নাসা স্বীকার করল চাঁদের মাটিতেও রয়েছে জল

Advertisement
নাসার গডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টারের ফেলো জানিয়েছেন, এক ঘনমিটার চাঁদের মাটিতে সেই জলের পরিমাণ হতে পারে ১২ আউন্সের একটি বোতলে যতটা পরিমাণ জল ধরবে ততটা। এই জল পাওয়া গিয়েছে চাঁদের দক্ষিণ গোলার্ধের একটি জ্বালামুখে। যে জ্বালামুখটির নাম দেওয়া হয়েছে ক্লোভিয়াস। তবে চাঁদে এই জল কিভাবে তৈরি হল, সে সম্পর্কে নাসা এখনও কিছু জানাতে পারেনি। এব্যাপারে নাসা জানিয়েছে, তাদের আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।

নাসা স্বীকার করল চাঁদের মাটিতেও রয়েছে জল
Image by Lars_Nissen from Pixabay

অনলাইন পেপার : চাঁদকে নিয়ে বিস্ময়ের কোনও শেষ নেই। সুদূর অতীত থেকেই এই চাঁদকে নিয়েই মানুষের কৌতূহল অনেক তীব্র। পৃথিবীর বাইরেও সর্বপ্রথম এই চাঁদেই মানুষের পা পড়েছিল। আবার জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা সবচেয়ে বেশি সময় ধরে যাকে নিয়ে গবেষণায় মেতে থাকেন, সেও এই চাঁদ। আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা তো আরও এক ধাপ এগিয়ে এখন এই চাঁদেই পৃথিবীর বাইরে প্রথম কোনও উপনিবেশ তৈরির পরিকল্পনা করছেন। আর তাতে কোনও একদিন তারা সফলও হবেন। আধুনিক প্রযুক্তির যুগে এ বিশ্বাস এখন করা যেতেই পারে।

সেই বিশ্বাসকে এবার অনেকটাই এগিয়ে দিয়েছে নাসার নতুন গবেষণা। এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটির অনুমান ছিল, চাঁদের মাটিতে হয়তো জল থাকলেও থাকতে পারে। কিন্তু এবার এব্যাপারে সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিত হল তারা। এতদিনে তারা জলের অণুর অস্তিত্বের প্রমাণ পেল চাঁদে। এই অণুর অস্তিত্ব তারা পেয়েছে চাঁদের যে অংশটি সব সময় পৃথিবীর দিকে মুখ করে থাকে তার উপরি তলে, অর্থাৎ যে অংশটিকে বিজ্ঞানীরা বলছেন চাঁদের ‘সারফেস’ অঞ্চল।

যদিও সেই জলের পরিমাণ খুবই সামান্য। বিবিসি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, নাসার গডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টারের ফেলো জানিয়েছেন, এক ঘনমিটার চাঁদের মাটিতে সেই জলের পরিমাণ হতে পারে ১২ আউন্সের একটি বোতলে যতটা পরিমাণ জল ধরবে ততটা। এই জল পাওয়া গিয়েছে চাঁদের দক্ষিণ গোলার্ধের একটি জ্বালামুখে। যে জ্বালামুখটির নাম দেওয়া হয়েছে ক্লোভিয়াস। তবে চাঁদে এই জল কিভাবে তৈরি হল, সে সম্পর্কে নাসা এখনও কিছু জানাতে পারেনি। এব্যাপারে নাসা জানিয়েছে, তাদের আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।

এই জল কি কাজে লাগানো যেতে পারে, সেবিষয়েও নাসা এখনও নিশ্চিত করে কিছু জানাতে পারেনি। তবে কিছু বিশেষজ্ঞের ধারণা, এই জল ঠিকঠাকভাবে আহরণ করতে পারলে অনেক কাজেই লাগানো যেতে পারে। এমনকি পানের উপযোগীও করা যেতে পারে। এছাড়াও রকেটের জ্বালানি তৈরির কাজে বা চাষের কাজেও ব্যবহার করা যেতে পারে। বিশেষজ্ঞরা আরও ধারণা করছেন, যদি কোনও দিন এই জল রকেটের জ্বালানি তৈরির কাজে ব্যবহার করা যায়, তবে মহাকাশে রকেট পাঠানোর খরচ অনেক কমে যেতে পারে।

Advertisement
Previous articleমহিষাসুর কিন্তু ওদের ‘ভিলেন’ নয়, পরম পূজনীয় রাজা
Next articleবর্ধমানে মিলল বিরল প্রজাতির হলুদ কচ্ছপ, ভারতে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here