Advertisement
বিজয় ঘোষাল : ১৯৫১ সালে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপায়িত সময়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পুত্র রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর (প্রথম উপাচার্য)। ১৯০৯ সালে আমেরিকার ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষিবিজ্ঞানে স্মাতক হয়ে শান্তিনিকেতনে ফিরে এসে মন দেন পল্লী জীবনের কৃষি ও শিল্প সমন্ময় সাধনে। তাঁর জন্মদিনকে স্মরণ করে প্রতি বছর আয়োজন করা হয় “রথীন্দ্র মেলা”-র। গত ২৭ নভেম্ভর ছিল তাঁর ১৩২তম জম্মদিন। ২৭–১৮ নভেম্বর ২ দিন ধরে এবছর রথীন্দ্রমেলার আয়োজন করা হয়। শিল্পসদনের সমস্ত ছাত্র–ছাত্রী ও অধ্যাপক–অধ্যাপিকা তাঁর ১০০তম জন্মবার্ষিকী থেকে এই মেলার আয়োজন করে আসছে।
২ দিন ধরেই শিল্পসদনের ছাত্র–ছাত্রী ও শিক্ষকদের হাতের তৈরি সামগ্রীতে সেজে উঠতে দেখা গিয়েছে শিল্পসদন প্রাঙ্গন। প্রথমদিকে এই মেলার স্থায়িত্ব ১ দিনের হলেও ২০১২ সাল থেকে ২ দিনের করা হয়। উল্লেখ্য, রবীন্দ্রনাথ গ্রাম-বাংলার চর্ম, দারু শিল্পের উন্নয়নের জন্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন শিল্পভবনের। পরে শিল্পসদনের গ্রামীণ অর্থনীতি রূপায়ণে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন রথীন্দ্রনাথ ও তাঁর স্ত্রী প্রতিমা দেবী।
২ দিনের এই মেলা ঘিরে শ্রীনিকেতন–শান্তিনিকেতনের শিল্পানুরাগী পড়ুয়া সহ আগত দর্শকদের উত্তেজনার ছিল তুঙ্গে। মেলা শুরুর বেশ কিছুদিন আগে থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল এর প্রস্তুতিপর্ব। মেলা প্রাঙ্গণ থেকে শুরু করে মেলার প্রবেশ পথ, অনুষ্ঠানের মঞ্চ প্রায় সবই সেজে উঠতে দেখা গিয়েছে ছাত্র–ছাত্রীদের দলগত সহযোগিতার শিল্পচর্চার নিবিড় অনুশীলনে।
মেলার প্রদর্শনীতে ছিল সেরামিক, টেষ্কাইল, টেরেকোটা, লেদার, কাঠ, বেত, কাগজ প্রভৃতি দিয়ে প্রস্তুত বিভিন্ন শিল্পসামগ্রী। শিল্পদ্রব্যের পাশাপাশি পডুয়ারা সাজিয়ে তুলেছিল নিজেদের তৈরি বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যের দোকান।
২৭ নভেম্বর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বয়ং উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্ত্তী, পল্লী সংগঠন বিভাগের অধ্যক্ষ ও অধ্যাপক অশোক কুমার সরকার ও শিল্পসদনের ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় প্রধান অরিন্দম মন্ডল। শিল্পসদন সূত্রে জানা গেল, মেলা থেকে প্রাপ্ত আয় সদনের দুঃস্থ পড়ুয়াদের উন্নতিকল্পে খরচ করা হবে।
Advertisement