্বন-ডাই-অক্সাইড-এর নিঃসরণ আশানরূপ কমেনি, তা জানা গেল সম্প্রতি গবেষণায়। তবে লকডাউনে কিছুটা আঘাত পেয়েছে কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ। গবেষকরা বলছেন, টানা ১ বছর ২০-৩০ শতাংশ নিঃসরণ কমানো গেলে তবেই কমবে কার্বন-ডাই-অক্সাইড ঘনত্বের পিপিএম-এর হার।

পরিবেশে এবছরও অনেকটাই বেড়েছে কার্বন-ডাই-অক্সাইড-এর ঘনত্ব
অনলাইন পেপার : করোনা সংক্রমণ রুখতে বিশ্বের অধিকাংশ দেশই মার্চ মাস থেকে শুরু করেছিল লকডাউন ঘোষণা। গোটা এপ্রিল মাসটা ছিল মূলত লকডাউনের মাস। কারণ এই মাসটিতে বলতে গেলে সমগ্র বিশ্বই প্রায় স্তব্ধ হয়ে যায় লকডাউনের জন্য। তারপর মে মাসের মাঝামাঝি সময়ের পর থেকে আবার লকডাউন শিথিল হতে থাকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে।
     তাই বিশেষজ্ঞদের অনেকেই ধারণা করেছিলেন, লকডাউনে সমস্ত পৃথিবী এক যোগে স্তব্ধ হওয়ার কারণে গোটা বিশ্বের পরিবেশটাই হয়তো বদলে যেতে পারে। কারণ এই সময়ে কলকারখানা, মোটরযান প্রভৃতি তেমন চলতে দেখা যায়নি বিশ্ব জুড়ে। তাই কার্বন কণার নিঃসরণও স্বাভাবিকভাবে কমে যেতে পারে পরিবেশে। আরও লক্ষ্য করা গিয়েছিল, ওজন স্তরের ক্ষতও অনেকটাই সেরে উঠেছে এই সময়ে।
     কিন্তু সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাওনা লোয়া অজারভেটরি যে তথ্য সামনে নিয়ে এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, পরিবেশে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের ঘনত্বের পরিমাণ খুব একটা কমেনি। বরং পূর্বের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। তবুও আশার কথা এই যে, যে হারে বাড়ার কথা ছিল, সে তুলনায় কিছুটা কম বেড়েছে। দি গার্ডিয়ান-এ এরকমই একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে।
     ওই রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, গত বছর অর্থাৎ ২০১৯ সালে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের ঘনত্বের সর্বোচ্চ হার যেখানে ছিল ৪১৪.৮ পিপিএম (Parts Per Million), সেখানে এবছরের মে মাসেই সেই হার ছিল ৪১৭.২ পিপিএম। অর্থাৎ এবছরেই এখনও পর্যন্ত কার্বন-ডাই-অক্সাইডের ঘনত্ব বেড়েছে প্রায় ২.৪ পিপিএম।
     এ থেকে নিঃসন্দেহে বলা যায়, বিশ্ব জুড়ে গড়ে গত ২-৩ মাস লকডাউন চললেও পরিবেশে কার্বন নিঃসরণ কিন্তু কমানো যায়নি। বরং বেড়েছে কিছুটা। কিন্তু স্ক্রিপ্স ইন্সটিটিউশন অফ ওশেনোগ্রাফির গবেষক অধ্যাপক রেল্ফ কেলিং দাবি করছেন, যদি লকডাউন না হত তাহলে এই হার হত ২.৮ পিপিএম। অর্থাৎ লকডাউনে যে পুরোপুরি কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ বন্ধ হয়নি, তাও এখানে বলা যাবে না। তবে তা হয়েছে খুবই কম।
     জোর দিয়ে তাই অনেক পরিবেশবিদই বলতে বাধ্য হচ্ছেন, কার্বন-ডাই-অক্সাইড যে হারে দ্রুত গতিতে বাড়ছিল, কয়েক মাসের লকডাউন তাতে আঘাত দিয়েছে নিঃসন্দেহে। তবে স্ক্রিপ্স ইন্সটিটিউশন অফ ওশেনোগ্রাফির গবেষকরা দাবি করছেন, পরিবেশে কার্বন-ডাই-অক্সাইড-এর নিঃসরণ যদি প্রায় ১ বছর ২০-৩০ শতাংশ কমানো যায়, তবেই কার্বন-ডাই-অক্সাইড ঘনত্বের পিপিএম-এর হার আশানরূপ কমানো যাবে।
Advertisement
Previous articleপৃথিবীর ধার ঘেঁষে পেরিয়ে যাবে উল্কাপিণ্ড, ভয়ের কোনও কারণ নেই জানালো নাসা
Next articleনিষিদ্ধ হওয়ার পরেও ফল পাকাতে ব্যবহার করা হচ্ছে কার্বাইড

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here