অন্ধ্রপ্রদেশের নিলামে বিক্রি হওয়া ওই শামুকটি পাওয়া গিয়েছিল ওই রাজ্যের পূর্ব গোদাবরী অঞ্চলের একটি নদীতে। এটি ‘সাইনিক্স অ্যারুয়ানাস’ প্রজাতির শামুক। এদেরকে আবার ‘অস্ট্রেলিয়ান ট্রাম্পেট’-ও বলা হয়ে থাকে। এই প্রজাতির শামুক বৃহৎ প্রজাতিগুলির মধ্যে অন্যতম। এরা ৭০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত দীর্ঘ হতে পারে। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলের সমুদ্রে এদের সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। তবে সামুদ্রিক ঝড়-ঝঞ্জায় এরা উপকূল বা নদীতে ভেসে চলে আসে। |

অনলাইন পেপার : বৈচিত্র্যময় প্রাণীর মধ্যে শামুক অন্যতম। বঙ্গদেশের সর্বত্রই এই জলচর বা উভচর প্রাণীটিকে খুঁজে পাওয়া যাবে। তবে কৃষিক্ষেত্রে মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক ও কীটনাশক ব্যবহারের ফলে এদের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে কমে গিয়েছে। আবার কিছু প্রজাতি ইতিমধ্যেই চিরতরে হারিয়েও গিয়েছে।
তবে শামুক সংগ্রাহকের সংখ্যাও নেহাত কম নয় বর্তমানে। এক শ্রেণীর মানুষ নিজের ভাণ্ডারে বিশ্বের বিভিন্ন প্রজাতির শামুক সংগ্রহ করে তাক লাগিয়ে দিতে চান। এর জন্যে তাঁরা মোটা অঙ্কের অর্থও খরচ করতে পিছপা হন না। সম্প্রতি এরকমই একটি ঘটনার নজির তৈরি হল অন্ধ্রপ্রদেশে। নদীতে ভেসে আসা একটি শামুক বিক্রি হল রীতিমতো নিলামে। দাম উঠল ১৮ হাজার টাকা। অবশ্য শামুকটি ছিল বৃহৎ শ্রেণীর এক বিরল প্রজাতির।
এখনও পর্যন্ত সমগ্র বিশ্বে প্রায় ৫০ হাজারের বেশি প্রজাতির শামুক রেকর্ডভুক্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে সামুদ্রিক ২৩ হাজার, স্থলচর ২২ হাজার ও ৫ হাজার উভচর শ্রেণীর শামুক নথিভুক্ত হয়েছে। এই বঙ্গদেশেও রয়েছে বিচিত্র ধরণের শামুক। প্রায় ৩০০-রও বেশি প্রজাতির শামুক রয়েছে বাংলার খাল-বিল, নদী, পুকুর আর মাঠ-জঙ্গল জুড়ে।
সাধারণত ভিজে ও স্যাঁতস্যাঁতে অঞ্চলের বাসিন্দা হওয়ার জন্য বর্ষার দিনগুলিতে ব্যাপক সক্রিয় থাকতে দেখা যায় সমগ্র শামুক কূলকে। এক এক শ্রেণীর শামুকের বেঁচে থাকার ক্ষমতাও আলাদা হয়ে থাকে। কিছু প্রজাতির শামুকের গড় আয়ু যেমন ৯ মাস থেকে দেড় বছর, তেমনি অন্য প্রজাতির শামুকের গড় আয়ু হয়ে থাকে ৯ থেকে ১২ বছর। আবার ৩০ বছর পর্যন্ত বেঁচে ছিল এমন শামুকের নামও নথিভুক্ত হয়ে রয়েছে। তবে যাইহোক, শামুকের গমন গতি অবশ্য অত্যন্ত ধীর। তাই শ্লথগতির উদাহরণ দিতে অনেক সময়ই শামুকের সঙ্গে তুলনা করা হয়ে থাকে। ‘হেলিক্স লুকোরাম’ প্রজাতির শামুকের গড় গতি সেকেন্ডে মাত্র ১ মিলিমিটার।
অন্ধ্রপ্রদেশের নিলামে বিক্রি হওয়া ওই শামুকটি পাওয়া গিয়েছিল ওই রাজ্যের পূর্ব গোদাবরী অঞ্চলের একটি নদীতে। এটি ‘সাইনিক্স অ্যারুয়ানাস’ প্রজাতির শামুক। এদেরকে আবার ‘অস্ট্রেলিয়ান ট্রাম্পেট’-ও বলা হয়ে থাকে। এই প্রজাতির শামুক বৃহৎ প্রজাতিগুলির মধ্যে অন্যতম। এরা ৭০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত দীর্ঘ হতে পারে। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলের সমুদ্রে এদের সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। তবে সামুদ্রিক ঝড়-ঝঞ্জায় এরা উপকূল বা নদীতে ভেসে চলে আসে।
বিচিত্র আকারের ওই শামুকটি নদীতে পাওয়ার পরই খবর ছড়িয়ে পড়ে দ্রুতগতিতে। ক্রেতার সংখ্যাও ভিড় বাড়াতে থাকে। পরে শামুকটিকে নিলামে উঠালে সেটি ১৮ হাজার টাকায় বিক্রি হয়।